হোমপেজ/আট থেকে আশি বছরের সবাই দাবা খেলায় মেতে থাকেন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
এ এক আজব গ্রাম। এ গ্রামে আট থেকে আশি-সবাই দাবা খেলায় মেতে থাকেন। তাই তো গ্রামের নামটিও তেমনই, 'চেজ গ্রাম'। ভারতের বুকে এমন এক আজব গ্রাম রয়েছে। এ গ্রামে সবাই দাবা খেলায় ওস্তাদ। এ গ্রাম ১০০ শতাংশ মানুষই এই খেলায় দক্ষ। ভারতের এই গ্রাম বহুদিনই আলাদা করে পরিচিতি পেয়েছে। কেরালার মারোত্তিচালকবিস্তারিত পড়ুন
এ এক আজব গ্রাম। এ গ্রামে আট থেকে আশি-সবাই দাবা খেলায় মেতে থাকেন। তাই তো গ্রামের নামটিও তেমনই, ‘চেজ গ্রাম’। ভারতের বুকে এমন এক আজব গ্রাম রয়েছে। এ গ্রামে সবাই দাবা খেলায় ওস্তাদ। এ গ্রাম ১০০ শতাংশ মানুষই এই খেলায় দক্ষ। ভারতের এই গ্রাম বহুদিনই আলাদা করে পরিচিতি পেয়েছে। কেরালার মারোত্তিচালকে সবাই দাবার গ্রাম বলেই জানেন। এই গ্রামের বাসিন্দারা একটা সময়ে জুয়া আর মদে মতো খারাপ নেশায় আসক্ত ছিলেন। গ্রামেরই এক যুবক উন্নিকৃষ্ণণ পাশেই একটি ছোট্ট শহরে থাকতেন। সেখানে তিনি দাবা খেলা শেখেন। জুতো পরা নিষিদ্ধ, খালি পায়ে চলেন গ্রামের সবাই! এই রীতি চলে আসছে ৩০০ বছর তারপর তিনি দাবা খেলার প্রচলন করেন গ্রামে। খুব স্বল্প সময়ে গ্রামে এই খেলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মদ ও জুয়া ছেড়ে এই খেলার অনুরাগী হয়ে ওঠেন সবাই। গ্রামের সবাই এই ৬৪ খোপে বন্দি হয়ে যেতে শুরু করেন। দাবার জন্য মারোত্তিচাল গ্রামের খ্যাতি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এখানকার স্কুলের সিলেবাসেও দাবা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই এই গ্রামে দাবা খেলা শিখতে আসেন। অনেকেই মনে করেন, প্রশাসনের অভিযানের পরও যখন মদ ও জয়ার আসক্তি থেকে গ্রামের মানুষের মুক্তি মিলছে না, তখন উন্নিকৃষ্ণান দাবার প্রচল করে গ্রামের মোড় ঘুরিয়ে দেন। উন্নিকৃষ্ণান ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত দাবাড়ু ববি ফিশারের একনিষ্ঠ ভক্ত। সেই টান থেকেই শহরে গিয়ে দাবা শিখে তিনি গ্রামে প্রচলন করেন এই খেলার। গ্রামবাসীরাও এই খেলায় মেতে ওঠেন। গ্রামে ফিরে তিনি প্রথমে চায়ের স্টল দিয়েছিলেন। তারপর সেখানে বসাতেন দাবা খেলার আসর। চায়ের কাপে চুমুক দিতে এই খেলা চলত। Strange Village: ভারতেই এমন গ্রাম আছে যেখানে সবাই শক্তিশালী, জানেন সেই গ্রামের ঠিকানা উন্নিকৃষ্ণান এভাবেই গ্রামের প্রায় সাতশো জনকে দাবা খেলায় প্রশিক্ষিত করেন। জুয়া ও মদের নেশা ছেড়ে সবাই দাবা খেলায় মেতে ওঠে। তারাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাবা খেলায় অনুরক্ত হয়ে পড়েন। এভাবে রাতারাতি পাল্টে যায় গ্রামের চিরচেনা অভ্যাস। গ্রামের পুরুষ থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী, এমনকী বয়স্ক মহিলারাও দাবার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন।
সংক্ষেপে দেখুন