হোমপেজ/স্পর্শিয়া
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
ভালো স্পর্শ, মন্দ স্পর্শ মন্দ বা খারাপ স্পর্শ মানে হলো, শরীরের ব্যক্তিগত অংশে যখন অন্য কেউ অযাচিতভাবে স্পর্শ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চারা এমনকি কিশোর-কিশোরীরাও এ ধরনের স্পর্শের বিষয়টা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত শিশুরা এ ধরনের ঘটনার মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে। শিশুকে তার নিজের শরীর সম্পর্বিস্তারিত পড়ুন
ভালো স্পর্শ, মন্দ স্পর্শ
মন্দ বা খারাপ স্পর্শ মানে হলো, শরীরের ব্যক্তিগত অংশে যখন অন্য কেউ অযাচিতভাবে স্পর্শ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চারা এমনকি কিশোর-কিশোরীরাও এ ধরনের স্পর্শের বিষয়টা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত শিশুরা এ ধরনের ঘটনার মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে।
শিশুকে তার নিজের শরীর সম্পর্কে ধারণা দিন
শিশুকে তার নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন করুন। তাকে জানান যে, তার শরীর একান্তই তার নিজস্ব এবং তার আওতাধীন। কোন আদর কতটুকু গ্রহণ করবে বা করবে না, সেটার সম্পূর্ণ অধিকার তার। যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো আদরকে সে না বলতে পারবে।
শিশুকে তার সারা শরীরের বিভিন্ন অংশের (শরীরের ব্যক্তিগত অংশসহ) সঠিক (অ্যানাটমিক্যাল নাম) নাম শেখান। সঠিক নাম জানলে শিশু শরীরের এসব অংশ নিয়ে বিব্রত থাকে না এবং কেউ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্পর্শ করলেও অন্যের কাছে সঠিকভাবে বলতে পারবে।
যে বয়স থেকে শিশুকে ভালো স্পর্শ, খারাপ স্পর্শ সম্পর্কে জানাবেন
ঠিক কোন বয়স থেকে শিশুদের নিরাপদ বা অনিরাপদ স্পর্শ নিয়ে কথা বলবেন, তার সঠিক কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। সাধারণত বলা যায়, যে সময় থেকে বাচ্চা আপনার কথা বুঝতে পারবে, তখন থেকেই বলা উচিত। তবে বলা যায়, মোটামুটি দু-তিন বছরের থেকেই বিশেষত বাচ্চাকে যখন অন্যের কাছে একা ছাড়বেন, তখন থেকেই বিষয়টা নিয়ে অল্প অল্প কথা বলা শুরু করা উচিত।
বিভিন্ন স্পর্শ সম্পর্কে ধারণা দিন
যখন বড়রা প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত অংশ (বুক, নিতম্ব, ঠোঁট ও যৌনাঙ্গ) স্পর্শ করবে। যে আদর করার পর ভয় দেখানো হয় বা অন্যের কাছে না বলার জন্য বা একান্ত গোপন খেলা হিসেবে বলা হয়। এগুলো খারাপ স্পর্শ।
অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শে শিশু কী করবে তা বলুন
শিশুকে স্পষ্টভাবে জানান, বড়দের (যত কাছেরই বা পরিবারের গুরুজনই হোক না কেন) কোনো আদর শিশুর অস্বস্তিকর লাগলে যেন সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবা বা অভিভাবককে জানায়।
শিশুকে আগে থেকেই আশ্বস্ত করে রাখুন, এ রকম ঘটনার ক্ষেত্রে সন্তানের নিরাপত্তার বিষয়ে আপনি সব সময় তার পাশে আছেন।
কোনো আদর শিশুর কাছে ভালো না লাগলে তাকে সরাসরি ও দৃঢ়ভাবে ‘না’ বলতে এবং ওই মুহূর্তে সেখান থেকে সরে আসতে শেখান।
কোনো ব্যক্তির আদর শিশুর কাছে ভালো না লাগলে পরবর্তীকালে কখনোই ওই ব্যক্তির সঙ্গে একা না থাকে।
সন্তান অভিযোগ করলে আপনি যা করবেন
সন্তান এ ধরনের অভিযোগ করলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব নিয়ে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এ ক্ষেত্রে সন্তানকে অবিশ্বাস করা বা অন্যায়কারীর পক্ষে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। তার অভিযোগ গ্রহণ করুন এবং তাকে নিশ্চিত করুন—এ ধরনের ঘটনা সামনে ঘটবে না।
এ ধরনের ঘটনা সন্তান আপনাকে বলছে মানে আপনার কাছে সাহায্য চাচ্ছে, নিরাপত্তা চাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আপনার উদাসীনতা, অমনোযোগ বা উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেওয়া আপনার প্রতি শিশুর আস্থার ভিত্তি নড়বড়ে করে ফেলতে পারে।
সংক্ষেপে দেখুন