সম্ভবত বৈদ্যুতিক ট্রেনে ধোঁয়া থাকে না। তাই ট্রেনের গতি আর বাতাসের বেগ এখানে কোন কাজেই আসবে না।
সম্ভবত বৈদ্যুতিক ট্রেনে ধোঁয়া থাকে না। তাই ট্রেনের গতি আর বাতাসের বেগ এখানে কোন কাজেই আসবে না।
সংক্ষেপে দেখুনসাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
দুঃক্ষিত, প্রশ্ন করার অনুমতি আপনার নেই, প্রশ্ন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে লগ ইন করতে হবে.
দুঃক্ষিত, ব্লগ লেখার অনুমতি আপনার নেই। লেখক হতে হলে admin@addabuzz.net ঠিকানায় মেইল পাঠিয়ে অনুমতি নিন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
সম্ভবত বৈদ্যুতিক ট্রেনে ধোঁয়া থাকে না। তাই ট্রেনের গতি আর বাতাসের বেগ এখানে কোন কাজেই আসবে না।
সম্ভবত বৈদ্যুতিক ট্রেনে ধোঁয়া থাকে না। তাই ট্রেনের গতি আর বাতাসের বেগ এখানে কোন কাজেই আসবে না।
সংক্ষেপে দেখুনভোট দেয়ার এবং ফলাফল জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগ ইন করতে হবে।
মানুষের ইতিহাসে তরবারির ব্যবহার শুরু হয় ব্রোঞ্জ যুগে। সর্বপ্রাচীন তরবারির যে নমুনাটি পাওয়া যায় সেটি খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ সালে তৈরি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। একসময়কার খাবার সংগ্রহ ও আত্মরক্ষার প্রয়োজনীতা থেকে মানুষ অস্ত্র নির্মাণ করলেও সময়ের সাথে সাথে অস্ত্রের ব্যবহার হয়ে দাঁড়ায় মানুষের কী ভালো কী মনবিস্তারিত পড়ুন
মানুষের ইতিহাসে তরবারির ব্যবহার শুরু হয় ব্রোঞ্জ যুগে। সর্বপ্রাচীন তরবারির যে নমুনাটি পাওয়া যায় সেটি খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ সালে তৈরি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। একসময়কার খাবার সংগ্রহ ও আত্মরক্ষার প্রয়োজনীতা থেকে মানুষ অস্ত্র নির্মাণ করলেও সময়ের সাথে সাথে অস্ত্রের ব্যবহার হয়ে দাঁড়ায় মানুষের কী ভালো কী মন্দ, কী ন্যয় কী অন্যায়- যাবতীয় চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহৃত অন্যতম উপায়। আগ্নেয়াস্ত্র আবিস্কারের আগ পর্যন্ত তরবারিই ছিল মুখোমুখি যুদ্ধের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত হাতিয়ার। এই লেখায় তুলে ধরা হল পৃথিবীর ইতিহাসে ব্যবহৃত পাঁচটি তরবারির কথা যেগুলো বিখ্যাত হয়েছিল এদের তরবারিসুলভ গুণ ও একই সাথে এদের ব্যবহারকারীর খ্যাতির কারণে।
জুলফিকার ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী ইবনে আবু তালিব (রা) এর ব্যবহৃত তরবারি। উহুদ এর যুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ (সা) তার চাচাতো ভাই আলী-কে এই তরবারি দিয়েছিলেন।
ইসলামিক বর্ণনা থেকে জানা যায়, উহুদের যুদ্ধে মক্কার সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধার ঢাল ও শিরস্ত্রাণ এক আঘাতে দ্বিখণ্ডিত করেন আলী (রা)। এই আঘাতে তার তরবারিটিও ভেঙে যায়। এই ঘটনার পর হযরত মুহাম্মাদ (সা) তার নিজ তরবারি জুলফিকার আলীকে দেন। শিয়া মতাদর্শ অনুযায়ী, মুসলমানদের বারোতম ইমাম মুহাম্মাদ আল মাহদী’র নিকট সংরক্ষিত ইসলামের ঐতিহাসিক জ্ঞান ও হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর যুদ্ধাস্ত্রের এক গোপন সংগ্রহ যা ‘আল জাফর’ নামে পরিচিত সেখানে এই তরবারিটি রাখা আছে।
