হোমপেজ/মহামারী
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
বাংলাদেশ বা মিসরের জনগণের টেবিলে খাবার থাকবে কিনা সেটা কেন ক্রেমলিনের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে? -জেলেনেস্কি, ইউক্রেন প্রধান বাংলাদেশ ২০২৩ সালে মমহামারী তে না পড়লেও বড়সড় একটা সংকটে পড়বে একটা সত্য। কেন এই সংকটের সম্ভাবনা চলুন তা নিয়ে আলোচনা করা যাক। পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আবিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশ বা মিসরের জনগণের টেবিলে খাবার থাকবে কিনা সেটা কেন ক্রেমলিনের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে? -জেলেনেস্কি, ইউক্রেন প্রধান
বাংলাদেশ ২০২৩ সালে মমহামারী তে না পড়লেও বড়সড় একটা সংকটে পড়বে একটা সত্য। কেন এই সংকটের সম্ভাবনা চলুন তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে যে জায়গাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় এবং এই জায়গাগুলোর উৎপন্ন খাদ্যশস্যর উপড় পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ নির্ভরশীল। প্রচুর খাদ্য উৎপন্ন হয় এমন জায়গাগুলোকে ‘ব্রেড বাস্কেট’ বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে এই ধরনের ছয়টি ব্রেড বাস্কেট রয়েছে।
এই যে শেষ সেক্টরটার কথা বললাম, এই জায়গার মাটিতে প্রচুর পরিমানে অ্যামোনিয়া এবং ফসফরাস রয়েছে, শস্য ফলনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টিগুণ তো আছেই। একই সাথে মাটির ধরণ এমন যা সহজের পানি ধরে রাখতে পারে। অতি উর্বরতা এবং মাটির ধরণ এবং উর্বরতার কারণে এই অঞ্চলটি ‘ব্লেক আর্থ’ নামেও পরিচিত।
এখানে প্রচুর গম ফলে, এত বেশিই ফলে যে, কেউ যদি বলে “রাশিয়ার বেশির ভাগ শিল্পায়ন এই গম ফলনের টাকা থেকে এসেছে” তাহলে ভুল হবে না। সারা দুনিয়ার ৩০ শতাংশ গমের চাহিদা মেটায় এই অঞ্চলটি। শুধু গম না, পৃথিবী ব্যাপি সূর্যমুখী ফুলের যে চাহিদা তার ৬৫ শতাংশ তারা সর্বরাহ করে। ৬৫ শতাংশ!
এখন দেখুন, এত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্রেড বাস্কেটের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এই এলাকার কৃষকরা তেমন চাষাবাদ করতে পারছে না যুদ্ধের জন্য আর যতটুকু করতে পরছে তাও আবার বাইরে বের করার পথ নেই। কেননা, রাশিয়ার উপড় দুনিয়ার প্রভু আমেরিকার অনেকগুলো নিষেধাজ্ঞা আছে আর ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর ধ্বংশ করা।
সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে উক্ত অঞ্চলের গম উৎপাদন পরবর্তী মৌসুমে ৩৫-৪৫ শতাংশ কমে যাবে। এর পরও যতটুকু শষ্যই উৎপন্ন হোক না কেন তা কিন্তু বাইরে যাচ্ছে না।
শুধু এই খাদ্য না, রাশিয়া – ইউক্রেনে উৎপন্ন হওয়া অনেক কিছু বাইরের দুনিয়াতে প্রভাব ফেলতো যেমন, গম – যব এবং সার [ FERTILIZER ]। অনেকগুলো দেশ এই সারের উপড় নির্ভরশীল। তারা রাশিয়া – ইউক্রেন থেকে সার আমদানি করে এবং তা দিয়ে নিজ দেশের ফলন বৃদ্ধি করে। এমন একটা দেশ হলো পেলে’র দেশ ব্রাজিল 🇧🇷. এখন কথা হলো, ব্রাজিল যাদি সার না পায় তাহলে ফলন বৃদ্ধি করবে কিভাবে! মনে আছি কি, শুরুতে উল্লেখ করেছিলাম ৬ টা ব্রেড বাস্কেটের একটা হলো ব্রাজিল! এখন তাহলে হচ্ছেটা কী? ব্রাজিল সার পাচ্ছে না আগের মতো। তৈরি হয়েছে সংকট। এই ফাঁকে সার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সারের দাম বাড়িয়ে দিলো। জ্বালানির দাম আগেই বেড়ে গেছে, এখন জ্বালানি ছাড়া তো আর আপনি ফসল ফলাইতে পারবে না। ফলাফল, ব্রাজিলে ফলনের পরিমান কমে গিয়েছে এবং যতটুকু ফলন হয়েছে তার আবার দাম বেড়ে গেছে!
দুটি বৃহৎ ব্রেড বাস্কেট সরাসরি এই যুদ্ধের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে তৈরি হয়েছে মহা খাদ্য সংকট। হুহু করে দাম বাড়ছে সব খাবারের।
এখানে আমি শুধু মাত্র খাদ্য সংকট নিয়ে কথা বলেছি কিন্তু এছাড়াও আরো অনেক, অনেক, অনেক সেক্টর আছে যেগুলা বাকি রয়ে গেছে। এই প্রভাব অবশ্যই বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে পড়বে তাছাড়া আমরা আবার ক্লিন ইমেজের পপুলেশন! যারা দুর্নীতি করি না। ১০ টাকাকে ১০০ টাকা করে জনগনের কাছে বিতরণ করি। তাই ইশ্বর আমাদের অন্যদেশের থেকে কঠিন করে পরীক্ষা নেবেন। ইশ্বর ভালোদের কষ্টের পরিমান বেশি দিয়ে থাকেন।
সংক্ষেপে দেখুন