হোমপেজ/পান্তা ভাত
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
পান্তা ভাত এর কথা কম বেশি সবাই চিনে।তবে বিশেষ করে বাঙালিরা এর সম্পর্কে অনেক জানে।অনেকই আছে শুধু পান্তা -ভাত খায়।কিন্তু এর উপকার ও অপকারিতা কি এর সম্পর্কে অনেকই জানেন না। তবে এই পান্তা-ভাতের গুণ সম্পর্কে জানলে অভাব হবেন।কয়েকজন বিজ্ঞানী এই পান্তা-ভাত নিয়ে গবেষণা করে তারা কি জানান তা জানতে পুরো পোস্টটিবিস্তারিত পড়ুন
পান্তা ভাত এর কথা কম বেশি সবাই চিনে।তবে বিশেষ করে বাঙালিরা এর সম্পর্কে অনেক জানে।অনেকই আছে শুধু পান্তা -ভাত খায়।কিন্তু এর উপকার ও অপকারিতা কি এর সম্পর্কে অনেকই জানেন না। তবে এই পান্তা-ভাতের গুণ সম্পর্কে জানলে অভাব হবেন।কয়েকজন বিজ্ঞানী এই পান্তা-ভাত নিয়ে গবেষণা করে তারা কি জানান তা জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আশা করি অনেক উপকারে আসবে।দক্ষিণ-পশিমাংশা এই পানি মিশানো বা পান্তা-ভাত বেশি খাওয়া হয়।
পান্তা-ভাতের উপকারীতা:
১.পান্তা-ভাতে থাকা পুষ্টি দেহের রোগ–প্রতিরোধকে শক্তিশালী করে।
২.পান্তা-ভাতে রয়েছে আয়রন যা দেহে রক্তে অক্রিজেনের পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে।
৩.শরীরলে হাড় গুলা শক্তিশালী করে ক্যালসিয়াম যা পান্তা-ভাতের মধ্যে রয়েছে।
৪.শরীলে নিঃসৃত অ্যানজাইমকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম যা পাওয়া যায় এই পান্তা-ভাত থেকে।
৫.পান্তা ভাতে প্রচুর পরিমানে বিটা-সিটোস্টেরল, কেম্পেস্টেরোলের মতো মেটাবলাইটস রয়েছে যা শরীরকে প্রদাহ বা যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে। এইগুলা কোলেস্টোরেল কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
৬.শরীলের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এই পানি মিশানো বা পান্তা-ভাত।
৭.ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য করে এই পান্তা-ভাত। কারণ এই পান্তা-ভাতে রয়েছে গ্লুকোসাইড ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো মেটাবলাইটস।
৮.পান্তা-ভাতের রয়েছে ল্যাকটিক এসিড ব্যকটেরিয়া যা একজন মানুষের দেহের জন্য অনেক প্রয়োজন।
পান্তা-ভাতের অপকারীতা
পান্তা-ভাত অপকার কি কি হতে পারে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছে।পান্তা-ভাত হবে তখনই যখন ভাত আর পানি কয়েক ঘন্টা একসাথে এক পাত্রে রাখা হবে। পান্তা-ভাত একটি সংরক্ষিত পদ্ধতি। কিন্তু সংরক্ষের ক্ষেত্রে ১২ ঘন্টারও বেশি রাখা হলে তখন পান্তা-ভাত এক ধরনের অ্যালকোহলে পরিণত হয়।
১২(বার) ঘন্টাও বেশি সময় রাখার পর সেগুলা গেলে শরীর মেচমেচ করি এবং অনেক ভালো ঘুম আসে। আর এই পান্তা-ভাত তৈরির ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানি আর বিশুদ্ধ পাত্র রেখে তৈরি করা না হয় তবে ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া জম্ম হয় যা খেলে মানুষ অসুস্থ হতে পারে।কারণ তখন সেই ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া গুলা দেহের ভিতরে বিভিন্ন অঙ্গ–প্রতঙ্গে আক্রান্ত করে।ফলে একেক জনের ক্ষেত্রে একেক ধরনের সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
সঠিক নিয়মে পান্তা-ভাত তৈরি :