মূল জুলফিকার তরবারিটির প্রকৃত অবয়ব জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনায় এটিকে চিত্রায়িত করা হয়েছে দুইটি দীর্ঘ ব্লেড জোড়া লাগানো অবস্থায়, যার অগ্রভাগ অনেকটা কাঁচির মত দ্বিখণ্ডিত। আবার কোনো কোনো বর্ণনায় একে দুটো দীর্ঘ ব্লেড V আকৃতিতে জোড়া লাগানো অবস্থায় চিত্রায়িত করা হয়।
মধ্য প্রাচ্যীয় যুদ্ধাস্ত্রের বর্ণনায় জুলফিকার-এর এর কথা অবধারিতভাবেই আসে। এর আকৃতির অনুকরণে এক সময় প্রাচ্যের অঞ্চলগুলোতে তরবারি তৈরির সময় অগ্রভাগ দ্বিখণ্ডিত রাখা হত।
অটোমান সাম্রাজ্যের পতাকায় জুলফিকার এর বহুল চিত্রায়ন দেখা যায়। বিশেষত ষোল ও সতের শতকের অশ্বারোহী বাহিনী ‘জেনিসারি’র পতাকায় এর ছবি অঙ্কিত হত। এমনকি জুলফিকার এর নাম সম্বলিত কবচের ব্যবহারও ছিল যা এখনও বিদ্যমান। কবচে খোদাই করা লেখাগুলোর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত দুটো লাইন ছিল- “আলী অদ্বিতীয়, জুলফিকার তরবারি অদ্বিতীয়।”
ইতিহাসের বিভিন্ন সময় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ দল, যুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজ এমনকি একটি ট্যাঙ্ক এর নামও জুলফিকারের নাম অনুসারে রাখা হয়েছে। বসনিয়ার যুদ্ধের সময় বসনিয়ান সৈন্যদের একটি বিশেষ ইউনিটের নাম ছিল জুলফিকার।
ওয়ালেস সোর্ড ছিল স্কটিশ স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা উইলিয়াম ওয়ালেস এর তরবারি। স্কটিশদের স্বাধীনতার দাবিতে ১২৯৭ সালের স্টার্লিং এর যুদ্ধ ও ১২৯৮ সালের ফলক্রিক এর যুদ্ধে ওয়ালেস এই তরবারিটি ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা যায়।
ওয়ালেস তরবারিটি সবচেয়ে বিখ্যাত এর বিশাল আকার ও ওজনের জন্য। ৪ ফুট ৪ ইঞ্চি দীর্ঘ ব্লেড সহ পুরো তরবারির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি! এর ব্লেডের প্রস্থ ২.২৫ ইঞ্চি আর অগ্রভাগে ০.৭৫ ইঞ্চি। বিশালাকার এই তরবারির ওজন প্রায় ৩ কেজি!
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং এর ওয়ালেস মনুমেন্ট এ সংরক্ষিত এই তরবারিটির আকার ও এর গঠনপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে এটি সত্যিকারের উলিয়াম ওয়ালেস এর ব্যবহৃত তরবারি কিনা তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ ধারণা করেন, সংরক্ষিত তরবারিটি তৈরি করা হয়েছে কয়েকটি তরবারির ভিন্ন ভিন্ন অংশ একসাথে করে। সংরক্ষিত তরবারিটি দুই হাতে ধরে ব্যবহারের উপযোগী হিসেবে তৈরি করা। আর গবেষকদের মতে, এটি ব্যবহারের জন্য উইলিয়াম ওয়ালেস এর উচ্চতা হতে হত অন্তত ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি! অথচ ১৩ শতকের স্কটল্যান্ডের মানুষের গড় উচ্চতা ছিল ৫ ফুট। তাই কথা উঠে, হয় ওয়ালেস সে সময়ের তুলনায় একজন দানবাকৃতির মানুষ ছিলেন নতুবা সংরক্ষিত এই তরবারিটি তার ব্যবহৃত নয়।
