Home/coca cola halal or haram
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
কোকাকোলা, পেপসিতে শুকরের চর্বি মেশানো হয় সেটা শুনতে শুনতেই আমি বড় হয়েছি। এটা সত্য নাকি মিথ্যা সেটা জাজমেন্ট করার মত অপারচুনেটি আমার ছিলনা। এখন আমি যেহেতু ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করি, তাই বাংলাদেশের কোকাকোলা ফ্যাক্টরি ভিজিট করার সুযোগ হয়েছে। তাদের সম্পূর্ন ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস সম্পর্কে আমাদেRead more
কোকাকোলা, পেপসিতে শুকরের চর্বি মেশানো হয় সেটা শুনতে শুনতেই আমি বড় হয়েছি। এটা সত্য নাকি মিথ্যা সেটা জাজমেন্ট করার মত অপারচুনেটি আমার ছিলনা।
এখন আমি যেহেতু ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করি, তাই বাংলাদেশের কোকাকোলা ফ্যাক্টরি ভিজিট করার সুযোগ হয়েছে। তাদের সম্পূর্ন ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস সম্পর্কে আমাদের ধারনা দেয়া হয়েছে।
কোকাকোলা বাংলাদেশে ৩টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে –
১. আব্দুল মোনেম লিমিটেড (AML)
২. প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড
৩. ইন্টারন্যাশেনাল বেভারেজ লিমিটেড (IBL)
(আমাকে সংশোধন করে দেওয়ার জন্য হুসাইন আহমেদ ভাইকে ধন্যবাদ)
ইন্টারন্যাশেনাল বেভারেজ লিমিটেড হচ্ছে কোকাকোলার নিজস্ব ফ্যাক্টরি। আর আব্দুল মোনেম এবং প্রাণ হচ্ছে কোকাকোলার ফ্র্যাঞ্চাইজি ফ্যাক্টরি। মানে কোকাকোলা থেকে লাইসেন্স নিয়ে AML ও প্রাণ বাংলাদেশে কোক বানায়।
ঢাকা অঞ্চলে IBL কোক সাপ্লাই করে। সিলেট, চট্টগ্রামে AML কোক সাপ্লাই করে। আপনার অঞ্চলে কারা সাপ্লাই করে সেটা জানতে বোতলের গায়ে AML বা IBL লেখা দেখে বুঝে নিন।
আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রেনিং-এর অংশ হিসেবে অরিজিনাল কোকাকোলা ফ্যাক্টরি অর্থাৎ ইন্টারন্যাশেনাল বেভারেজ লিমিটেড-এর ফ্যাক্টরি ভিজিট করি।
বাংলাদেশের কোকাকোলা এবং পেপসির নামে বিভিন্ন গুজব চালু আছে। যেমন শুকরের চর্বি দিয়ে বানানো হয়। কোকের রং কালো করার জন্য “রং” ব্যাবহার করা হয় ইত্যাদি।
একটা জিনিস বলে রাখি, কোকাকোলায় ন্যাচারাল ফ্লেভার নামে একটা উপাদান আছে, যেটাকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বানিজ্যিক সিক্রেট। এটা শত বছর ধরে সবার কাছে অজানা আছে। এটার উপাদান কি সেটা কেউ জানেনা। বাংলাদেশের ফ্যাক্টরিরও কেউ জানেনা। বিশ্বের কোথাও কোন ফ্যাক্টরির কেউ জানেনা।
কোকাকোলার নামে অনেক গুজব যে চলমান তা কোকাকোলাও জানে, তাই কোক উৎপাদনের সব কাচামাল বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় মুসলিম দেশ “মিশর” থেকে। তারপর সেটা দেশে প্রসেসিং করা হয় এবং কোক উৎপাদন করা হয়।
শূকরের রক্ত/মাংস/চর্বি কি ব্যবহার হয়?
