হোমপেজ/পার্মানেন্টলী অ্যাক্টিভ
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা সবাই কমবেশি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বিশেষ করে বহুল ব্যবহৃত উইউন্ডোজ ১০ সম্পর্কে জানি। উইন্ডোজ ১০ বর্তমান বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন সর্বপ্রথম ১৫ই জুলাই, ২০১৫ সালে উন্মুক্ত করে। তারপর আর তাদের পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন যদিও উইন্ডোজ ১১ তারা উন্মুবিস্তারিত পড়ুন
আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা সবাই কমবেশি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বিশেষ করে বহুল ব্যবহৃত উইউন্ডোজ ১০ সম্পর্কে জানি। উইন্ডোজ ১০ বর্তমান বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন সর্বপ্রথম ১৫ই জুলাই, ২০১৫ সালে উন্মুক্ত করে। তারপর আর তাদের পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
এখন যদিও উইন্ডোজ ১১ তারা উন্মুক্ত করেছে কিন্তু উইন্ডোজ ১০ এর জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। যাই হোক, আমি কথা বলতে চেয়েছি কিভাবে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম পার্মানেন্টলী আপনি অ্যাক্টিভ করবেন।
এখন মূল কথায় আসি। এই অপারেটিং সিস্টেম পার্মানেন্টলী অ্যাক্টিভ করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি পেনড্রাইভ, মাইক্রোসফ্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা উইন্ডোজ ১০ এর একটি ‘আইএসও’ ফাইল এবং কম্পিউটারে একটি ফাঁকা হার্ড ডিস্ক ও একটি মাইক্রোসফ্ট এর হটমেইল বা আউটলুক।
হটমেইল বা আউটলুক হলো গুগল এর জিমেইল এর মতো। জিমেইল হলো গুগল কোম্পানীর আর হটমেইল বা আউটলুক হলো মাইক্রোসফ্ট কোম্পানীর।
উপরে যেসব জিনিসের কথা বলা হলো সেগুলো যদি আপনার কাছে রেডি থাকে তাহলে এখনই আপনি জেনুইন উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করতে পারবেন।
এখন, এসব কিছু করার জন্য আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপটি চালু থাকতে হবে। চালু না থাকলে বা সেটআপ দেয়া না থাকলে আপনাকে অন্য একটি সচল কম্পিউটারের সহযোগিতা নিতে হবে।
ধরে নিলাম, আপনার কম্পিউটার চালু আছে। এখন, চালু থাকা অবস্থায় আপনি ইন্টারনেট থেকে ছোট আরেকটি সফ্টওয়ার ডাউনলোড করে নিবেন। সেই সফ্টওয়ারের নাম হলো রুফুস। এবার, আপনার পেনড্রাইভটি কম্পিউটারে লাগান অর্থাৎ ইউএসবি পোর্টে লাগান। তারপর পেনড্রাইভটি ফরমেট করুন। আমার জানামতে, আপনি অবশ্যই পেন ড্রাইভ ফরমেট করতে পারেন। না পারলে ইউটিউব থেকে দেখে নিন। ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন: How to format pendrive.
ফরম্যাট হয়ে গেলে এবার আপনি ঐ রুফুস সফ্টওয়ারটি কম্পিউটারে ইন্সটল করে নিন। এটা ইন্সটল করা খুবই সহজ। কয়েকটি ক্লিক মাত্র লাগে। ইন্সটল হয়ে গেলে এবার আপনি সেটা চালু করুন অর্থাৎ ওপেন করুন। ওপেন করলে নিচের ছবির মতো আসবে।
আপনার পেনড্রাইভটি যেন অন্তত ৮ জিবি হয়। তা না হলে সমস্যা হতে পারে। এবার, Device অপশনে গিয়ে আপনার পেনড্রাইভটি সিলেক্ট করে দিন।
এরপর Boot Selection এ গিয়ে আপনার কম্পিউটারে থাকা ডাউনলোড করা উইন্ডোজ ১০ এর ISO ফাইলটি সিলেক্ট করে দিন। এবার, Partition Scheme `MBR’ রাখুন। UEFI বুট করার জন্য আলাদা Partition Scheme সিলেক্ট করতে হয়। সেটা আপাতত আপনার দরকার নেই।
তারপর যা আছে তাই থাকবে। এবার আপনি নিচে Start বাটনে ক্লিক করুন। ক্লিক করলে আবার পেনড্রাইভ করার জন্য অনুমতি চাইবে, আপনি Yes করবেন।
এরপর উইন্ডোজ ১০ এর আইএসও ফাইলটি আপনার পেনড্রাইভে বার্ন হতে প্রায় ১০ মিনিট বা তার চেয়ে বেশি সময় লাগবে। কম সময়ও লাগতে পারে। এটা নির্ভর করবে আপনার কম্পিউটারের পারফরমেন্স এর উপর।
আপনার পেনড্রাইভ বুটেবল হয়ে গেলে এবার আপনি কম্পিউটার সেটআপ দেয়া শুরু করুন। আর সেটা করার জন্য পেনড্রাইভ ইউএসবি পোর্টে লাগানো থাকা অবস্থায় কম্পিউটার রি-স্টার্ট করুন। তারপর ডিলেট বাটন বা ইএসসি বাটন প্রেস করার মাধ্যমে আপনার মাদারবোর্ডের বুট অপশনে যান।
মাদার বোর্ডের সব সেটিংস কে ডিফল্ট করে দিলে ভালো হয়। যদি না করতে পারেন সমস্যা নাই। এবার আপনি বুট অপশন থেকে আপনার পেন ড্রাইভ সিলেক্ট করে দিন এবং ইন্টার প্রেস করুন।
আপনার উইন্ডোজ সেটআপ এবার শুরু হবে এবং আপনি দেখতে থাকুন। এবার সেটআপ শুরুর কিছুক্ষণ এর মধ্যেই উইন্ডোজ ১০ এর লাইসেন্স কী চাইবে। আপনি সেটাকে স্কিপ করবেন। তারপর আপনার ডিস্ক ড্রাইভগুলো শো করবে।
ডিস্ক ড্রাইভগুলো শো করার পরে যে ড্রাইভে উইন্ডোজ সেটআপ দেবেন সেটা একদম ফরম্যাট বা ডিলেট করে নিলে ভালো হয়। ডিলেট না করলেও সমস্যা নেই। ডিলেট করার পরে আবার পার্টিশন করেন।
উইন্ডোজ সেটআপ এর জন্য অন্তত ৮০ জিবি বা ১০০ জিবি স্পেস রাখাটা ভালো। পার্টিশন দেয়ার পরে সেই ড্রাইভ সিলেক্ট করে ওকে করুন। তাহলে সেটআপ শুরু হবে।
এবার, সেটআপ শেষের দিকে যাওয়ার পরে কম্পিউটার রি-স্টার্ট নেবে এবং আপনার কাছে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাইবে। তখন আপনি আপনার হটমেইল বা আউটলুক দিয়ে সাইন ইন (Sign In) করবেন। এরপর ধাপে ধাপে বাকি স্টেপগুলো সেটআপ করবেন।
এরপর আপনার কম্পিউটার হয়তো ১ বার রি-স্টার্ট নিতে পারে। তারপর কিছুক্ষণ করে কম্পিউটার চালু হয়ে যাবে। এবার আপনি কম্পিউটার এর Settings অপশনে গিয়ে Update & Security এবং তারপর Activation অপশনে ক্লিক করুন।
দেখবেন সেখানে লেখা আছে “Windows is activated with a digital license linked to your Microsoft account”.
আপনি আরও Sure হওয়ার জন্য আলাদাভাবে দেখতে পারেন। সেটা করার জন্য আপনার কম্পিউটারে Command Prompt চালু করুন। সার্চে গিয়ে Command লিখলেই চলে আসবে। এবার সেখানে টাইপ করুন “slmgr/xpr” তারপর Enter প্রেস করুন। দেখবেন, লিখা আসছে “Your machine is permanently activated”. এর মানে আমার উইন্ডোজ ১০ কখনোই এক্সপায়ার হবে না। মাইক্রোসফ্ট থেকে লাইসেন্স কিনে নিলে যা হয় তাই হয়েছে কিন্তু।।
উপরের ছবিটি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উইন্ডোজ ১০ সেটআপের সময় আপনার কম্পিউটারে কিন্তু ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। মোডেম দিয়ে হবে না, অবশ্যই Wifi ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল হট স্পট হলেও চলবে।
আর আরেকটি ব্যাপার হলো, আপনি যদি আলাদাভাবে উইন্ডোজ ১০ অ্যাক্টিভ করে নেন (KMSPico এর মাধ্যমে) তাহলে সেটা হয়তো ৬ মাস বা ১ বছরের জন্য হবে। তারপরে কিন্তু আবার অ্যাক্টিভেট করার জন্য স্ক্রীনে বার বার নোটিফিকেশন আসবে।
পরিশেষে বলা যায়, Windows 10 স্থায়ীভাবে অ্যাক্টিভ করে নিলে অনেক সুবিধা হয়। সেটা আপনি তখনই বুঝবেন যখন উইন্ডোজ ১০ স্থায়ীভাবে সেটআপ করতে পারবেন।
এমন অনেককেই দেখেছি, যারা কম্পিউটারের অনেক কাজ পারে কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম বুঝে না। স্ক্রীনে অ্যাক্টিভেটের যে নির্দেশনা আসছে সেটাও তারা জানে না। আবার, উইন্ডোজ এর অনেকগুলো ভার্সন রয়েছে (Windows XP, Windows 7, Windows 8.1, Windows 10, Windows 11) সেগুলো সম্পর্কেও তারা জানে না।
যাই হোক, আমি ধরে নিচ্ছি আপনি এসব বুঝেন। আপনিও যদি ওদের কাতারের হোন তাহলে এই লিখা বুঝতে আপনার অনেক কষ্ট হবে।
পরিশেষে বলতে চাই, এই লিখাটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর বর্তমানে উইন্ডোজ ১০ বা ১১ এর লাইসেন্স Key ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মাধ্যমে পাওয়া যায়। সম্ভব হলে তাদের কাছ থেকে কিনেও নিতে পারেন। তবে Spam Person’দের থেকে আবার কিনতে যাইয়েন না। তাহলে শুধু টাকার অপচয় হবে। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করে ইতি টানলাম।
সংক্ষেপে দেখুন