Home/জাফরান তেল ব্যবহারের নিয়ম
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
জাফরান কি ভাতের মতো খাওয়া শুরু করবেন? জি না, জাফরান খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। চলুন জাফরান খাওয়ার নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক জাফরান খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে রাত। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। অবশ্যই অরিজিনাল জাফরান থেতে হবে। ১ কাপ খাঁটি গরুর দুধ, অবশ্যই গুড়ো দুধ নয়। ১ চিমটি জাফরাRead more
জাফরান কি ভাতের মতো খাওয়া শুরু করবেন? জি না, জাফরান খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। চলুন জাফরান খাওয়ার নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক জাফরান খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে রাত। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। অবশ্যই অরিজিনাল জাফরান থেতে হবে। ১ কাপ খাঁটি গরুর দুধ, অবশ্যই গুড়ো দুধ নয়। ১ চিমটি জাফরান, ১ চামচ কিসমিস বাটা বা আস্ত কিসমিস, এবং ১ চা চামচ অরগানিক বা খাঁটি মধু।
আগে ভালো ভাবে দুধ ফুটিয়ে নিন। ফুটানো দুধের সাথে জাফরান দিয়ে ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। এর মধ্যে বাটা বা আস্ত কিসমিস দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। কুসুম গরম দুধের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন। অবশ্যই দুধ ঠাণ্ডা হওয়ার আগে পান করুন। স্বাস্থের জন্য ভাল।
জাফরান কি ভাতের মতো খাওয়া শুরু করবেন? জি না, জাফরান খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। চলুন জাফরান খাওয়ার নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক জাফরান খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে রাত। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। অবশ্যই অরিজিনাল জাফরান থেতে হবে। ১ কাপ খাঁটি গরুর দুধ, অবশ্যই গুড়ো দুধ নয়। ১ চিমটি জাফরান, ১ চামচ কিসমিস বাটা বা আস্ত কিসমিস, এবং ১ চা চামচ অরগানিক বা খাঁটি মধু।
আগে ভালো ভাবে দুধ ফুটিয়ে নিন। ফুটানো দুধের সাথে জাফরান দিয়ে ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। এর মধ্যে বাটা বা আস্ত কিসমিস দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। কুসুম গরম দুধের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন। অবশ্যই দুধ ঠাণ্ডা হওয়ার আগে পান করুন। স্বাস্থের জন্য ভাল।
এক কাপ দুধে এক চিমটি জাফরান এবং ২ চামচ চিনি মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। আপনার প্রতিদিনের রুটিনে রাখুন জাফরান দুধ চা, এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। জাফরান ঘণ কমলা রঙের জলে মিশে যায় এমন এক ধরনের ক্যারোটিন থাকে, যাকে ক্রোসিন বলা হয়। এই ক্রোসিনের জন্যই খাবারে জাফরান ব্যবহার করলে একটা উজ্জ্বল সোনালি রং হয় খাবারে।
বাংলাদেশের সব মানুষ জাফরান ব্যবহার করে না বা তারা জাফরানের ব্যবহার সম্পর্কে জানে না। ১ গ্রাম জাফরানের দাম বাংলাদেশে ৩০০ টাকা। ১ গ্রাম জাফরানের জন্য ১৫০টি ফুল দরকার। প্রতি কেজি ফুল থেকে মাত্র ৭২ গ্রাম জাফরান পাওয়া যায়। ১ কেজি জাফরানের জন্য প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ফুলের প্রয়োজন হয়। আপনারা ৫০০ গ্রাম জাফরান কিনতে পারবেন ১৫০০০০ টাকা দিয়ে। ১০০ গ্রাম জাফরান বিক্রি করা হয় ৩০,০০০ টাকায়। জাফরানের দাম অনেক বেশি। তাই এটি গ্রাম আকারে বিক্রি করা হয়। খুব কম মানুষ কেজিতে জাফরান কিনে থাকে। ১ কেজি জাফরানের দাম ৩০০০০০ টাকা। এটি বাংলাদেশি মূল্য। এছাড়া জাফরানের গুনগত মানের উপর ভিত্তি করে এর দাম নির্ধারন করা হয়। সাধারণ মানের প্রতি কেজি জাফরানের মূল্য ২৫০০০০ টাকা পর্যন্ত। অনেক জাফরান ২২০০০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়। যদি অরজিনাল জাফরান কিনতে চান, তাহলে এর দাম নিবে ৩ লাখ টাকা।