জানা যায়, ফলক্রিক এর যুদ্ধে আটককৃত ওয়ালেসকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর ১৩০৫ সালে ডুম্বার্টন ক্যাসল এর গভর্নরের নিকট এই তরবারিটি ছিল। যদিও এর কোনো রেকর্ড পাওয়া যায় নি। দু’শো বছর পর ১৫০৫ সালে জানা যায়, স্কটল্যান্ডের রাজা চতুর্থ জেমস এর নির্দেশে তরবারিটির খাপ, হাতল ও বেল্ট পরিবর্তন করা হয়, কেননা তখন জনশ্রুতি ছিল ওয়ালেস এর তরবারিতে এগুলো তৈরি করা হয়েছিল স্টার্লিং এর যুদ্ধের ইংরেজ কমান্ডার হিউ ক্রেসিংহাম এর চামড়া থেকে। ১৮৮৮ সালে ওয়ালেস মনুমেন্টে সংরক্ষণের জন্য তরবারিটি দেয়া হয়।
হনজো মাসামুনে সর্বকালের সেরা তরবারিগুলোর একটি হিসেবে খ্যাত যার নির্মাতা ছিলেন মাসামুনে। মাসামুনে ছিলেন একজন জাপানি তরবারি নির্মাতা যাকে ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধাতুবিদ্যাবিশারদ বলা হয়। আনুমানিক ১২৮৮ সাল থেকে ১৩২৮ সাল পর্যন্ত তার কাজের পরিধি সম্পর্কে জানা যায়। সুক্ষতম ধার ও সৌন্দর্যের কারণে মাসামুনের নির্মিত তরবারিগুলোর মান কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিল।
ধারণা করা হয় হনজো মাসামুনে নামটি এসেছে হনজো শিগেনাগা নামক এক জাপানি যোদ্ধার নাম থেকে। হনজো শিগেনাগা ছিলেন ১৬ শতকের উয়েসুগি ক্ল্যান এর একজন জেনারেল। উমানোসুকে নামক একজন বিখ্যাত যোদ্ধার আক্রমণে শিগেনাগার শিরস্ত্রাণ টুকরো হয়ে যায়। কিন্তু তিনি বেঁচে যান সেই লড়াইয়ে এবং পুরস্কার হিসেবে তাকে যে তরবারি দিয়ে আঘাত করা হয় সেটি রেখে দেন। তরবারিটি এর আগে অনেক বিখ্যাত যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তীতে অর্থাভাবের কারণে তয়োতমি ক্ল্যান এর নিকট তরবারিটি বিক্রি করে দেন শিগেনাগা।
তয়োতমি ক্ল্যান এর পতনের পর তরবারিটি জাপানের তকুগাওয়া পরিবারের নিকট আসে। জাপানের ‘শগুন’ শাসনামলের অন্যতম শাসক ছিল তকুগাওয়া পরিবার। এই তরবারিটি পরিবারের এক শাসকের পর আরেকজনের নিকট শাসনের প্রতীক হিসেবে দেয়া হত। তকুগাওয়া পরিবারের শাসনামল শেষ হবার পরেও তারা তরবারিটি রেখে দেয়। ১৯৩৯ সালে হনজো মাসামুনেকে জাপানের জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে এর সর্বশেষ মালিকানা ছিল তকুগাওয়া লেমাসা’র নিকট। যুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পনের পর ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে হনজো মাসামুনে সহ আরও ১৪টি তরবারি জাপানের মেজিরো পুলিশ স্টেশনে জমা দেন তকুগাওয়া লেমাসা। ১৯৪৬ সালে পুলিশ এই তরবারিগুলো সার্জেন্ট কোল্ডি বাইমোর নামক একজনের কাছে দেয় বলে জানা যায়। সেই থেকে এই তরবারিটির আর কোনো হদিশ পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সার্জেন্ট কোল্ডি বাইমোর নামক কোনো ব্যক্তি তরবারিগুলো গ্রহণ করেছেন এমন তথ্যের কোনো রেকর্ড জাপানের কোথাও নেই। জাপানের এমন হারিয়ে যাওয়া অনেকগুলো বিখ্যাত তরবারির মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান ছিল হনজো মাসামুনে।
শার্লেম্যান, যিনি চার্লস দ্য গ্রেট নামেও পরিচিত, তার ব্যবহৃত তরবারির নাম জোয়ায়ুস। শার্লেম্যান মধ্যযুগের শুরুতে ইউরোপের একটি বড় অংশের নেতৃত্ব দেন যার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে আজকের ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম ইত্যাদি রাষ্ট্রগুলো। ৭৭৪ সালে তিনি ছিলেন ইতালির রাজা। ৮০০ সালে তিনি রোমান সম্রাট হয়েছিলেন। এর তিন শতক আগে পশ্চিম ইউরোপ সাম্রাজ্যের পতনের পর তিনিই ছিলেন প্রথম স্বীকৃত সম্রাট।
কথিত আছে, ক্রুশবিদ্ধ যিশু মৃত কিনা তা যাচাইয়ের জন্য যে বর্শা ব্যবহৃত হয়েছিল সে ‘পবিত্র বর্শা’ থেকে নেয়া উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে জোয়ায়ুস এর হাতলে। ১৮৬৭ সালে বিখ্যাত ‘বুলফিঞ্চ’স মিথোলজি’ বইয়ে দেখানো হয় শার্লেম্যান জোয়ায়ুস দিয়ে কোর্সাবল নামক একজন আরব সেনানায়কের শিরশ্ছেদ করছেন এবং আরেক বিখ্যাত যোদ্ধা ওজিয়েরের কাঁধে এটি ছুঁয়ে নাইট উপাধি প্রদান করছেন।
১২৭০ থেকে ১৮২৪ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের সম্রাটদের অভিষেক অনুষ্ঠানে জোয়ায়ুস তরবারিটি প্রদর্শিত হত। ১৭৯৩ সালে এটিকে ল্যুভর মিউজিয়ামে নিয়ে আসা হয়।
প্রায় ছয় শতাব্দী ধরে এসব অভিষেক অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য জোয়ায়ুসের গঠনে পরিবর্তন এসেছে অনেকবার। কোনো গবেষক বলছেন এর ব্লেডটিই কেবল মূল জোয়ায়ুসের ব্লেড, কেউ বলেন ১০ শতকে এর ব্লেড পরিবর্তন করা হয়েছে, কেউ বলেন ১৩ শতকে। আবার কারো মতে, ১০ শতকে পরিবর্তিত ব্লেডটিও ১৮০৪ সালে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় পাল্টে ফেলা হয়েছিল। ল্যুভরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, বর্তমানে প্রদর্শিত জোয়ায়ুস এর হাতলের মাথাটি তৈরি হয়েছে ১০-১১ শতকে, হাতল ও ব্লেডের সংযোগস্থল ক্রসগার্ডটি তৈরি হয়েছে ১২ শতকে এবং তরবারির খাপ তৈরি হয়েছে ১৩ শতকে।
মানব ইতিহাসের অন্যতম বিখ্যাত এবং একই সাথে বিতর্কিত যোদ্ধা নেপোলিয়ন বোনাপার্ট অমর তার অসামান্য যুদ্ধ পরিকল্পনার জন্য। ফরাসী বিপ্লবের ধারক এবং ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়নের জীবনাবসান ঘটে আটলান্টিক মহাসাগরের সেইন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত হয়ে।
নেপোলিয়নের ব্যবহৃত তরবারিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত তার স্বর্ণখচিত তরবারি যেটি ২০০৭ সালে ফ্রান্সের একটি নিলামে সাড়ে ৬ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। ১৮০০ সালে নেপোলিয়ন ইতালির আলেসান্দ্রিয়াতে মারেঙ্গোর যুদ্ধে এই তরবারিটি শেষবারের মত ব্যবহার করেছিলেন অস্ট্রিয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। অস্ট্রিয় বাহিনীর অপ্রস্তুত অবস্থায় হঠাৎ আক্রমণ করে এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন নেপোলিয়ন।
তরবারির প্রায় ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি দীর্ঘ ও সামান্য বাঁকানো ব্লেডটিতে স্বর্ণের কারুকাজ করা আছে। ধারণা করা হয়, এটিই নেপোলিয়নের সর্বশেষ তরবারি যেটি সাধারণ মানুষের মালিকানায় আছে।
তরবারিটির ডিজাইনের পেছনে আছে নেপোলিয়নের মিশর অভিযানের সময়কার অভিজ্ঞতা। তিনি দেখেন সেখানকার ব্যবহৃত তরবারিগুলো সামান্য বাঁকানো থাকায় এগুলো ব্যবহারে সুবিধাজনক। এরপর তিনি নিজের জন্য এই ডিজাইনের তরবারি তৈরি করেন।
