হোমপেজ/যদি গলে যায়
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
প্রকৃতির প্রতিশোধে যদি পৃথিবীর সব বরফ একসাথে গলে যায় তাহলেও কি আমরা পরিবেশ দূষণ বন্ধ করব? সে প্রশ্নের উত্তর অদৃষ্টের উপরেই ছেড়ে দেই। তবে আশা করছি আমাদের সাথে এমন কিছু হবে না, কিন্তু যদি হয়ে যায় তাহলে কি আপনি পুরো শহর সহ পানিতে ডুবে যাবেন? আসুন জেনে নেই পরিবেশ দূষণের প্রভাবে পৃথিবীর সমস্ত বরফ গলে গেলবিস্তারিত পড়ুন
প্রকৃতির প্রতিশোধে যদি পৃথিবীর সব বরফ একসাথে গলে যায় তাহলেও কি আমরা পরিবেশ দূষণ বন্ধ করব? সে প্রশ্নের উত্তর অদৃষ্টের উপরেই ছেড়ে দেই। তবে আশা করছি আমাদের সাথে এমন কিছু হবে না, কিন্তু যদি হয়ে যায় তাহলে কি আপনি পুরো শহর সহ পানিতে ডুবে যাবেন?
আসুন জেনে নেই পরিবেশ দূষণের প্রভাবে পৃথিবীর সমস্ত বরফ গলে গেলে আমাদের সাথে ঠিক কী হতে যাচ্ছে?
বেড়ে যাবে পানির উচ্চতা
আমাদের পৃথিবীর বেশ বড় একটা অংশ বরফে ঢাকা। রাতারাতি যদি সব বরফ গলে যায় তাহলে সমুদ্রের পানি প্রায় ২৫০ ফুট উপরে উঠে যাবে। আর এটুকুই যথেষ্ট আমাদের দেশের বড় বড় সব ব্রিজগুলো পুরোপুরি পানিতে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য। এরই সাথে সাথে ভারত এবং বাংলাদেশের অনেক বড় বড় শহর মুম্বাই, গোয়া, চট্টগ্রাম, সিলেট এগুলোর সাথে আরো সাত মহাদেশের অনেকগুলো শহর পুরোপুরি পানিতে ডুবে যাবে। আর তখন না থাকবে মায়ামি শহর আর না থাকবে লন্ডন! এমনকি অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গা পানিতে ডুবে যাবে। এছাড়া আচমকা চলে আসা এই জলস্রোতে ভেনিস এবং নেদারল্যান্ড পৃথিবীর মানচিত্র থেকেই একদম ডুবে যাবে।
আফ্রিকা হয়ে যাবে জনমানবশূন্য
আফ্রিকাকে অন্যান্য দেশের মতো অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে না। আদতে যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো, আফ্রিকার অবস্থা তার থেকেও খারাপ অবস্থা হবে। হুট করেই সব বরফ গলে গেছে! তার মানে হলো পানির সাথে সাথে গরমও অনেক বেড়ে গেছে। আর এই অতিরিক্ত তাপমাত্রার সবচেয়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে আফ্রিকার উপর। অস্বাভাবিক রকম গরম থাকার কারণে আফ্রিকা মহাদেশের অনেকগুলো অংশ একদম জনমানবশূন্য, এমনকি প্রাণীশূন্যও হয়ে যাবে। অত্যধিক গরমের কারণে সেখানে অনেক প্রাণীই বেঁচে থাকতে পারবে না।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ
অবশ্য এমন অনেক জায়গা থেকে যাবে পৃথিবীতে যেগুলো পুরোপুরি পানিতে ডুবে যাবে না তবে সেই জায়গাগুলোকে অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হবে। আপনার কি মনে হয়? এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ কি মানব সভ্যতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে? না, ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। তবে এই দুর্যোগ থেকে যারা বেঁচে থাকবে তাদেরকে অনেক ধরনের প্রতিকূলতার সামনাসামনি করতে হবে। সব বরফ গলে যাওয়ার পর বাতাসে কার্বনডাইঅক্সাইড বেড়ে যাবে আর এর ফলাফলস্বরূপ বেঁচে থাকা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের নিঃশ্বাস নিতে অনেক সমস্যায় ভুগতে হবে।
অনেক সামুদ্রিক প্রাণী বিলুপ্ত হতে থাকবে ধীরে ধীরে
এদিকে সমুদ্রের স্রোত তার গতিপথ বদলে ফেলবে, যার প্রভাব সামুদ্রিক প্রাণীদের উপরেও যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান থাকবে। এই আচমকা পরিবর্তনের মধ্যে তারা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে না, এরই মধ্যে অনেক প্রাণী এই পরিবর্তনের কারণে মারা পর্যন্ত যাবে। ফলাফল স্বরূপ অনেক সামুদ্রিক পানি এবং পোলার এনিমেল অর্থাৎ বরফে বাস করা প্রাণীরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর যারা বেঁচে থাকবে তাদের নিজেদের ঠিকানা এবং অভ্যাস বদলাতে হবে অবশ্যই।
ফুড চেনের উপর সরাসরি প্রভাব!
