হোমপেজ/মাইগ্রেন কি
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
মাইগ্রেন বা ‘আধ কপালি’ মাথা ব্যথা বর্তমানে খুব সাধারণ একটি স্নায়বিক রোগ। বিশ্বের প্রায় ১০% মানুষ এতে ভোগেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী মাইগ্রেন ব্যাপকতায় বিশ্বে তৃতীয় সাধারণ রোগ ও অষ্টম দুর্ভোগজনক রোগ। তাই বোঝাই যাচ্ছে এই রোগের কারণ, উপসর্গ এবং তার থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায় জেনবিস্তারিত পড়ুন
মাইগ্রেন বা ‘আধ কপালি’ মাথা ব্যথা বর্তমানে খুব সাধারণ একটি স্নায়বিক রোগ। বিশ্বের প্রায় ১০% মানুষ এতে ভোগেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী মাইগ্রেন ব্যাপকতায় বিশ্বে তৃতীয় সাধারণ রোগ ও অষ্টম দুর্ভোগজনক রোগ। তাই বোঝাই যাচ্ছে এই রোগের কারণ, উপসর্গ এবং তার থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায় জেনে রাখা সকলেরই প্রয়োজন।
প্রাচীনকালে এই মাথা ব্যথাকে ‘আধ কপালি’ ব্যথা বলা হত। মাইগ্রেন শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘হেমিক্রেনিয়া’ থেকে। হেমি মানে অর্ধেক আর ক্রেনিয়া মানে মাথার খুলি বা করোটি। এই ব্যথা অর্ধ মাথায় হয় বলে এর নামকরণ করা হয় হেমিক্রেনিয়া আর বাংলা ‘আধকপালি’। মাইগ্রেন মাথার যে কোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে বিস্তৃত আকার ধারণ করে। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনিগুলো আছে সেগুলো মাথাব্যথার প্রারম্ভে স্ফীত হয়ে ফুলে যায়। অর্থাৎ রক্তবাহী শিরাগুলো যখন মস্তিস্কে ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ করে না। সাধারণত এই ব্যথা দপদপ (pulsating) করে, মাথাব্যথার সঙ্গে বমি এবং বমি বমি ভাবে রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম হতে পারে। মাইগ্রেন একধরনের প্রাইমারি হেডেক, যা নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। আর জেনে রাখা ভাল সব মাথা ব্যথা মাইগ্রেন নয় – দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় অন্য সমস্যার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
কিছু কিছু উপসর্গ জেনে রাখলে অন্যান্য মাথা ব্যথার সঙ্গে মাইগ্রেনের পার্থক্য করা সম্ভব। যেমন, এই ব্যথা ২ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। বমি বমি ভাব হতে পারে, আলোর দিকে তাকাতে অসুবিধে হয়, শব্দের জন্য ব্যথা বাড়তে পারে। ঘনঘন হাই ওঠা, কাজে মনোনিবেশ করতে অসুবিধে, খিটখিটে মেজাজ ব্যথা হওয়ার আগেও হতে পারে। অনেকে এই ব্যথা হওয়ার কিছু আগে আলোর ঝলকানি (aura) দেখতে পান। যাঁরা আলোর ঝলকানি দেখেন না তাঁদের ক্ষেত্রে অনেকে ৫-৪-৩-২-১ লক্ষণ দিয়ে মাইগ্রেন বোঝা যায়।
৫-৪-৩-২-১ লক্ষণটি হল –
মাইগ্রেনের কারণঃ
১। বংশগতঃ অন্যান্য অনেক রোগের মত এটিও অনেক ক্ষেত্রে বংশগত রোগ। অন্তত ৩৪-৫১ শতাংশ ক্ষেত্রে জিনগত প্রভাব থাকে এবং মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভবনা বাড়িয়ে তোলে।
২। দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতাঃ ‘টেনশন’ আজকের দিনে একটি অতি সাধারণ একটি বিষয়। যাঁরা সবসময় নানা কারণে চিন্তাগ্রস্ত থাকেন বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এর প্রকোপ বেশি। উচ্চ রক্তচাপ, হতাশা, নিদ্রাহীনতা ইত্যাদিও মাইগ্রেনের কারণ।
৩। হরমোনের প্রভাবঃ এটি সাধারণত মেয়েদের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। গবেষকদের মতে মাথাব্যথার সাথে নির্দিষ্ট কিছু যৌন হরমোনের সংযোগ রয়েছে। যাদের নিয়মিত মাসিক হয় না তাদের এই মাইগ্রেনের হার বেশি। আবার অনেকের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসিকের পূর্বাবস্থায় এই মাইগ্রেনের ব্যথা উঠতে পারে। অন্যদিকে যেসব মহিলারা দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন তাদের মাঝেও এই রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
৪। আবহাওয়ার পরিবর্তনঃ বর্তমানে পরিবেশদূষণের প্রভাব সকলের উপর পড়ছে। আর এমনই এক প্রভাবে ফলে হিসাবে সৃষ্টি হয়েছে মাইগ্রেন। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গ্রাম অঞ্চলের লোকদের চেয়ে শহর অঞ্চলের লোকদের মাঝে এর প্রভাব বেশি। তাই ধারণা করা হচ্ছে পরিবেশও মাইগ্রেনের একটা কারণ।
৫। মস্তিস্কে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিবর্তনঃ স্নায়বিক উদ্দীপনা এক স্নায়ু থেকে অন্য স্নায়ুতে পাঠানোর জন্য বেশ কিছু রাসায়নিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে, এই রাসায়নিকগুলির পরিমান কোন কারণে ( বিভিন্ন ওষুধের প্বার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত এলকোহল, ক্যাফিন এর প্রভাব) পরিবর্তিত হলে ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে মাইগ্রেন হতে পারে।
মাইগ্রেন প্রতিরোধের উপায়ঃ
ভাল লাগলে আমায় YOUTUBE CHANNEL টা ঘুরে আসতে পারেন
https://youtube.com/allaboutsubha
সংক্ষেপে দেখুন