মারেঙ্গোর যুদ্ধের পর তার ছোট ভাই জেরোমি বোনাপার্টের বিয়েতে তরবারিটি উপহার দেন নেপোলিয়ন। এরপর থেকে বংশপরম্পরায় তরবারিটি তাদের কাছে ছিল।
১৯৭৮ সালে তরবারিটিকে ফ্রান্সের জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করা হয়। নিয়ম করা হয় ফরাসী নাগরিক নন এমন কেউ এটি কিনলে তার অবশ্যই ফ্রান্সে একটি ঠিকানা থাকতে হবে যেখানে তরবারিটি বছরের অন্তত ৬ মাস রাখতে হবে।
এতক্ষণ পৃথিবীর বিখ্যাত পাঁচটি তরবারি সম্পর্কে জানলেন। এই তরবারিগুলোর কোনোটি ব্যবহৃত হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামে, কোনোটি মতাদর্শ প্রচারে, কোনোটি সাম্রাজ্য বিস্তারে। তবে তরবারির মূল কাজ কিন্তু একটাই, মানুষের উপর ব্যবহৃত হওয়া। ‘ফাদার অব ইউরোপ’ খ্যাত শার্লেম্যান এর তরবারি জোয়ায়ুস এর শাব্দিক অর্থ হল উৎফুল্ল! ভাবা যায়, একটা তরবারির নাম উৎফুল্ল! আজকের যুগে তরবারি কেবল সৈন্যদের সাইডআর্ম কিংবা ক্রীড়া সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হলেও একটা সময় এটাই ছিল মানুষের বিধ্বংসী কাজের প্রতীক, কারও কারও কাছে যা ছিল কেবলই উৎফুল্ল হবার নিয়ামক।
সংক্ষেপে দেখুনরেইকি ( Reiki ) একধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি। একে স্পর্শ চিকিৎসা (touch healing) বলা যেতে পারে। Engery healing ও বলা যেতে পারে। রেইকি চিকিৎসক রা বলেন, আমাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন এনার্জি পয়েন্ট রয়েছে এবং নানাবিধ অসুখ, বিসুখের ক্ষেত্রে, তাঁরা তাঁদের হাতের স্পর্শ দ্বারা এনার্জি ট্রান্সফার করে, অসুবিস্তারিত পড়ুন
রেইকি চিকিৎসক রা বলেন, আমাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন এনার্জি পয়েন্ট রয়েছে এবং নানাবিধ অসুখ, বিসুখের ক্ষেত্রে, তাঁরা তাঁদের হাতের স্পর্শ দ্বারা এনার্জি ট্রান্সফার করে, অসুস্থ ব্যক্তির দেহের বিভিন্ন স্থানে এনার্জি সঞ্চার করে, সারিয়ে তোলেন।
নানাবিধ রোগ, ডিপ্রেসন, এসবের ক্ষেত্রে রেইকি চিকিৎসা করতে দেখা যায়।
বেশ কয়েকটি সেশন করা হয়, প্রতিটি সেশনে ত্রিশ মিনিট থেকে এক ঘন্টা, দেড় ঘন্টা এরকম সময় নেয়া হয়।
তবে, রোগ দূরীকরণে এই চিকিৎসা পদ্ধতি কতটুকু কার্যকরী, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের দেশে ও বিদেশেও দেখা যায়।
যেহেতু রেইকি নিয়ে প্রশ্নটি করা হয়েছে, প্রসঙ্গত: রেকি ( Recce ) বলে আমরা একটি শব্দ মাঝে মাঝে শুনি। যেমন সংবাদে শোনা যায়, ডাকাতি করার আগে, ডাকাতরা রেকি করে গিয়েছিল। এই রেকি র অর্থ হচ্ছে কোনো বিশেষ কাজ করার আগে, সেই জায়গার সুবিধা,অসুবিধা, এসব পর্যবেক্ষণ করা। এবং শুধু ডাকাতির ক্ষেত্রে নয়, অন্য ক্ষেত্রেও রেকির প্রয়োগ দেখা যায়। যেমন, তাঁরা ওই পাহাড়ে যোগ শিবির করার আগে জায়গাটা রেকি করে গিয়েছিলেন।
সংক্ষেপে দেখুনআমেরিকার ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা এতই বিষাক্ত যে এর কামড়ে মানুষ মারা যেতে পারে।
আমেরিকার ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা এতই বিষাক্ত যে এর কামড়ে মানুষ মারা যেতে পারে।