* উপকারিতা
জাফরানের যেমন দাম তেমনি এর উপকারিতা। এই মশলাটির রয়েছে বহুমাত্রিক গুণাবলি ও উপকারিতা। এক নজরে জাফরানের উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যাক মুল্যবান এই মশলাটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন, ভিটামিন সি সহ ১৫০ টি উপাদান যা কিনা মানব শরীরের অনেক উপকারে আসে।জাফরানে রয়েছে ক্রোসিন যা কিনা শুধুমাত্র খাবারের রংই পরিবর্তন করে না। এই ক্রোসিন মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কোষ যেমন- ওভারিয়ান, কাসিনোমা, লিউকেময়া প্রভৃতি ধবংস করতে সহয়তা করে থাকে। আর জাফরানে এক প্রকার ক্যারোটিন থাকে যা কে ক্রোসিন বলা হয়ে থাকে।
* স্মৃতিশক্তি
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে জাফরানের রয়েছে দারুন কার্যকরিতা। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে জাফরান মানুষের স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর অনেক আগে থেকেই স্মৃতিশক্তি এবং পারকিনসন হাড়িয়ে যাওয়া লোকদের চিকিৎসায় জাপানে জাফরান ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।স্মৃতিশক্তি বাড়াতে জাফরান এর বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়ছে।
ভাইটালিটি
ভাইটালিটি বাড়াতে জাফরান ও দুধ পান করা যেতে পারে। খুবই উপকারি এটি। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পরিমান দুধ ও এক চিমটে পরিমান জাফরান মিশিয়ে পান করুন আপনার শরীরের ভাইটালিটি বেড়ে যাবে।
* শারীরিক উন্নতি
যেসকল মেয়েদের দেখতে দেখলে রোগা রোগা লাগে ওই সকল মেয়েদের জন্য জাফরান খুবই কার্যকরি । তারা প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ দুধ+জাফরান মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরে হরমোন উদ্দীপ্ত করে তুলবে। এবং নিয়মিত পান করলে বেশ কিছু দিনের মধ্যেই এর কার্যকরীতা আপনি নিজেই টের পাবেন।
* গর্ভাবস্থায় জাফরান
গর্ভবতী নারীদের জাফরান খাওয়ার প্রচলন অনেক আগে থেকেই। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন নানা সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চলুন গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা কি জেনে নেওয়া যাক
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে জাফরান বিশেষ উপকারি। গর্ভকালিন সময়ে অনেক গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপ বেড়ে ও কমে যায়। খাদ্য তালিকায় জাফরান ও ভিটামিন জাতীয় ফলমূল, সবুজ শাক -সবজি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে থাকে।
* অস্বস্তি ও ক্লান্তি দূর
নিয়মিত জাফরান খেলে অস্বস্তি ও ক্লান্তি দূর হয়। ব্যাথা নিরাময়ে জাফরান বেশ কার্যকরী। বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে টার নড়াচড়ার মাত্রা বেড়ে যায়। এবং মায়ের পেশিগুলোও বাচ্চার জন্য স্থান প্রসরিত করে সামঞ্জস্য করে নেয়। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময় মায়েরা পেটে ব্যাথা অনুভব করে। গর্ভবতী কালিন সময়ে জাফরান গ্রহন করলে এই ব্যাথার মাত্রা কিছুটা কম অনুভব হয়।
* শরীরে আয়রনের স্তর বাড়ায়
গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়া একটি কম সমস্যা। যা কিনা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। এই সময়ে বেশি পরিমান আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত খাবার তালিকায় জাফরান রাখলে এটি আপনার শরীরে আয়রন ও হিমোগ্লোবিনের স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্র্যাম্পস থেকে মুক্তি দেয়, হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে, শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা নিরাময় করে; মাড়িতে ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে, উন্নত ও স্বাস্থ্যকর হাড় গঠন করে।
.