আর প্রকৃতির এই হাজারো পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি আমাদের ফুড সাপ্লাই চেনের উপরে এসে পড়বে। না আমরা নিজেদের জন্য শস্য উৎপাদন করতে পারব আর না অন্য প্রাণীদেরকে নিজেদের খাবারে রূপান্তর করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে প্রাণী খুঁজে পাব। কেননা পুরো প্রকৃতিই বরফ গলার সাথে সাথে অন্য রকম রূপ ধারণ করবে। মরুভূমিতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হতে থাকবে আর যে সব জায়গায় আগে বৃষ্টি হতো সেখানে বৃষ্টি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। যার কারণে আমাদের কৃষি কাজ আচমকা বাঁধার সম্মুখীন হবে এবং যার কারণে পুরো বিশ্বে খাদ্যের অভাব পড়ে যাবে।
সুনামির সংখ্যা বেড়ে যাবে
এদিকে বাতাসের গতি প্রকৃতিও পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যাবে, সমুদ্রে বরফ না থাকার কারণে সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হবে না, যার ফলে সমুদ্রের পানি অনেক গরমের কারণে মেঘ হয়ে আকাশে থাকবে আর সব মেঘ পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে একত্র হয়ে সেখানে ভারী বর্ষণের সৃষ্টি করবে। আর এই ভারী বর্ষণ পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে নিয়ে আসবে অতিরিক্ত বন্যা। আবার এদিকে সমুদ্রের উপর একের পর এক তুফান এবং সাইক্লোনের সৃষ্টি হতে থাকবে, যার ফলে নিচু এলাকাগুলোকেও প্রচুর পরিমাণ বন্যার শিকার হতে হবে। এই ধরনের এলাকাগুলোতে ছোটখাটো একটা ভূমিকম্প অনেক বড় ধরনের সুনামি তৈরি করবে, আর সেই সুনামি আশেপাশের সব এলাকাকে পুরোপুরি নাস্তানাবুদ করে দিবে।
যেই দুনিয়াকে আজ আমরা দেখছি, সেটা ধ্বংসের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অন্যান্য প্রাণীদের কথা বলা মুশকিল তবে মানব জাতি এভাবে ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে আশার কথা হলো, সবগুলো বরফ এক রাতের মধ্যেই গলে যাচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, খুব দ্রুততার সাথেই সব বরফ গলা শুরু করেছে। এমনকি আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বরফ এলাকা যেটা পুরো পৃথিবীর জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করছে, সেটাও গলা শুরু করেছে।
আর ঠিক এই কারণেই আমাদের এখনই থামতে হবে, আমরা যদি এখনই পরিবেশ দূষণ না থামিয়ে দেই তাহলে এই ধ্বংস কোনো ভাবেই থামানো যাবে না। আগামী পাঁচ হাজার বছরের মধ্যেই পৃথিবীর সবগুলো বরফ গলে যাবে। এমনিতে তো পাঁচ হাজার বছর অনেক বড় একটা সময়, তার আগেই কে জানে আমাদের পৃথিবীর উপর যদি কোনো উল্কাপিণ্ডের আঘাত আসে অথবা সমুদ্রের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। কোনো কিছুই পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না।
সংক্ষেপে দেখুন