সংক্ষেপে দেখুনবংশগত সম্পর্ক বিহীন একই ধরনের চেহারার দুজন মানুষকে বলা হয় ডোপোগেঙ্গা।
বংশগত সম্পর্ক বিহীন একই ধরনের চেহারার দুজন মানুষকে বলা হয় ডোপোগেঙ্গা।
সংক্ষেপে দেখুনমুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাজ্ঞীর নাম জিনাত মহল মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের স্ত্রী ছিলেন জিনাত মহল।
মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের স্ত্রী ছিলেন জিনাত মহল।
সংক্ষেপে দেখুন
যারা হাতের আঙুলে নখের উপর মেহেদী দিয়েছেন কখনো, তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, মেহেদীর রঙ কীভাবে ধীরে ধীরে মুছে যায়। রঙ আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামতে থাকে। প্রথমে নখের গোঁড়ায় ফাঁকা হতে শুরু করে। কখনো কি ভেবেছেন কেন এমনটা হয়? আঙুলের নখ তিনদিকে আবদ্ধ, শুধুমাত্র সামনের দিক উন্মুক্ত, এই সামনের দিকটিই নখ বৃদ্বিস্তারিত পড়ুন
যারা হাতের আঙুলে নখের উপর মেহেদী দিয়েছেন কখনো, তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, মেহেদীর রঙ কীভাবে ধীরে ধীরে মুছে যায়। রঙ আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামতে থাকে। প্রথমে নখের গোঁড়ায় ফাঁকা হতে শুরু করে। কখনো কি ভেবেছেন কেন এমনটা হয়? আঙুলের নখ তিনদিকে আবদ্ধ, শুধুমাত্র সামনের দিক উন্মুক্ত, এই সামনের দিকটিই নখ বৃদ্ধি পাবার জন্য যথেষ্ট নয় কি?
এমনটা হতেও পারতো, তবে সেক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা যেতো। উদাহরণ হিসেবে মেহেদীর রঙের কথাই ধরা যাক। এই রঙ কখনো নখ থেকে মুছে যেতো না, সামনের মুক্ত অংশে নখ বৃদ্ধি পেতো, আর আমরা কেটে ফেলতাম বাড়তি অংশটুকু। হয়তো আঙুলের নখ নিয়ে কিংবা মাথার চুল নিয়ে কখনো ভাবনা জাগেনি মনে। জীবদেহে থাকা কোনোকিছুই ফেলনা নয়, সবকিছুরই প্রয়োজন রয়েছে। নখের প্রয়োজনীয়তা নখ কাঁটার পর উপলব্ধি করতে পারেন নিশ্চয়ই। সৌন্দর্যবর্ধন এবং সূক্ষ্ম কোনো বস্তু ধরা ছাড়াও আরো অনেক কাজ রয়েছে নখগুলোর।
আঙুলের অগ্রভাগে উপস্থিত হলুদ অংশের কুটুরিগুলোই পাল্প স্পেস নামে পরিচিত; Image Source: Atlas of Dermatologic Ultrasound
আঙুলে পাল্প স্পেস নামে ছোট ছোট কুঠুরীর মতো রয়েছে, সবধরনের আঘাত থেকে আঙুলের অগ্রভাগে অবস্থিত এ পাল্প স্পেসটিকে রক্ষা করে থাকে নখ। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মাঝে কেবল প্রাইমেট বর্গের প্রাণীদেহে নখ পাওয়া যায়। এই নখ জন্মের পর নয়, বরং মাতৃগর্ভে থাকাকালেই তৈরি হয়ে যায়। কেরাটিন জাতীয় প্রোটিন নির্মিত এই নখ শক্ত এক আবরণের মতো আবৃত করে রাখে আঙুলের অগ্রভাগকে।
মাতৃগর্ভে একটি শিশুর বয়স যখন ২০ সপ্তাহ পূর্ণ হয়, আঙুলগুলোর অগ্রভাগে শক্ত একটি আবরণের মতো তৈরি হতে শুরু করে। মাতৃগর্ভে ২৮০ দিন পূর্ণ করে একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হতে হতে সেই আবরণগুলো পরিপূর্ণ নখে পরিণত হয়।
একটি নখের বিভিন্ন অংশ©Lineage
