গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মনোগ্রামে ৪টি তারকা চিহ্ন রয়েছে।
AddaBuzz.net Latest Questions
জরিপের ফলাফল
ভোট দেয়ার এবং ফলাফল জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগ ইন করতে হবে।
জরিপে অংশগ্রহন করুন। উত্তর পছন্দ করুন।
-
পৃথিবীর সবচাইতে বড় ফুলের নাম হল 'রাফলেশিযম আরনোল্ডি' (Rafflesia arnoldii)। এটি ইন্দোনেশিয়ার বাকু প্রদেশে উদ্ভট হয়ে থাকে।
পৃথিবীর সবচাইতে বড় ফুলের নাম হল ‘রাফলেশিযম আরনোল্ডি’ (Rafflesia arnoldii)। এটি ইন্দোনেশিয়ার বাকু প্রদেশে উদ্ভট হয়ে থাকে।
সংক্ষেপে দেখুন- শেয়ার করুন
-
সুইজারল্যান্ডের
সুইজারল্যান্ডের
সংক্ষেপে দেখুন- শেয়ার করুন
-
এমন এক পাখি হবে যেটি চিঠি পৌঁছে দেয়ার পথ যদি হারিয়ে ফেলে তাহলে লোকজনদের ঠিকানা জিজ্ঞেস করে গন্ত্যস্থলে পৌঁছুতে পারবে।
এমন এক পাখি হবে যেটি চিঠি পৌঁছে দেয়ার পথ যদি হারিয়ে ফেলে তাহলে লোকজনদের ঠিকানা জিজ্ঞেস করে গন্ত্যস্থলে পৌঁছুতে পারবে।
সংক্ষেপে দেখুন- শেয়ার করুন
যারা ৯০এর দশকে স্কুলে পড়েছেন তারা সকলেই জানেন আমাদের সৌরজগতে অন্যান্য গ্রহগুলোর মত প্লুটো একটি গ্রহ। কিন্তু ঠিক কি কারণে ২০০৬ সালে এসে প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হল? সেটি জানার আগে চলুন প্লুটো সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। প্লুটো প্লুটো আবিষ্কার হয় ১৯৩০ সালে। ১৯৩১ সালে প্লুটো ভর নির্ণয় করাবিস্তারিত পড়ুন
যারা ৯০এর দশকে স্কুলে পড়েছেন তারা সকলেই জানেন আমাদের সৌরজগতে অন্যান্য গ্রহগুলোর মত প্লুটো একটি গ্রহ। কিন্তু ঠিক কি কারণে ২০০৬ সালে এসে প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হল?
সেটি জানার আগে চলুন প্লুটো সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক।
প্লুটো
প্লুটো আবিষ্কার হয় ১৯৩০ সালে। ১৯৩১ সালে প্লুটো ভর নির্ণয় করা হয় পৃথিবীর ভরের কাছাকাছি। পরবর্তীতে আরো সূক্ষ মাপে এর ভর কমে আসে এবং মঙ্গল গ্রহের কাছাকাছি নির্নীত হয়। ১৯৭৬ সালে প্লুটোর বর্ণালী পর্যবেক্ষণ করে ধারনা করা হয় এর ভর পৃথিবীর ভরের ১ শতাংশের বেশী হবে না।
১৯৭৮ সালে প্লুটোর চাঁদ শ্যারন আবিষ্কৃত হলে এর ভর যথাযথভাবে নির্ণয় করার পথ খুলে যায়। বিভিন্ন হিসেবে দেখা যায় এর ভর হবে পৃথিবীর ভরের মাত্র ০.২ শতাংশ। এত সামান্য ভর নিয়ে প্লুটোর পক্ষে ইউরেনাস গ্রহের কক্ষপথে প্রভাব বিস্তার করা দুষ্কর।
প্লুটোর আকার ও অস্ট্রেলিয়ার আকারের তুলনা
প্লুটো ২৪৮ বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এর কক্ষপথের বৈশিষ্ট অন্যান্য গ্রহের তুলনায় যথেষ্ট পৃথক। প্লুটো ব্যাতীত অন্য আটটি গ্রহ সূর্যকে একই সমতলে থেকে প্রদক্ষিণ করে, অপরদিকে প্লুটো অন্য গ্রহগুলোর ব্যতিক্রম হিসেবে এই সমতলের সাথে ১৭ ডিগ্রি কোণ করে সুর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তাছাড়া অন্যান্য গ্রহগুলোর কক্ষপথ প্রায় গোলাকার, আর প্লুটো কক্ষপথ কিছুটা উপবৃত্তাকার। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে প্লুটোর কক্ষপথ নেপচুনের কক্ষ পথের সাথে সাংঘর্ষিক। তবে তারপরও প্লুটো নেপচুনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না এর কারণ হচ্ছে প্লুটো এবং নেপচুনের বৃত্তাকার গতি ঐক্যতানে আছে (enharmonic)। নেপচুনের প্রতি দুটি আবর্তনের সাথে সাথে প্লুটোর যথাযথভাবে তিনটি আবর্তন সম্পন্ন করে এবং এভাবেই সারাজীবন চলতে থাকবে যদি এখানে বাহ্যিক কোনো কিছুর প্রভাব না পড়ে।
প্লুটোর কক্ষপথ অন্য গ্রহগুলোর কক্ষপথের একই সমতলে নয়, বরং ১৭ ডিগ্রি তীর্যক
মতপার্থক্যের সূচনা
১৯৯২ সাল হতে বিভিন্ন সময়ে প্লুটোর এলাকায়, অর্থাৎ এটি সূর্য থেকে যে দূরত্বে অবস্থান করে সেখানে আরো কিছু বস্তু আবিষ্কৃত হতে থাকে যেগুলো আকার আকৃতিতে প্লুটোর সাথে তুলনীয়। এই বস্তুগুলো সমেত অঞ্চলটিকে এখন কুইপার বেল্ট নামে ডাকা হয়। এধরনের আবিষ্কারের ফলে গ্রহ হিসেবে প্লুটোর মর্যাদা বিতর্কিত হয়ে পড়ে। অনেকেই প্রশ্ন রাখেন প্লুটোর মতো আরো বিভিন্ন বস্তু যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে সেহেতু এটি ওই বস্তুরগুলো হতে আলাদা করা ঠিক হবে কিনা। প্লুটোকে যদি গ্রহ মর্যাদা দেওয়া হয় তাহলে সেই বস্তুগুলোকেও তো মর্যাদা দিতে হয়। এই সময়টিতে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষনা ছাড়াই অনেকক্ষেত্রে জাদুঘর কিংবা পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের পরিচালকগণ প্লুটোকে গ্রহের মডেলের বাইরে রেখে বিতর্কের জন্ম দেন।
২০০০ সালের মধ্যে কুইপার বেল্টে বেশ কিছু বস্তু আবিষ্কৃত হয়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে সেরেস, প্যালাস, জুনো এবং ভেস্তা যেগুলোকে শুরুতে গ্রহ হিসেবে ভাবার পরও পরবর্তীতে আরো বিভিন্ন গ্রহাণু আবিষ্কৃত হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয় নি। অনেকেই প্লুটোকেও একই পরিণতি ভোগ করার পক্ষ অবলম্বন করেন। ২০৫ এর জুলাইয়ের ২৯ তারিখে নেপচুনের বাইরে প্লুটোর চেয়েও বড় ভরের বস্তু এরিস আবিষ্কৃত হয়। এটি ১৮৪৬ সালে শনির উপগ্রহ টাইটানের পর আবিষ্কৃত সৌরজগতের সবচেয়ে বড় বস্তু। এর আবিষ্কারগণ এবং গণমাধ্যম এটিকে শুরুতে দশম গ্রহ হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেয় যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে কখনো গ্রহ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি বা এ নিয়ে কোনো আলোচনাও হয় নি।
প্লুটো গ্রহ নয় কেন
এহেন পরিস্থিতিতে কোন বস্তুটিকে গ্রহ এবং কোন বস্তুটিকে গ্রহ বলা হবে না তা নির্ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর আগে গ্রহের কোনো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা ছিলো না। তাই বেশ কিছু গ্রহসদৃশ বস্তুকে নিয়ে বিতর্ক লেগেই ছিলো। এই অবস্থার অবসানের জন্য ২০০৬ সালে ২৪ আগষ্ট জ্যোতির্বিদদের একটি সম্মেলনে IAU resolution অনুযায়ী গ্রহের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এই শর্তপত্রের আওতায় সৌরজগতের একটি বস্তুকে গ্রহ হতে হলে:
১. একে সূর্যের চারপাশে ঘুরতে হবে।
২. একে যথেষ্ট পরিমান ভারী হতে হবে যেন নিজের মাধ্যাকর্ষণের টানে এটি গোলাকার ধারন করতে পারে। আরো যথাযথভাবে, এর নিজস্ব মাধ্যাকর্ষন এটিকে এমন আকৃতিতে পরিণত করতে হবে যেন তা ‘হাইড্রোস্ট্যাটিক সাম্যাবস্থা’য় থাকে।
