হোমপেজ/চ্যাম্পিয়ন্স লীগ
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
ক্লাব ফুটবলের সবচাইতে মর্যাদাময় ট্রফি হলো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ।প্রতি বছরই ইউরোপিয়ান লীগগুলোর সেরা দলগুলো নিয়ে হয় এই টুর্নামেন্ট।এই সেরা দলগুলোরই এমন সব সেরা খেলোয়াড় রয়েছে যারা কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের স্বাদ পাননি। ১)রোনালদো লিমা সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন ব্রাজিলের এই রোনালদো, মতান্তরে সরবিস্তারিত পড়ুন
ক্লাব ফুটবলের সবচাইতে মর্যাদাময় ট্রফি হলো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ।প্রতি বছরই ইউরোপিয়ান লীগগুলোর সেরা দলগুলো নিয়ে হয় এই টুর্নামেন্ট।এই সেরা দলগুলোরই এমন সব সেরা খেলোয়াড় রয়েছে যারা কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের স্বাদ পাননি।
১)রোনালদো লিমা
সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন ব্রাজিলের এই রোনালদো, মতান্তরে সর্বকালের সেরা। কিন্তু ইনজুরির কারণে তার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ক্যারিয়ার খুব বেশি আলোকিত নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের মাত্র ৪০ ম্যাচ খেলা এই স্ট্রাইকার পিএসভি,বার্সেলোনা এবং ইন্টার মিলানের হয়ে খেলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে কিছু করতে পারেননি।
রোনালদো লিমা
২০০৩ সালে মাদ্রিদে যোগ দেয়ার পর মনে হচ্ছিল এবার হয়ত ট্রফি হাতে পেয়েই যাবেন। কিন্তু বিধি বাম! ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করার পর সেমিতে জুভেন্টাসের সাথে ৩৮ মিনিট খেলে পড়েন ইনজুরিতে। পরের বছরও চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ফ্লপ যায় মাদ্রিদ।এরপর আর তেমন সুযোগ পাননি তিনি। ২৭ বছর বয়সে খেলেন নিজের শেষ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ম্যাচ।
২)জিয়ানলুইজি বুফন
২০০৩ ,২০১৫ ,২০১৭ তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে উঠলেও জেতা হয়নি একবারও। বিশ্বকাপ জেতা সর্বকালের সেরা গোলকিপারদের একজন হলেও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ট্রফি হাতে তুলার সুযোগ হয়নি এই ইতালিয়ানের। এই ট্রফির আশায় একবছর পিএসজিতেও কাটিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে থাকা ওলে গোনা সুলশায়েরের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে বিদায় নেন সেখানে।
জিয়ানলুইজি বুফন
৩)ইব্রাহিমোভিচ
চ্যাম্পিয়ন্স লীগের পনের মৌসুমে ১২০ ম্যাচে ৪৮ গোল করা এই সুইডিশ স্ট্রাইকার কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের স্বাদ পাননি। আয়াক্সের হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে হেরেছিলেন এসি মিলানের কাছে। ক্যানাভারো এবং নেদভেদ এর সাথে জুভেতে খেলে টানা দুইবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছেন। বার্সার হয়ে সেমিতে উঠে বাদ পড়েছেন ইন্টারের কাছে হেরে,যেই ক্লাব তিনি এর আগের মৌসুমেই ছেড়ে এসেছেন। এসি মিলানের হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়েছেন বার্সার কাছে।এভাবে কখনোই আর ফাইনালে ওঠা হয়নি এই সুইডিশ স্ট্রাইকারের ।
ইব্রাহিমোভিচ
৪)গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা
লিজেন্ডারি একজন খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। আইকনিক একজন স্ট্রাইকার।করেছেন দারুণ সব গোল। কিন্তু কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নক আউট স্টেজে নিতে পারেননি দলকে। একবার ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ারে হয়েছিলেন তৃতীয়। তার দল ফিওরেন্টিনা সিরি আ তে তৃতীয় হওয়া সত্ত্বেও ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ারে থাকা বাতিগোলের কপালে কখনো জুটেনি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এর মেডেল ।
গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা
৫)ডেনিস বার্গক্যাম্প
ডেনিস বার্গক্যাম্প
আর্সেনালের হয়ে অষ্টমবার চেষ্টার পর চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে উঠেন বার্গক্যাম্প।কিন্তু ততদিনে বয়স হয়েছে অনেক তাই ফাইনালে তাকে নামাননি ওয়েংগার।সেই ফাইনাল ২-১ গোলে হারে আর্সেনাল। ক্যারিয়ারে আছে দুটি উয়েফা কাপ ( একটি আয়াক্সের হয়ে,অন্যটি ইন্টার মিলান)। কিন্তু এই অর্জনে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ আর যোগ হয়নি।
৬)ফ্যাবিও ক্যানাভারো
ব্যালন ডিঅর জয়ী সর্বশেষ খেলোয়াড় ফ্যাবিও ক্যানাভারো যিনি চ্যাম্পিয়ন্সলীগ জিতেননি। ফুটবল ইতিহাসের সেরা ডিফেন্ডারদের তালিকা করলে তাতে অনায়াসে থাকবেন এই ইতালিয়ান। ইন্টার মিলানের হয়ে সেমিতে উঠলেও এসি মিলানের কাছে এওয়ে গেলে হেরে বাদ পড়ে তার দল। এরপর জুভেন্টাস-মাদ্রিদের হয়ে খেলেও কখনো সেমিতেও উঠতে পারেননি। নেদভেদের জুভের এই সতীর্থ টানা দুইবার কোয়ার্টার ফাইনাল হারেন ইংলিশ দলের কাছে।
ফ্যাবিও ক্যানাভারো
৭)পাভেল নেদভেদ
পাভেল নেদভেদ
২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম জুভেন্টাসের খেলা চলছে । দারুণ এক গোল করে এই চেক মিডফিল্ডার জুভেন্টাসকে নিয়ে গেলেন ফাইনালে । কিছুক্ষণ পরই অপ্রয়োজনীয় ট্যাকেল করে বসেন স্টিভ ম্যাকমানামানকে । ফলস্বরূপ হলুদ কার্ড দেখে ফাইনালের জন্য সাস্পেন্ড হন তিনি । সে বছর ব্যালন ডি’অর জিতলেও এই চ্যাম্পিয়ন্স লীগ না জেতার আক্ষেপ তাকে ক্যারিয়ারের বাকি সময়টাতে তাকে কুরে কুরে খেয়েছে । জুভের হয়ে আরও দুইবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন নেদভেদ কিন্তু দুবারই লিভারপুল এবং আর্সেনালের কাছে হেরে বাদ যান টুর্নামেন্ট থেকে।
৮)মাইকেল বালাক
লেভারকুজেন এর হয়ে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২০০২ সালে হারার হতাশা থেকে ২৫ বছর বয়সী বালাক যখন বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন,তখন হয়ত ভেবেছিলেন এবার অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লীগটা পেয়েই যাবেন। বায়ার্ন এবং চেলসির হয়ে মোট ১৩টি মেজর ট্রফি জিতলেও তার আর কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতা হয়নি। জিদানের সেই ভলি তার জন্য ছিল আজীবনের দুঃস্বপ্ন।আরেকবার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তার চেলসির হয়ে । কিন্তু ২০০৯ এর বার্সার সাথে সেই বিতর্কিত সেমিফাইনালে হেরে সেই সুযোগও হারান এই জার্মান মিডফিল্ডার।
মাইকেল বালাক
৯)প্যাট্রিক ভিয়েরা
ফ্রান্সের দারুণ একজন খেলোয়াড়।আর্সেনালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতার সৌভাগ্য হয়নি। বরং আর্সেনাল ছাড়ার পর জুভেন্টাসের হয়ে খেলেছেন আর্সেনালের বিপক্ষে এবং হেরেছেন ২-০ গোলে। মরার উপর খাঁড়ার ঘা এর এর মত সেই ম্যাচে কার্ড খেয়ে আর্সেনালের সাথে পরের লেগ মিস করেন এই ফ্রেঞ্চম্যান। এরপর ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ইন্টার মিলান ছাড়ার পর সেই বছর মে মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতে ইন্টার মিলান।
প্যাট্রিক ভিয়েরা
১০)রুড ফন নিস্টেলরয়
চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলধারী একজন খেলোয়াড় নিস্টেলরয় (৫৬)। কিন্তু তারপরও এই ডাচম্যান কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতেননি। জেতা দূরে থাক , নিস্টেলরয় কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালেও উঠতে পারেননি।ট্রফির সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ তার হয়েছিল ২০০২ সালে , যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বেয়ার লেভারকুজেন এর কাছে হেরে বসে সেমিফাইনালে। এই ডাচ স্ট্রাইকার কপাল এতটাই পোড়া যে যখন তিনি ম্যানচেস্টারে খেলতেন তখন রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছিল , আবার যখন মাদ্রিদে খেলতেন ট্রফি জেতার সৌভাগ্য অর্জন করেছিল ইউনাইটেড।
রুড ফন নিস্টেলরয়
সংক্ষেপে দেখুন