আঙুলের গোঁড়ায়, নখ যেখানে ত্বকের সাথে মিশে গেছে, এই অংশটুকুকে বলা হয় কিউটিকল, এর ভেতরের দিকে, আঙুলের আরো গভীরে থাকে নখের মূল; একে ম্যাট্রিক্স বলা হয়। এই ম্যাট্রিক্স থেকেই অনবরত নখের সৃষ্টি হতে থাকে। নখগুলো গোড়ার দিকে যেখানে গিয়ে ত্বকে মিশেছে, সেখানে সম্পূর্ণ সাদা অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি অংশ দেখা যায়। না দেখতে পেলেও সমস্যার কিছু নেই, সাধারণত দেখা যাবার কথা নয়। বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে তাকালে হয়তো স্পষ্ট দেখা যেতে পারে। এই অংশটুকুকে বলা হয় লুনুলা, এটি ত্বকের নিচে ম্যাট্রিক্সের বাড়তি অংশ। অর্ধচন্দ্রাকৃতির হওয়ায় এর নাম হয়েছে লুনুলা।
নখ এবং চুল মৃত কোষ দিয়ে তৈরি। কোনো ধরনের স্নায়ু সংযোগ থাকে না বলে নখ কিংবা চুল কাঁটলে আমরা ব্যথা পাই না। কিন্তু এই যে নখের ম্যাট্রিক্স অংশটুকু, এটি মৃত নয়, জীবিত কোষ দ্বারা তৈরি হয়েছে, ত্বকের নিচে এর সাথে রক্তবাহিকা এবং স্নায়ু সংযুক্ত থাকে। রক্তবাহিকার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পুষ্টি পেয়ে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন নতুন কোষ তৈরি করে এই ম্যাট্রিক্স, নতুন তৈরি হওয়া কোষগুলোকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়, যা কিউটিকল পার করে বাইরের দিকে উন্মোচিত হয়।
নখ হিসেবে আমরা যে অংশটুকুকে চিনি, এই শক্ত আবরণটুকুকে বলা হয় ‘নেইল প্লেট’। ম্যাট্রিক্স কোষ থেকে অনবরত কেরাটিন কোষ তৈরি হয়ে বাইরে এসে নেইল প্লেট তৈরি করে। এই কোষগুলো কেরাটিন জাতীয় প্রোটিন তৈরি করে বলেই এরা শক্ত হয়ে যায় মারা যাবার পর। এখন প্রশ্ন হলো, নতুন কোষগুলো তৈরি হয়ে সামনের দিকে সমভাবে বণ্টিত হয় কীভাবে?
সমতা রেখে রেলগাড়ি চলার জন্য যেমন একটি রেল ট্র্যাক বা রেল লাইন রয়েছে, তেমনিভাবে নখেও একটি ট্র্যাক থাকে, একে বলা হয় নেইল বেড। নখের ঠিক নিচে একস্তর জীবিত কোষের আবরণ থাকে; এটি নেইল বেড নামে পরিচিত। এতে রক্তবাহিকা এবং স্নায়ু রয়েছে। এজন্যই নেইল বেডে কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা ব্যথা পাই।
ক্লাবিং উপস্থিত থাকলে হাতের নখগুলো এমন দৈত্যাকার ধারণ করে থাকে; Image Source: Drug Development Technology
নখ হিসেবে আমরা যেটুকু দেখছি পুরোটাই মৃত কোষে তৈরি। কিন্তু আমরা নখ কাঁটার সময় অগ্রভাগে নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত কাঁটতে পারি, ভেতরের দিকে কাটতে গেলেই ব্যথা লাগবে। মৃত কোষে নির্মিত নখ প্লেটে ব্যথা হয় না, যদি নখ উপড়ে ফেলা হয় কিংবা কাঁটা হয়, নেইল বেডে থাকা স্নায়ুর জন্যই আমরা ব্যথা পেয়ে থাকি। যদি কোনো দুর্ঘটনায় আঙুলে ক্ষতি হয়, নখ উপড়ে ফেলে দিতে হয়, একজন চিকিৎসক সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন নেইল বেড এবং ম্যাট্রিক্স অংশটুকুকে ঠিকমতো বসিয়ে দিতে। কারণ তাহলেই নতুন করে নখ গজিয়ে উঠবে। মোটকথা, নেইল বেড যদি অক্ষত থাকে, নেইল প্লেট ঠিকমতো পুনরায় তৈরি হয়ে যাবে।
বারংবার কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নখের বেড়ে উঠাটাকে স্রষ্টার একটি উপহার হিসেবেই ভাবা যেতে পারে। নখগুলো যদি দাঁতের মতো স্থায়ী হতো, হয়তোবা আমাদের কষ্ট করে নখ কাটা লাগতো না। আর নখ কাটা নিয়ে এত ভাবতেও হতো না। কোনো দুর্ঘটনায় নখ পড়ে গেলেও সেখানে পুনরায় গজানোর সুযোগ থাকে। দাঁতের মতো স্থায়ী কিছু হলে এই সুযোগ আর থাকতো না। একবার নষ্ট হলে কিংবা উপড়ে গেলে বাকি জীবন নখ ছাড়াই থাকতে হতো।
নখের বেড়ে উঠা খুবই ধীরগতির। পায়ের নখগুলো হাত থেকে আরো ধীর গতিতে বেড়ে উঠে। হাতের নখ প্রতি মাসে ৩ মিলিমিটারের মতো বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। অর্থাৎ ছয় মাসের ভেতর একটি আঙুলের সম্পূর্ণ নেইল প্লেটটি প্রতিস্থাপিত হয়ে যাবে নতুন নেইল প্লেট দ্বারা। কোনো দুর্ঘটনায় যদি নখের কোনো ক্ষতি হয়, চিন্তার কোনো কারণ নেই, নেইল বেড ঠিক থাকলে ৫-৬ মাসেই নতুন নখ তৈরি হয়ে যাবে। আর পায়ের নখগুলো প্রতিমাসে ১ মিলিমিটারের মতো বাড়ে, পুরো নেইল প্লেট প্রতিস্থাপিত হতে সময় প্রয়োজন প্রায় এক থেকে দেড় বছরের মতো।
সংক্ষেপে দেখুনপায়ের নখ থাকুক সুস্থ সবল; Image Source: Podiatry Belmont
নখ যে শুধু সৌন্দর্যের অংশ তা, আঙুলের অগ্রভাগকে সুরক্ষিত রাখার অস্ত্র তা নয়। মানুষের হাত পরীক্ষা করেই অনেক রোগ নির্ণয় সম্ভব। শরীরের অনেক রোগের লক্ষণই হাতে, আঙুলের ও নখে প্রকাশ পায়। উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলোর মধ্যে ক্লাবিং, লিউকোনাইকিয়া, কইলোনাইকিয়া বিশেষ। দেহের বিশেষ রোগে এই লক্ষণগুলো নখে দর্পণস্বরূপ প্রকাশিত হয়।
নখ কাটতে অসাবধানতায় এমন ইনফেকশন তৈরি হতে পারে; Image Source: Medical News Today
সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতিতে নখের যত্ন নিন। অনেকেই ম্যানিকিউর-প্যাডিকিউর করে থাকেন। এক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করলে নখে ইনফেকশন তৈরি হতে পারে। অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন, যেসমস্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পার্লারগুলো, সেখানে প্রতিবার কাজ শেষে পরিষ্কার করা হয় কিনা। নখ কাটার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করুন। আঙুলের অগ্রভাগে নেইল বেডের সীমারেখার সামান্য সামনে পর্যন্ত কাটুন। একেবারে নেইল বেড পর্যন্ত কাঁটা হলে নেইল বেড উন্মোচিত হয়ে পড়ে, যেহেতু জীবিত কোষ রয়েছে, এর নিচেই অজস্য রক্তবাহিতা, দ্রুত ইনফেকশন তৈরি হবার সুযোগ থেকে যায়।
ছোট শিশুদের নখে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। তাই বেশি গভীর করে নখ কাটবেন না; Image Source: The Irish Times
নিয়মিত নখ কাঁটুন, বাড়তি অংশে দেখা-অদেখা হাজারো ময়লা বা জীবাণু জমে থেকে মুখে চলে যায়, খাবারে মিশে যায়। খাবার গ্রহণের পূর্বে সঠিক ভাবে ভালোমতো হাত ধুয়ে নিন, নির্দিষ্ট সময় পর পর নখ কেটে ফেলুন। এতে অনেক রোগ থেকেই বেঁচে যাবেন আপনি। পায়ের নখের দিকেও নজর দিন, ওয়াশরুম থেকে জীবাণুগুলো পায়ের নখ হয়েই আপনার ঘরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। পা পরিষ্কার করা হলেও নখ কদাচিৎ পরিষ্কার করা হয়, তার চেয়ে বরং নিয়ম করে কেঁটে রাখুন। পরিবারে ছোটদের মাঝেও নখ কাঁটার এই সুন্দর অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন।