হোমপেজ/রেজিস্ট্যান্স
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম আশীর্বাদ অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার। এর ফলে এমন অনেক রোগের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে, যেগুলোর কারণে একসময় মানুষ মারা পর্যন্ত যেত। কিন্তু এখন অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে মানুষ কয়েকদিনের মধ্যে সহজেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং অ্যান্টিবায়োটিকের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তবে এর অপব্যবহারের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম আশীর্বাদ অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার। এর ফলে এমন অনেক রোগের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে, যেগুলোর কারণে একসময় মানুষ মারা পর্যন্ত যেত। কিন্তু এখন অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে মানুষ কয়েকদিনের মধ্যে সহজেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং অ্যান্টিবায়োটিকের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তবে এর অপব্যবহারের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি ব্যাপকহারে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী?
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলতে আমরা বুঝি ব্যাকটেরিয়ার এক ধরণের শক্তি অর্জন করা বা এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার পদ্ধতি। অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া যখন এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার একটি পথ শিখে ফেলে।
আমরা জানি মানুষ যেমন প্রকৃতিতে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে বা বাঁচার পদ্ধতি শিখে ফেলে ঠিক তেমনি ব্যাকটেরিয়াও এন্টিবায়োটিকের মধ্যে বাঁচার পদ্ধতি এমনিতেই শিখে ফেলে। কিন্তু এ শেখাটা তখন খুব দ্রুত হয়ে যায় যখন এন্টিবায়োটিকের সাথে বারবার দেখা হয়। আর এই এন্টিবায়োটিকের সাথে দেখা হয়ে সে যদি বেঁচে যায় তখন তার একটা স্মৃতি তৈরি হয়। আর ওই স্মৃতিতে সে জানে ব্যাকটেরিয়া কিভাবে ঢুকে, কিভাবে বের হয়, কোন ধরণের বা কোন আকৃতির এবং কিভাবে তাকে মেরে ফেলতে হয়। স্মৃতিতে এই যে বেঁচে থাকার দক্ষতা তৈরি হয় সেটি তার পরবর্তী প্রজন্মকে এবং পাশের প্রজন্মকে জানিয়ে দেয়। এই জানানোর কিছু জেনেটিক পদ্ধতি আছে যেগুলো সে চিঠির মত করে লিখে পরবর্তী প্রজন্ম এবং পাশের প্রজন্মকে শিখিয়ে দেয়। একটি ব্যাকটেরিয়া যখন বেঁচে থাকার পদ্ধতি শিখে যায় তখন এই দক্ষতাটি ছড়িয়ে দেয় লক্ষ-কোটি ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে। যখন লক্ষ-কোটি ব্যাকটেরিয়া একটি নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার সক্ষমতা অর্জন করে তখন সে ওষুধটি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তখন আমরা বলি এই ব্যাকটেরিয়াটি এই এন্টিবায়োটিকের মধ্যে বেঁচে থাকার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আমরা তো ব্যাকটেরিয়াটি দেখতে পাই না। এর ফলে আমরা দুইটি ভুল করি। তখন আমরা বলি এক্স ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স।
আসলে এক্স ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স হয়নি। এক্স ড্রাগ রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ অফ ব্যাকটেরিয়া বাঁচার পদ্ধতি শিখে রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেছে। অতএব এক্স ড্রাগটি রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেছে এটি বললে এটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আরেকটি হলো, আমি রেজিস্ট্যান্স বা অমুক ব্যক্তি রেজিস্টেন্ট বা অমুকের শরীরে কাজ করে না এই কথাটি ভুল। কারণ ওই মানুষটিকে গতবার যে ব্যাকটেরিয়াটি আক্রমণ করেছিল সেটি ছিল রোগ প্রতিরোধী। মানে ওইটি এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। অতএব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হচ্ছে এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলা অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়াটি বিশেষ সক্ষমতা অর্জন করে ফেলা। এটি হচ্ছে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট।