হোমপেজ/যৌন শক্তি বৃদ্ধি
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
কাতিলা গাম নামটি হয়তো অনেকেই শুনেছেন। বর্তমানে ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয় কাতিলা গাম নিয়ে। বলা চলে, কাতিলা গাম শব্দটি ট্রেন্ডিং এ আছে। কাতিলা গাম অনেকটা তাল মিশ্রির মতো মনে হলেও এর গুণের কোনো শেষ নেই। বিশেষ করে, শারিরীক সমস্যা ও যৌন দূর্বলতা কাটিয়ে উঠাতে এটি একটি নামকরা ভেষজ। এটাকে হারবাল ভবিস্তারিত পড়ুন
কাতিলা গাম নামটি হয়তো অনেকেই শুনেছেন। বর্তমানে ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয় কাতিলা গাম নিয়ে। বলা চলে, কাতিলা গাম শব্দটি ট্রেন্ডিং এ আছে।
কাতিলা গাম অনেকটা তাল মিশ্রির মতো মনে হলেও এর গুণের কোনো শেষ নেই। বিশেষ করে, শারিরীক সমস্যা ও যৌন দূর্বলতা কাটিয়ে উঠাতে এটি একটি নামকরা ভেষজ। এটাকে হারবাল ভেষজও বলা হয়।
এটা পুরুষের যৌন শক্তি বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি যদি ইসবগুলের ভুষি, কাতিলা গাম, অশ্বদানা, কালোজিরা এবং তালমাখনা দিয়ে তৈরী মিশ্রণ নিয়মিত খেলে যৌন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
গরমের দিনে কাতিলা গামের শরবত খেলে নানারকম উপকার পাওয়া যায়। শুক্র তৈরী করতে কাতিলা গামের অসাধারণ সব গুণাবলী রয়েছে।
শরীরে যদি রক্তদুষ্টি জনক উষ্ণতা তৈরী হয় তাহলে তা দূরীকরণে সাহায্য করে। রক্তরোধক এর কাজেও এর জুড়ি নেই।
এটাকে ইংরেজীতে বলা হয় Tragacanth Gum. অনেক সময় এটাকে কাতিরা গামও বলা হয়। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে ফুলে ওঠে।
কাতিলা গাম সাধারণত উদ্ভিদের শিকড়ের রস শুকিয়ে সংগ্রহ করা হয় যা গন্ধহীন, স্বাদহীন এবং পানিতে দ্রবণীয়।
শুধু যৌন শক্তি বাড়াতেই কাতিলা গাম ব্যবহার হয় না বরং সালাদ ড্রেসিং, খাবার এবং পানীয় প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১০০ গ্রাম কাতিলা গামে কি ধরণের পুষ্টিগুণ থাকে তা জানেন কি? চলুন জানিয়ে দেই। ১০০ গ্রাম কাতিলায় সাধারনত ক্যালোরি থাকে ৭০, কার্বোহাইড্রেট থাকে ৩৫, ফাইবার থাকে ৩০ এবং হাইড্রেটস থাকে ৫ গ্রামের মতো।
কাতিলা নিয়মিত খেলে উপরে বর্ণিত উপকারিতা ছাড়াও আরও অনেক উপকার করে। আপনি নিয়ম করে দুই বেলা কাতিলা গাম পানিতে ভিজিয়ে তাতে লেবু, মধু, তালমিছরি এবং চিনি মিশিয়ে যদি সেবন করেন তাহলে শরীর শীতল হবে এবং ক্লান্তি দূর হবে।
অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগেন।হজমের সমস্যার কারণে অনেক সময় এমন হয়। এই ভেষজ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং শারীরবৃত্তীয় কার্য তথা মেটাবলিজমকে উন্নত করে।
সুতরাং নিয়মিত কাতিলা গাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং হয়ে থাকলেও তা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতেও কাতিলা গামের জুড়ি নেই। কাতিলা গামের সাধারণত এন্টি-এজিং এবং এন্টি-ইনফ্লামেটরী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা পিম্পলের ক্ষত নিরাময় করে এবং দাগ দূর করে।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন আর তাই চুল পড়া কমাতেও সাহায্য করে।
তবে মনে রাখবেন, এটা যেহেতু একটা আঠা জাতীয় পদার্থ তাই অন্য কোন ওষুধের সাথে এটি গ্রহণ করলে পেটে এবং অন্ত্রে ওষুধের সাথে লেগে থাকতে পারে।
মুখে অন্য কোন ওষুধ সেবন করার সময় একই সাথে কাতিলা গাম গ্রহণ করবেন না। তাহলে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ, পরিমাণ মতো পানি পান না করলে এটা অন্ত্রকে ব্লক করতে পারে। গর্ভাবস্থায় এবং দুগ্ধ শিশু আছে এমন মায়েদের ক্ষেত্রে কাতিলা গাম না খাওয়াই ভালো। কারণ, এটা নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
পরিশেষে বলা যায়, কাতিলা গাম একটি প্রয়োজনীয় এবং উপকারী ভেষজ। তাই শারিরীক প্রয়োজনে এটি নিয়মিত খেতে পারেন। তবে নিজের মন মতো নয়। অবশ্যই একজন আয়ুর্বেদী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে কিংবা জেনে নিয়ে এটা সেবন করুন।
সংক্ষেপে দেখুন