পান্তা-ভাত বা পানি মিশানো ভাত এর সাথে বাঙালিরা সবাই পরিচিত। বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ পশ্চিমাংশের সবাই এই পান্তা-ভাত বা পানি মিশানো ভাত খেয়ে থাকেন।তবে একেক জায়গায় একেক নামে ডাকে এই পানি মিশানো ভাতকে।কিন্তু আমরা জানি না কিভাবে পান্তা-ভাত খেলে আমাদের উপকার হবে।এই পান্তা-ভাত বা পানি মিশানো ভাত এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো খাবার যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য।খাবার নষ্টের আগেই পানি দিয়ে ভাত ভিজিয়ে রাখত প্রাচীন কালের মানুষরা।সেখান থেকেই এই পান্তা-ভাত প্রচলিত হতে শুরু করে। এই পান্তা-ভাত খেলে শরীরলে শক্তি পাওয়া যায় ফলে যারা কৃষক তারা দুপুরে এই পান্তা-ভাত খুব পছন্দ করে থাকে। তবে আজকাল গরিব ধনি থেকে শুরু করে সব লোকেরাই এই পুষ্টকর পান্তা-ভাত খেয়ে থাকে।কারণ মানুষ আজকাল সভ্য হচ্ছে এর ভালো দিক সম্পর্কে শিখতে পারছে শিখতে পারছে।কিন্তু অনেকেই শুরু পান্তা-ভাত খান কিন্তু কিভাবে খেলে এর পুষ্টি পাওয়া যায় তা জানেন না। ফলে আমাদের দেহে তেমন উন্নতি হচ্ছে না।তবে আজকে পড়ে শিখে নেন কিভাবে সঠিক নিয়মে পুষ্টিকর পানি মিশানো বা পান্তা-ভাত বানাতে হয়।প্রথমে একটি পরিস্কার পাত্র নিন। প্রয়োজন হলে ভালো করে পরিস্কার করে নিন।তারপর বিশুদ্ধ পানি নিন যেগুলা ভাতের মধ্যে মিশাবেন। পরিস্কার পাত্রে ভাত রেখে নিন।সেখানে পরিমান মতো (পানি যাতে ভাতের উপরে থাকে অর্থ্যাৎ ভাত পানির মধ্যে ডুবে থাকে) পানি দিন।তবে খেয়াল করবেন পাত্র যেন ফাটা,ছিদ্র না থাকে।কারণ তা না হলে কয়েক ঘন্টা পর পানি সব পড়ে যাবে। আর গরম ভাত দিয়ে পান্তা-ভাত তৈরি না করাই ভালো। তবে প্রয়োজন হলে করতে পারেন।এই পাত্রের মধ্যে ১২(বার) ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে দিন।
পান্তা ভাতে ক্যালরির পরিমাণ:
পান্তা-ভাত আর সাধারণ ভাতের মধ্যে অনেক পুষ্টির পার্থক্য রয়েছে। তবে জেনে নেয় সেই পুষ্টির পাথক্য গুলো। পান্তা-ভাতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,জিংক,ফসফরাস, ভিটামিন বি ইত্যাদি। ১০০মিলিগ্রাম সাধারণ ভাতে আয়রনের পরিমাণ ৩.৫ মিলিগ্রাম আর ক্যালসিয়ামে থাকে ২১ মিলিগ্রাম। কিন্তু ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর এর পরিমান সাধারণ ভাতের তুলনায় বেড়ে যায়।যেমন ১০০ মিলিগ্রাম ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর আয়রনের পরিমাণ দাড়ায় ৭৩.৯ মিলিগ্রাম আর ক্যালসিয়াম এর পরিমান হয় ৮৫০ মিলিগ্রাম।এইরকম ভাবে পটাসিয়াম,জিংক,ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন বি এর পরিমানও বেড়ে যায়।
সকালে পান্তা ভাত খেলে কি মোটা হয়:
সকালে পান্তা ভাত খেলে কি মোটা হয় এই সম্পর্কে বলতে আগে জানতে হবে আপনি কত সময় বা ঘন্টা পানি মিশানো ভাত বা পান্তা-ভাত রেখেছেন।আর আপনি কি প্রতিদিন সকালে পান্তা-ভাত খাওয়ার অভাস আছে।আর আপনি কি দিনে কোন পরিশ্রম করেন। যদি আপনি কোন কায়িকশ্রমের করেন থাকলে আপনার জন্য পান্তা-ভাত আপনার দেহে মোটা হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করবে না।কারণ পান্তা-ভাত থেকে উৎপন্ন ক্যালরি তা আপনি খরচ করে ফেলছেন।আর যদি কায়িকশ্রম না করেন থাকলে আপনার দেহে ক্যালরির পরিমান বেড়ে যাবে এবং এক সময় আপনি মোটা হয়ে যাবেন।
প্রতিদিন পান্তা-ভাত খাওয়ার অভাস থাকে এবং কোন কায়িকশ্রমে করেন না তাহলে অনায়াসে বলা যায় আপনার দেহে দিন দিন ক্যালরি বাড়বে এবং আপনি মোটা হয়ে যাবেন।তবে যারা কায়িকশ্রমে বা হাটাঁহাটিঁ বা ব্যায়াম করেন অর্থ্যাৎ শরীলে ক্যলরি ব্যায় বা ফুড়ান তাহলে পান্তা-ভাতের জন্য আপনার শরীল মোটা হবে না।
কত ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে পান্তা-ভাত খান সেদিকেও খেয়াল দিতে হবে।কারণ ১২ ঘন্টারও অনেক সময় পর যদি পানি মিশানো ভাত রেখে দেন তাহলে সেটা অ্যালকোহলে পরিণত হবে এবং সেই পান্তা-ভাত খাওয়ার পর অনেক ঘুম আসবে। আর ঘুমালে শরীলে কোন ক্যলরি ফুরাই না যার ফলে মোটা হয়ে যায় দেহ।আর যারা ১২ ঘন্টা পর যদি পান্তা-ভাত খান তাহলে এটি কোন অ্যালকোহলে পরিনত হয় না ফলে ঘুম আসে না। বরং বিভিন্ন কাজে মন বসে।অনেকের সকালে ঠান্ডা ভাত খেলে ঠান্ডা লেগে যায় তাদের সকালে না খাওয়াই ভালো।
পান্তা ভাতে কি ওজন বাড়ে
পান্তা-ভাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি খনিজ পর্দাথ। এই ক্যালরি ফুড়াই কেবল মাত্র কায়িকশ্রমে বা শরীল থেকে ঘাম বের হয় এমন কাজ করলে।যারা এর রকম কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে ওজন এই পান্তা-ভাতের জন্য বাড়ে না বললেই চলে।তবে যারা পরিশ্রম করেন না তাদের ক্ষেত্রে পান্তা-ভাত খাওয়ার পর অনেকেরই ঘুম আসে। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক ঘুমের জন্য চলে যায় এবং ক্যালরি ফুরাই না ফলে তারা মোটা হয়ে যায়। আর মোটা হলেই তো ওজন বেড়ে যায়।
এইরকম স্বাস্থ্য বিষয় টিপস পেতে আমাদের ব্লগ চ্যানেল টির সাথেই থাকুন।সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের লেখা এই পর্যন্তই শেষ করছি। সকলেই ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন
আমলকি এবং আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা
·
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভাত রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখায় এটি ফারমেন্টেড খাবার হয়ে যায় যার মধ্যে তৈরি হয় ভিটামিন বি-৬, বি-১২ ও অনেক উপকারি ব্যাকটেরিয়া যা খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে ও বহু রোগ প্রতিরোধ করে।
১. পান্তা ভাত খেলে শরীর হালকা লাগে, কাজে বেশি শক্তি পাওয়া যায়। শরীরে সজিবতা বিরাজ করে। মেজাজ ভাল থাকে। এখনও যারা গ্রামে মাঠে কৃষি কাজ করেন, সকালে পান্তা ভাত খেয়ে মাঠে যান ও ৮-১০ ঘন্টা কাজ করেন, তাদের রোগ বালাইও কম হয়।
২. যারা নিয়মিত সকালে পান্তাভাত খায় তাদের গাসের সমস্যা ভালো হয়, সব রকম আলসার দূরীভূত হয় ও কোষ্ঠবদ্ধতা ভালো হয়।
৩. মানব দেহের জন্য উপকারি বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যে বেড়ে উঠে ফলে খাদ্য হজম ভালো হয় ও পেটের পীড়া কম হয়।
৪. গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। জলীয় খাবার বলে শরীরে পানির অভাব মেটায় ও তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৫. পান্তা ভাতে গরম ভাতের তুলনায় সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে তাই এটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।