সেলফি শব্দটি এখন বেশ পরিচিত। সেলফিকে আমরা আক্ষরিক অর্থে বলতে পারি নিজে নিজে কোন কিছু করা অর্থাৎ নিজেই নিজের ছবি তোলা। বর্তমান যুগে সবার হাতেই স্মার্ট ফোন রয়েছে। সবাই নিজের মতো করেই নিজের ছবি তুলতে চায়। আর এটা সম্ভব হয়েছে ফ্রন্ট ক্যামেরা (অনেকে সেলফি ক্যামেরা হিসেবে চিনে) থাকার কারণে। আজ আমরা সেই সেলবিস্তারিত পড়ুন
সেলফি শব্দটি এখন বেশ পরিচিত। সেলফিকে আমরা আক্ষরিক অর্থে বলতে পারি নিজে নিজে কোন কিছু করা অর্থাৎ নিজেই নিজের ছবি তোলা।
বর্তমান যুগে সবার হাতেই স্মার্ট ফোন রয়েছে। সবাই নিজের মতো করেই নিজের ছবি তুলতে চায়। আর এটা সম্ভব হয়েছে ফ্রন্ট ক্যামেরা (অনেকে সেলফি ক্যামেরা হিসেবে চিনে) থাকার কারণে।
আজ আমরা সেই সেলফি তোলা নিয়ে কিছু কথা বলবো। আপনি কিভাবে খুব সহজেই নিজের সুন্দর সেলফি উঠাতে বা তুলতে পারবেন সেটা জানতে পারবেন। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
সেলফিতে মজে নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই মুশকিল। অনেকেই ভাবেন, ভালো সেলফি তোলাটা বেশ কঠিন। তবে এ কথা একেবারেই সঠিক নয়। ক্যামেরা হাতে ততটা পটু না হলেও চলবে।
সেলফি তোলার সময় মাথায় রাখতে পারেন আনন্দবাজার পত্রিকায় দেওয়া কয়েকটি টিপস। সেই টিপসগুলো আশা করি সেলফিবাজদের সত্যিই কাজে লাগবে। চলুন দেখে নিই।
মোবাইলে টাইমার সেট করে তার পর সেলফি তুলুন। এতে সেলফির আগে বেশ খানিকটা সময় মিলবে। সেই সঙ্গে ক্যামেরা ক্লিক করার আগে হাতও স্টেডি করে নেওয়া যাবে।
সেলফি তোলার সময় মুখের একটু ওপরে মোবাইল ক্যামেরা তাক করুন। এ বার ক্যামেরার দিকে তাকান। ব্যস, পারফেক্ট সেলফি রেডি।
সেলফি তোলার সময় ডাবল চিন নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েন। ফোটোতে ডাবল চিন ঢাকতে আপনার মুখটা সামান্য এগিয়ে নিন। এতে ডাবল চিন ঢাকা তো পড়বেই, সঙ্গে জলাইনও শার্প দেখাবে।
সেই একঘেয়ে সেলফির পোজ দিয়ে গিয়ে বোরড! এ বার থেকে শুধুমাত্র নিজের মুখ নয়, সেলফির পোজ দিন আপনার প্রিয় পোষ্য বা কোনও বন্ধুর সঙ্গে।
তবে একেবারেই যদি কাউকে না পাওয়া যায় তবে আপনার নুতন সানগ্লাস পরেও সেলফি তুলতে পারেন। এতে ফোটোতে একটা নতুনত্ব আসবে।
কাঠ হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে সেলফি তুলবেন না। ফটোতে নিজের মনের কথা প্রকাশ করুন। হাসুন, পাউট করুন। চাইলে বেশ মজার মুখভঙ্গিও করতে পারেন।
চড়া আলোয় সেলফি তুলবেন না। বরং সেলফির জন্য বেছে নিন হালকা আলো। এতে ইফেক্ট ভাল আসবে। চড়া আলোতে চেহারার লাবণ্যতা কমে যায়। প্রয়োজনে ক্যামেরার আলো কিছুটা কমিয়ে নিতে পারেন।
তবে সেলফি তোলার মোক্ষম টিপসটি হল সেলফ-লাভ। খ্যাতনামা ফটোগ্রাফারদের মতে, যারা নিজেকে ভালবাসেন তাদের চোখেই তা ফুটে ওঠে। এমনকি, তা দেখা যায় সেলফিতেও।
