হোমপেজ/তাইওয়ান
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
না, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করবে না। চীন কেন তাইওয়ান আক্রমণ করবে না ঃ চীন আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে সাই ইং-ওয়েন যদি স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন, তবে এর প্রতিশোধ হবে কঠোরতম। প্রেসিডেন্ট সাই ইংয়ের সাথে ম্যাকার্থির বৈঠকের পরই চীনের সামরিক বাহিনী তাইওয়ানকে ঘিরে শুরু করে তিন দিনের রণপ্রস্বিস্তারিত পড়ুন
না, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করবে না।
চীন কেন তাইওয়ান আক্রমণ করবে না ঃ
চীন আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে সাই ইং-ওয়েন যদি স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন, তবে এর প্রতিশোধ হবে কঠোরতম। প্রেসিডেন্ট সাই ইংয়ের সাথে ম্যাকার্থির বৈঠকের পরই চীনের সামরিক বাহিনী তাইওয়ানকে ঘিরে শুরু করে তিন দিনের রণপ্রস্তুতি মহড়া। গত বছর আগস্টে যখন মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন, তখনও চীন তেমনই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। এরই জের ধরে শুরু হয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র চিপ যুদ্ধ।
চীন কেন তাইওয়ান আক্রমণ করবে না ঃ
বিশ্লেষকরা মনে করছেন- চীনের তাইওয়ান আক্রমণ নিকটবর্তী তা বলা যাবে না। দীর্ঘমেয়াদে হয়তো চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করতে পারে, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে চীনের কৌশলগত ও নীতিগত অবস্থান তাইওয়ানে আক্রমণের দিকে নিয়ে যেতে পারে, এমন ধারণার বিপরীত মত বিশ্লেষকদের।
চীন এমন একটি বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে যেখানে শুধু উন্নত দেশের নেতৃত্ব থাকবে না, বরং থাকবে উন্নয়নশীল দেশের নেতৃত্বও। উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নে চীনের বন্ধুরূপে আবির্ভাব, করোনা মহামারীর সময়ে চীনের মাস্ক ডিপ্লোম্যাসির দ্বারা দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানো ইত্যাদি চীনের শক্ত সফট পাওয়ার কৌশল নির্দেশ করে।
তাছাড়া চীন বোঝাতে চায় যে তার নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থায় বন্ধু দেশের সরকারব্যবস্থায় চীন নাক গলাবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেমন গণতন্ত্র চাপিয়ে দিতে চায়, চীনের ভাষ্যমতে তারা এটি করবে না। রাশিয়া যেমন ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেয়ায় নিরাপত্তা হুমকি মনে করে আক্রমণ করে, সেদিক থেকে চীন একটু ভিন্ন। বরং চীন মনে করে- তাইওয়ান তাদের অংশ, বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড তারা বন্ধ করবে।
তাইওয়ান পৃথিবীর ৯০ শতাংশ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করে। চীনের তাইওয়ান আক্রমণ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করলে তা ক্রেতা দেশে চীনের সুনাম নষ্ট করবে। চীনের সাথে তাইওয়ানের বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। তাইওয়ানের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ২৬ শতাংশ হয় চীনের সাথে। চীনের পণ্যের একটি বড় ক্রেতা তাইওয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনও তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টরের অন্যতম ক্রেতা রাষ্ট্র। চীনের বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টর ক্রয়ের পরিমাণ তেল ক্রয়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনা বিশ্বব্যবস্থায় কোনো দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা হবে সুপারপাওয়ারের প্রভাবমুক্ত, অর্থাৎ দেশটি হতে পারে রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আবার গণতন্ত্র। আবার চীনের নেতৃত্বের বিশ্বে এশিয়ায় মার্কিন প্রভাব থাকবে না। এখন চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, তাহলে তার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত হবে এই কারণে, তাইওয়ান একটি গণতান্ত্রিক দেশ, মার্কিন প্রভাব বলয়ের একটি দেশ।
তাই বলা যায়, অদূর ভবিষ্যতে চীন তাইওয়ান আক্রমণ করবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে চীনের তাইওয়ান আক্রমণের সম্ভাব্যতা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
সংক্ষেপে দেখুন