৩. এর কক্ষপথটি অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথ হতে পৃথক হতে হবে। যদি দুটি বস্তুর কক্ষপথ পৃথক না হয় বা একটির কক্ষপথ অপরটির ভেতর ঢুকে পড়ে তাহলে অপেক্ষাকৃত বেশী ভরের বস্তুটিই গ্রহের মর্যাদা পাবে।
প্লুটো এই তিনটি শর্তের মধ্যে তৃতীয়টি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। প্লুটোর কক্ষপথ স্বতন্ত্র নয়, বরং এটি এর কক্ষে আবর্তনকালে নেপচুনের কক্ষের মধ্যে ঢুকে পড়ে। অর্থাৎ কক্ষপথে আবর্তনকালের এক পর্যায় এটি নেপচুনের চেয়ে সুর্যের কাছাকাছি অবস্থান করে। এবং এর অবস্থান হয় নেপচুনের আগে। কিন্তু নেপচুনের ভরের তুলনায় প্লুটোর ভর অনেক অনেক কম হওয়ায় গ্রহ মর্যাদা নেপচুনেরই পাওয়ার কথা। প্লুটোর নয়।
প্লুটোর কক্ষপথ স্বতন্ত্র নয় বরং নেপচুনের কক্ষপথের সাথে ছেদ করে। ফলে এটি আবর্তনের একপর্যায়ে নেপচুনের তুলনায় সূর্যের কাছে থাকে।
AIU আরো নির্ধারণ করে দেয় যে প্লুটোর মতো অন্য যেসব বস্তু কেবল গ্রহের সংজ্ঞার ১ ও ২ নং শর্ত পূরণ করতে পারবে তাদের বামন গ্রহ বলা হবে। ২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর AIU প্লুটো, এরিস এবং এর উপগ্রহ ডিসনোমিয়াকে গৌণ গ্রহের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে গৌণ গ্রহের মর্যাদা দেয়। যার ফলে প্লুটোর নাম হয় “(১৩৪৩৪০) প্লুটো”।
গত বছর নিউ হরাইজন প্লুটের কাছে গিয়ে ডানপাশের ছবিটি তুলে পাঠায়। তার আগ পর্যন্ত প্লুটোর সবচেয়ে অনুপূঙ্খ ছবি ছিলো বাম পাশের টি।
গ্রহের এই পুনঃশ্রেনীবিন্যাস অনেক জ্যোতির্বিদ সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারেন নি। কিছুদিন আগে নাসার প্লুটোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া নিউ হরাইজন মিশনের প্রধান গবেষক অ্যালান স্টার্ন গ্রহের এই শর্ত মেনে নিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন “বেশ কিছু কৌশলগত কারণে এই শর্তাবলী যন্ত্রনাদায়ক”। স্টার্নের মতে নতুন শর্ত অনুযায়ী পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং নেপচুন যেহেতু তাদের কক্ষপথ গ্রহাণুসমুহের সাথে শেয়ার করে তাই এই গ্রহগুলোকে তালিকা হতে বাদ দিতে হবে। তিনি বলেন আমাদের চাঁদ সহ সব বড় বড় গোলাকার উপগ্রহগুলো একইভাবে গ্রহ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি আরো বলেন সমগ্র বিশ্বের কেবলমাত্র পাঁচ শতাংশ জ্যোতির্বিদ যেহেতু এই শর্তাবলীর পক্ষে ভোট দিয়েছে কাজেই এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জ্যোতির্বিদ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। লয়েল অবজারভেটরিতে কর্মরত মার্ক. ডব্লিও বুই তাঁর ওয়েব সাইটের মাধ্যমে নতুন এই শর্তাবলীর বিরুদ্ধাচরণ করেন এবং এই সংজ্ঞার বিরুদ্ধে পিটিশন জারি করেন। তবে অন্যান্য অনেকেই AIU’র সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন। এরিসের আবিষ্কর্তা মাইক ব্রাউন এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের সামনে অনেক সময় পড়ে আছে। কোনো না কোনো ভাবে সঠিক উত্তরটি প্রতিষ্ঠিত হবেই। বিজ্ঞান নিজেকে প্রতিনিয়ত সংশোধন করে চলে। খুব বড় ধরনের আবেগ জড়িত থাকলেও সে তার ধার ধারে না।”
সংক্ষেপে দেখুন