হোমপেজ/রাতের আঁধারে
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
এদের খাবারের সবটা জোগান দেয় মানুষের মুখের মৃত কোষ রাতের আঁধার নেমে আসলেই নিজের গোপন আবাস ছেড়ে বেরিয়ে আসে এরা। ধীর পায়ে কিলবিল করে মুখজুড়ে। খাওয়া-দাওয়া করে, এমনকি সুযোগ বুঝে সেরে নেয় সঙ্গম। ত্বকের মৃত কোষ এদের দারুণ পছন্দ। রাতভর উদরপূর্তি শেষে ভোরের আলো ফুটতেই এরা আবার ফিরে যায় নিজেদের গোপন ঘরে। প্রতবিস্তারিত পড়ুন
এদের খাবারের সবটা জোগান দেয় মানুষের মুখের মৃত কোষ
রাতের আঁধার নেমে আসলেই নিজের গোপন আবাস ছেড়ে বেরিয়ে আসে এরা। ধীর পায়ে কিলবিল করে মুখজুড়ে। খাওয়া-দাওয়া করে, এমনকি সুযোগ বুঝে সেরে নেয় সঙ্গম। ত্বকের মৃত কোষ এদের দারুণ পছন্দ। রাতভর উদরপূর্তি শেষে ভোরের আলো ফুটতেই এরা আবার ফিরে যায় নিজেদের গোপন ঘরে।
প্রতি রাতে মানুষের মুখের ওপর এভাবে রাজত্ব কায়েম করে ডেমোডেক্স ফলিকুলরাম নামের এক ধরনের মাইট। এদের জন্ম মানুষের মুখের লোমকূপে, মুখের মৃত কোষ খেয়েই বাড়বাড়ন্ত; প্রায় দুই সপ্তাহের জীবনকাল কেটে যায় মানুষের মুখমণ্ডলে বিচরণ করেই।
সুদীর্ঘকাল ধরে মানুষের মুখকে পোষক বানিয়ে টিকে আছে এই প্রজাতির মাইট। তৈরি করেছে মানব মুখমণ্ডলের সঙ্গে এক গভীর আন্তসম্পর্ক। শুনতে ভয়ের মনে হলেও এদের আবাস হওয়ার বিনিময়ে বিশেষ কিছু সুবিধাও কিন্তু আদায় করে নিচ্ছে আমাদের মুখের ত্বক। এসব মাইট মৃত কোষভোজী হওয়ার কারণে পরিষ্কার থাকছে মানুষের মুখের লোমকূপ।
ডেমোডেক্স ফলিকুলরাম ছাড়াও আরো বেশ কিছু মাইটের অস্তিত্ব দেখা যায় মানুষের শরীরে। তবে এগুলোর কোনোটির পুরো জীবনচক্র মানুষের দেহনির্ভর নয়। কেবল ডেমোডেক্স ফলিকুলরামের একমাত্র আবাসস্থল মানুষ। এরা আমাদের মুখের লোমকূপে জন্মায়, খাওয়া-দাওয়া করে; এমনকি সঙ্গমের জায়গা হিসেবে বেছে নেয় মুখের নরম ত্বক। এদের খাবারের সবটা জোগান দেয় মানুষের মুখের মৃত কোষ।
মলিকুলার বায়োলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডেমোডেক্স ফলিকুলরাম মানুষনির্ভরতা জোরদার করতে নিজেদের জিনগত বিবর্তনও ঘটিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘আণুবীক্ষণিক মাইটগুলো একটি বাহ্যিক পরজীবী থেকে ক্রমশ মানবত্বকের অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যে বিকশিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এটি হোস্টের (মানুষ) সঙ্গে পারস্পরিক সুবিধার সম্পর্ক তৈরি করেছে।’
অন্যকথায় মাইটগুলো ধীরে ধীরে আমাদের দেহের অংশ হয়ে যাচ্ছে। গবেষকেরা বিভিন্ন অণুজীবের জিন বিন্যাস করে দেখেছেন ডেমোডেক্স ফলিকুলরামের মতো মানুষনির্ভরতা অন্য প্রজাতির মাইটের মধ্যে নেই। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বিশেষজ্ঞ আলেজান্দ্রা পেরোত্তি বলেন, ‘এই মাইটে অনুরূপ প্রজাতির চেয়ে জিনগত আলাদা বিন্যাস রয়েছে। এরা লোমকূপের ভেতর আশ্রিত জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।