বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সৃজনশীলতাকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব না দেওয়ার মূল কারণগুলো হলো: ১. পরীক্ষা-কেন্দ্রিক শিক্ষা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রধানত পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভরশীল। পাঠ্যক্রম মুখস্থ করে ভালো নম্বর পাওয়াই এখানে শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল চিন্তা বা নবিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সৃজনশীলতাকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব না দেওয়ার মূল কারণগুলো হলো:
১. পরীক্ষা-কেন্দ্রিক শিক্ষা
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রধানত পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভরশীল। পাঠ্যক্রম মুখস্থ করে ভালো নম্বর পাওয়াই এখানে শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল চিন্তা বা নতুন কিছু শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
২. পাঠ্যক্রমের সীমাবদ্ধতা
বর্তমান পাঠ্যক্রম সৃজনশীল চিন্তার বিকাশের জন্য যথেষ্ট নয়। পাঠ্যবইগুলোতে সৃজনশীল প্রশ্ন বা কার্যক্রমের সংখ্যা কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি মুখস্থবিদ্যার উপর জোর দেয়।
৩. শিক্ষকের প্রশিক্ষণের অভাব
অনেক শিক্ষক আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান বা সৃজনশীল দক্ষতা বিকাশের জন্য প্রশিক্ষিত নন। তারা প্রচলিত পদ্ধতিতেই পাঠদান করেন, যা সৃজনশীলতার বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
৪. সৃষ্টিশীল কার্যক্রমের অভাব
স্কুলে সৃজনশীল কার্যক্রম যেমন নাটক, আর্ট, সংগীত বা বিজ্ঞানমেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়োজন করা হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীল প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পায় না।
৫. পর্যাপ্ত গবেষণার অভাব
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণার প্রতি গুরুত্ব কম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুসন্ধানী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ বা পৃষ্ঠপোষকতা নেই।
৬. সামাজিক এবং পারিবারিক চাপ
বাংলাদেশে অভিভাবকরা সাধারণত সন্তানদের একাডেমিক ফলাফলের উপর বেশি জোর দেন। তারা সৃজনশীল বিষয়ের পরিবর্তে মূল বিষয়গুলোতে ভালো ফলাফলের জন্য চাপ দেন।
সমাধান
শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য পরীক্ষার পদ্ধতিতে পরিবর্তন, পাঠ্যক্রমে সৃজনশীল বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সৃষ্টিশীল কার্যক্রম আয়োজন করা জরুরি।
সংক্ষেপে দেখুন
আমি যে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় হয়েছি সেখানে কিছু বিষয় সত্যিই হতাশাজনক মনে হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল: ১. মুখস্থবিদ্যার উপর নির্ভরশীলতা পড়াশোনার মূল লক্ষ্য ছিল পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া, তাই প্রায় সবকিছু মুখস্থ করতে হতো। নতুন কিছু শিখে তা বুঝতে পারা বা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার চেয়ে মুখস্থবিদ্বিস্তারিত পড়ুন
আমি যে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় হয়েছি সেখানে কিছু বিষয় সত্যিই হতাশাজনক মনে হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল:
১. মুখস্থবিদ্যার উপর নির্ভরশীলতা
পড়াশোনার মূল লক্ষ্য ছিল পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া, তাই প্রায় সবকিছু মুখস্থ করতে হতো। নতুন কিছু শিখে তা বুঝতে পারা বা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার চেয়ে মুখস্থবিদ্যা অনেক বেশি গুরুত্ব পেত।
২. সৃজনশীলতার অভাব
পাঠ্যক্রম এবং পাঠদান পদ্ধতিতে সৃজনশীলতার জন্য খুব কম জায়গা ছিল। প্রশ্ন করার বা নিজস্ব চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার সুযোগ সীমিত ছিল, যা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে হতাশ করতো।
৩. অতিরিক্ত পরীক্ষা
প্রতিনিয়ত পরীক্ষার চাপ এত বেশি ছিল যে শেখার আনন্দ প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। পরীক্ষা শুধু বইয়ের জ্ঞান যাচাই করত, কিন্তু বাস্তব জীবনের দক্ষতা বা সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা যাচাই করার সুযোগ দিত না।
৪. শিক্ষকের অনুপ্রেরণার অভাব
অনেক শিক্ষক ক্লাসে শুধুমাত্র সিলেবাস শেষ করার উপর জোর দিতেন। তারা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার বা শেখার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করার চেষ্টাই করতেন না।
৫. সুবিধার সীমাবদ্ধতা
প্রযুক্তির সীমাবদ্ধ ব্যবহার, লাইব্রেরির অভাব, এবং হাতে-কলমে কাজ শেখার সুযোগের অভাবও আমাকে হতাশ করেছিল। বিজ্ঞান বা প্র্যাকটিকাল বিষয়গুলো শুধু বই পড়েই শিখতে হতো।
৬. গুরুত্বহীন সহশিক্ষা কার্যক্রম
গান, নাটক, চিত্রাঙ্কনের মতো সহশিক্ষা কার্যক্রমকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হতো না। এগুলোকে শুধুমাত্র সময় নষ্ট মনে করা হতো, যা আমাকে দুঃখিত করতো কারণ আমি সবসময় এই বিষয়গুলোতে আগ্রহী ছিলাম।
এই অভিজ্ঞতাগুলো আমার শেখার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছে এবং মনে হয়েছে শিক্ষা কেবল মুখস্থ নয়, এটি হওয়া উচিত অনুসন্ধান, সৃজনশীলতা এবং জীবনের দক্ষতা অর্জনের একটি মাধ্যম।
সংক্ষেপে দেখুন