জাফরান তেল ব্যবহারের নিয়ম
নানান ধরণের গুনাগুন সম্পন্ন একটি প্রাকৃতিক উপাদান হল জাফরান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানান ধরণের ক্ষেত্রে রয়েছে জাফরানের ভূমিকা। কিন্তু আপনি জানেন কি শুধুমাত্র একটি খাবার আইটেম হিসেবে জাফরান সমাদৃত তা কিন্তু নয় ,বরং জাফরান থেকে তৈরিকৃত এক ধরণের তেল উৎপন্ন হয়ে থাকে যার রয়েছে নানান ধরণের উপকারিতা। জফরানের থেকে তৈরিকৃত এই তেল সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি তেল। কিন্তু আপনি কি জানেন জফরান তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জাফরান তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে
নারীর সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে চুলের ভূমিকা সবার উর্ধে। কালো ,সুন্দর এবং ঝলমলে চুল কে না পছন্দ করে বলেন ?সুস্থ এবং সুন্দর চুল সকলের পছন্দ।কিন্তু আমাদের প্রত্যাহিক জীবনযাত্রার কারণে আমরা আমাদের চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলতে বসেছি। দূষিত পানি,অপুষ্টিকর খাবার ,ধুমপান, মদ্যপান, নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ কিংবা অনিয়নতান্ত্রিক জীবনযাপনের কারণে আমরা আমাদের চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে যেতে বসেছি।
আজকাল তাই চুল পড়া ,টাক হওয়া ,খুশকির মতো এইসকল সমস্যা আমাদের চুলের একটি নিত্যনৈমিত্তিক সঙ্গী। কিন্তুআমরা চাইলে আমাদের চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য খুব সজজে ফিরিয়ে আনতে পারি। আপনি যদি আপনার চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চান এবং আপনি যদি আপনার নিষ্প্রাণ চুলকে প্রাণ দিতে চান তাহলে আপনি ব্যবহার করতে পারেন জাফরান অয়েল। এটি আপনার চুলকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করে চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বেশ ভূমিকা পালন করবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জাফরান তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে
· খুশকির প্রাদুর্ভাব কমাতে
খুশকি একটি চর্মরোগ হলেও আমাদের চুলের প্রধান সমস্যা। খুশকির প্রাদুর্ভাব হলে আমাদের আমাদের চুলের স্বাবাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনি চুলে খুশকির প্রাদুর্ভাব কমাতে ব্যবহার করতে পারেন জাফরানের তেল।
প্রথমে একটি স্টিলের বাটিতে জাফরানের তেল ঢেলে তার সাথে খানিকটা গোলমরিচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে আপনি অল্প আঁচে চুলার নিচে গরম করুন। হালকা গরম হলে চুলের মধ্যে আপনি ভালোভাবে বিলি কেটে পুরো চুলে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারের ফলে, বেশ অল্প সময়ের মধ্যে আপনি আপনার চুল থেকে খুশকির সমস্যা দূর করতে পারবেন।
· চুলের আগা ফাটা রোধে
চুলের আগা ফাঁটা সমস্যা সমাধানে বেশ ম্যাজিকের মতো কাজ করে থাকে জাফরানের তেল। জাফরান আমাদের চুলের আগা ফাটা সমস্যা সমাধানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ব্যবহারবিধি:
চুলের আগা ফাটা সমস্যা সমাধানে আপনি ব্যবহার করতে পারেন জাফরান অয়েল। প্রথমে আপনি খানিকটা জাফরান অয়েলের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে আপনি আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন আপনার চুলের যত্নে। নিয়মিত এই উপায়ে জাফরান তেল ব্যবহারের ফলে আপনি খুব সহজে আপনার চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করতে পারবেন।
· চুল পড়ার হার কমাতে