পরিশেষে বলা যায়, সেলফি তোলার সময় দুটো জিনিস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত নিজের মুখের প্রতিচ্ছবি যেন মায়ায় ভরা থাকে আর ক্যামেরার দিক থেকে এক্সপার্ট হতে হবে। আর বেশি বেশি সেলফি তোলার প্রাকটিস করলেও ভালো সেলফি তোলা সম্ভব।
সংক্ষেপে দেখুন
চাইনিজ ফোন কোম্পানীগুলোর বদৌলতে স্মার্টফোন এখন আর ধরা-ছোঁয়ার বাইরের কোন বিষয় নেই। মাত্র সাড়ে চার হাজারেই আপনি মোটামুটি কনফিগারেশনের একটি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন পাবেন। কিন্তু সমস্যা হল এর ব্যাটারী নিয়ে। খুব দ্রুত চার্জ নিঃশেষ হয়ে যায়, যার কারণে সস্তায় স্মার্টফোন পেলেও এর ব্যবহারের প্রকৃত মজা পাওয়া যায়বিস্তারিত পড়ুন
চাইনিজ ফোন কোম্পানীগুলোর বদৌলতে স্মার্টফোন এখন আর ধরা-ছোঁয়ার বাইরের কোন বিষয় নেই। মাত্র সাড়ে চার হাজারেই আপনি মোটামুটি কনফিগারেশনের একটি এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন পাবেন। কিন্তু সমস্যা হল এর ব্যাটারী নিয়ে। খুব দ্রুত চার্জ নিঃশেষ হয়ে যায়, যার কারণে সস্তায় স্মার্টফোন পেলেও এর ব্যবহারের প্রকৃত মজা পাওয়া যায় না।
১। নতুন মোবাইল কিনে কমপক্ষে ৮-১০ ঘন্টা চার্জ দিন।
২। খুব বেশী দরকার না হলে ভাইব্রেশন ব্যবহার করবেন না। ভাইব্রেশনের কারণে দ্রুত চার্জ ফুরায়।
৩। আপনার অ্যান্ড্রয়েড সেট এ কখনো দীর্ঘ সময় ধরে গেমস খেলবেন না। এতে ব্যাটারিতে অনেক চাপ পড়ে আর দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায়
৪। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দিন (Settings > Apps)। এজন্য Android Assistant, Clean Master বা কোন Task Killer App ব্যবহার করতে পারেন।
৫। ব্যাটারি মনিটর করুন (Settings > Battery)। দেখুন কোন অ্যাপস বেশি ব্যাটারি টানছে। ব্লুটুথ (Settings > Bluetooth), ওয়াইফাই (Settings > Wifi), 3G/4G (Settings > Mobile Networks), হটস্পট, টেথারিং (Settings > Wireless & Networks), Data Connection প্রভৃতি দরকার না থাকলে বন্ধ করে রাখুন।
৬। ফোনের ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন (Settings > Display > Brightness)। ব্রাইটনেস কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের এপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন।
৭। ফোনের GPS (Settings > Location services) অথবা Sync/Synchronization (Settings > Accounts & sync) বন্ধ রাখুন। ডিসপ্লে টাইম আউট যথা সম্ভব কম রাখুন। দরকার না হলে 3G নেটওয়ার্ক বন্ধ করে রাখুন। 2G এর তুলনায় 3G প্রায় দ্বিগুন চার্জ টানে।
৯। ব্যাটারীর সম্পূর্ণ চার্জ শেষ হয়ে গেলে তারপর চার্জ দিন এবং ফুলচার্জ হবার পর চার্জার ডিসকানেক্ট করুন। সব সময় সেটের অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করুন।
এই ব্যাপারগুলো মেনে চললে আপনার স্মার্টফোনে অনেক বেশি সময় চার্জ থাকবে। তখন সাধ্যের মাঝে সবটুকু স্বাদ উপভোগ করা কোন ব্যাপার হবে না।