ই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কারণ এটি বিভিন্ন প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভুল তথ্য ছড়ানো, জাল খবর তৈরি করা কিংবা অন্যের ভুয়ো পরিচয় তৈরি করা- সবই সম্ভব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক আশ্চর্য প্রযুক্তির সাহায্যে অন্যের শরীরে এমন নিখুঁতভাবে জুড়ে দেওয়া হয় আরেকজনেরবিস্তারিত পড়ুন
ই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কারণ এটি বিভিন্ন প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভুল তথ্য ছড়ানো, জাল খবর তৈরি করা কিংবা অন্যের ভুয়ো পরিচয় তৈরি করা- সবই সম্ভব।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক আশ্চর্য প্রযুক্তির সাহায্যে অন্যের শরীরে এমন নিখুঁতভাবে জুড়ে দেওয়া হয় আরেকজনের মুখ, যে তা বোঝার কোনও উপায়ই নেই। বরং ভিডিওতে এমনভাবেই হাসছেন, কথা বলছেন যে সন্দেহেরও জায়গা নেই, ভিডিওতে দেখা যাওয়া মানুষটি আদৌ তিনি নন। এই প্রযুক্তির নাম হল ‘ডিপফেক’।
ডিপফেকের মাধ্যমে রীতিমতো অসাধ্যসাধন করা যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআইকে কাজে লাগিয়ে। নেটিজেনরা ফটোশপ শব্দটির সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত। ফটোশপের সাহায্যে দীর্ঘদিন ধরেই আপত্তিকর ছবিতে অন্যের মুখের ছবি জুড়ে দিয়ে নতুন ছবি তৈরি করে ব্ল্যাকমেল সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ চলে আসছে। তবে ডিপফেক প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আরও বহুগুণ উন্নত, এবং ঠিক সেই কারণেই তা বেশি আশঙ্কার কারণও বটে।
কী এই এআই ডিপফেক? এই প্রযুক্তির সাহায্যে ঠিক কতটা বিপদে ফেলতে পারে এইআই? কীভাবেই বা বাঁচবেন এই ফাঁদ থেকে?
ডিপফেক হল এমন একটি প্রযুক্তি, যার সাহায্যে মিথ্যে ছবি, ভিডিও, এমনকী অডিও-ও তৈরি করা যায়। সেই ছবি-ভিডিও কিংবা অডিও দেখে আপাতভাবে বোঝার উপায়ই নেই যে সেগুলি আসল নয়। ডিপফেকের মাধ্যমে জাল অডিও তৈরি করে কারও কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করা যায়। যাঁর সঙ্গে এমনটা ঘটছে, তাঁর অত্যন্ত কাছের মানুষরাও অনেক সময় সেই মিথ্যা ধরতে পারেন না।
কীভাবে তৈরি করা হয় জাল কন্টেন্ট?
ডিপফেক নির্মাতারা সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ‘টার্গেট’-এর ব্যাপারে যথেষ্ট পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ করে শুরু করে। এরপরে সেই সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করতে এবং শিখতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সেই প্রযুক্তির সাহায্যে মুখের বৈশিষ্ট, অভিব্যক্তি, ভয়েস প্যাটার্ন এবং অন্যান্য ‘ইউনিক’ বৈশিষ্ট শনাক্ত করে এবং ম্যাপ করে। তারপরে অন্য ভিডিও বা ছবিতে নতুন পুনর্গঠিত ডেটা ম্যানিপুলেট করে অর্থাৎ জুড়ে দিলেই তৈরি নতুন জাল কন্টেন্ট।
এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কারণ এটি বিভিন্ন প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভুল তথ্য ছড়ানো, জাল খবর তৈরি করা কিংবা অন্যের ভুয়ো পরিচয় তৈরি করা- সবই সম্ভব। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়াই ডিপফেকের জন্য তথ্য সংগ্রহের মূল জায়গা, তাই কীভাবে সমাজমাধ্যমে নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখা সম্ভব, সেই নিয়েও জানার আগ্রহ বাড়ছে মানুষের।
কীভাবে বাঁচবেন এআই-এর পাতা ফাঁদ থেকে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় উপলব্ধ ব্যক্তিগত তথ্য যথাসম্ভব কম করাই ডিপফেকের খপ্পর থেকে বাঁচার সহজতম উপায়। ছবি ভিডিও সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা কন্টেন্ট ‘পাবলিক’ না রাখাই ভাল। এছাড়া ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলও ‘প্রাইভেট’ করে রাখা যেতে পারে। ইনস্টাগ্রামে বিজনেস অ্যাকাউন্ট থাকলে ব্যক্তিগত চ্যাট, ভিডিও আর্কাইভে রাখা যেতে পারে। অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য শক্তপোক্ত, কঠিন পাসওয়ার্ড দেওয়া জরুরি।
বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামারের নাম হানিফ উদ্দিন মিয়া। বিস্তারিত জানুন..
বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামারের নাম হানিফ উদ্দিন মিয়া। বিস্তারিত জানুন..
সংক্ষেপে দেখুন