হোমপেজ/কি সেই অভিশাপ
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
কচুরিপানার বাংলায় আগমন কচুরিপানার বাংলায় আগমন ঘটেছিল ১৮৮৪ সালে। তবে এই আগমনের ইতিহাস নিয়ে নানা রকম তথ্য পাওয়া যায়। জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া বলছে, ১৮শ শতকের শেষভাগে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল থেকে কচুরিপানা নিয়ে আসা হয়েছিল। মূলত আমাজন জঙ্গলের জলাশয়ে থাকা উদ্ভিদ এটি। কচুরিপানার হালকা বেগুনি রঙের অরবিস্তারিত পড়ুন
কচুরিপানার বাংলায় আগমন
কচুরিপানার বাংলায় আগমন ঘটেছিল ১৮৮৪ সালে। তবে এই আগমনের ইতিহাস নিয়ে নানা রকম তথ্য পাওয়া যায়।
জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া বলছে, ১৮শ শতকের শেষভাগে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল থেকে কচুরিপানা নিয়ে আসা হয়েছিল।
মূলত আমাজন জঙ্গলের জলাশয়ে থাকা উদ্ভিদ এটি।
কচুরিপানার হালকা বেগুনি রঙের অর্কিড-সদৃশ ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জর্জ মরগান নামে এক স্কটিশ ব্যবসায়ী ব্রাজিল থেকে বাংলায় কচুরিপানা নিয়ে আসেন।
অন্য আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের একজন পাট ব্যবসায়ী অস্ট্রেলিয়া থেকে এই কচুরিপানা বাংলায় এনেছিলেন।
কচুরিপানা প্রকৃতগতভাবে খুবই সহনশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল এক উদ্ভিদ। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে এই একটিমাত্র উদ্ভিদ যা মাত্র পঞ্চাশ দিনে তিন হাজারের বেশি সংখ্যায় বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে যেতে পারে।
এ উদ্ভিদ পানিতে ঘণ্টায় তিন মাইল গতিতে ভ্রমণ করতে পারে। বিভিন্ন প্রজাতির জলচর পাখি এদের বিস্তারে সাহায্য করে।
বিস্ময়কর এসব বৈশিষ্ট্যের সাথে সাথে, বাংলায় আগমনের পর কচুরিপানা এ অঞ্চলে বহু ভোগান্তি আর যন্ত্রনাও জন্ম দিয়েছে।
১৯২০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি নদ-নদী, খাল-বিল কচুরিপানায় ছেয়ে যায়। যা সেসময় কৃষিখাতে দুর্দশা ডেকে আনে।
এতে বড় ধাক্কা লাগে তৎকালীন পূর্ব বাংলার অর্থনীতিতে।
প্রতিবছর শুধুমাত্র কচুরিপানার কারণে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আমন ধান নষ্ট হয়।
সেসময়ে পণ্য আনা-নেয়া বা বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান রুট ছিল নদী পথ, অথচ কচুরিপানার কারণে অনেক সময়ই জলাশয়ে চলাচলও দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে।
আবার কচুরিপানা পচে পানির নীচে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়তো, এর ফলে পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়।
এতে একদিকে পানির নিচের জলজ উদ্ভিদ মরতে শুরু করে, সেইসাথে প্রচুর মাছও মরে যায়।
মানুষের জন্য এই পানি ব্যবহার করা অনিরাপদ হয়ে উঠেছিল।
জেলেরাও কচুরিপানার জন্য জাল ফেলতে পারতেন না। এসব কারণে তখনকার গণমাধ্যমে কচুরিপানাকে ‘বিউটিফুল ব্লু ডেভিল’ এবং ‘বেঙ্গল টেরর’ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছিল।
সংক্ষেপে দেখুন