এটা যদিও হাস্যকর তবুও বলি কোকাকোলার ফ্যাক্টরিতে কোন শুকরের রক্ত/মাংস/চর্বি প্রসেসিং করার মত কোন অংশ নেই। সুতরাং শুকরের রক্ত/চর্বি যোগ করার কোন প্রশ্নই আসে না।
প্রতিদিন কোকাকোলা ১.৮ বিলিয়নের বেশি কোকের বোতল বিক্রি করে। পৃথিবীতে মানুষ আছে ৭.৫ বিলিয়ন। তারা যদি শূকরের রক্ত/চর্বি যোগ করতোই তাহলে সেটা পূরন করার জন্য প্রচুর শূকরের প্রয়োজন হতো। এটা গোপন রাখা খুবই কঠিন হবে।
তাহলে কোকাকোলা কিভাবে বানায়?
প্রথম কমেন্টে একজন জানতে চেয়েছেন, তাই এই অংশটা এখানে যোগ করছি। কোকাকোলা বানানোর প্রসেস অনেকটা অন্যান্য বেভারেজ ফ্যাক্টরির মতই। তবে কোকাকোলা কোয়ালিটি ম্যান্টেইন করার ব্যাপারে কোন ছাড় দেয় না।
(কোকাকোলা কোন উপাদান, কোন পদ্ধতি ব্যাবহার করে উৎপাদন করে সেটা তাদের ট্রেড সিক্রেট। এটা বাইরে প্রকাশ করা অন-ইথিকাল এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আর আমরা বাইরে কিছু প্রকাশ করবো না, এমন শর্তেই ফ্যাক্টরি ভিজিট করেছিলাম। তাই তাদের উপাদান এবং উৎপাদন প্রসেস সম্পর্কে বলতে পারলাম না।)
কোকাকোলা উৎপাদন নিয়ে ন্যাশেনাল জিওগ্রাফির একটা ডকুমেন্টারি আছে, সেটা দেখলেই ধারনা পেয়ে যাবেন।
কোকাকোলার কালো রং কিভাবে আসে?কোকাকোলার কালো রং আনার জন্য কোনো ধরনের কালার ব্যবহার করা হয়না। চিনিকে (সুগার) হিট দিয়ে প্রসেসিং করার কারনে কালো রং আসে, যা সম্পূর্ন ন্যাচারাল।
ইন্টারন্যাশেনাল বেভারেজ লিমিটেড সম্পূর্ন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে। এখানে শ্রমিক নেই বললেই চলে। কোক ছাড়াও স্প্রাইট এবং ফান্টা একই ফ্যাক্টরিতে একই যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে বানানো হয়।
বাংলাদেশের কোকাকোলার ব্যাপারে কিছু তথ্যঃ
১. কোকাকোলার প্লাস্টিকের বোতল সাপ্লাই করে “প্রাণ”।
২. বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশুদ্ধ পানি কোকাকোলা উৎপাদনের জন্য বানানো হয়, IBL ১২টি ধাপে পানিকে বিশুদ্ধ করে। যা দেশের অন্য কোন ফ্যাক্টরিতে করে না।
৩. কোকাকোলার বোতল উৎপাদনের জন্য ভার্জিন প্লাস্টিক (আগে কখনো ব্যবহার হয়নি এমন প্লাস্টিক) ব্যবহার করা হয়।
(বিশ্বে প্লাস্টিক দূষনে এরা এজন্য এগিয়ে আছে)
কোকাকোলা ফ্যাট জাতীয় খাবার, আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে কোমলপানীয় এড়িয়ে চলা উচিৎ। যদি ন্যাচারাল ফ্লেভার নিয়ে খুতখুতে থাকেন, তাহলেও কোক এড়িয়ে চলতে পারেন। তবে কোকাকোলা সবচেয়ে বিশুদ্ধ উপায়ে কোক যাতে আপনাদের হাতে পৌছে দিতে পারে সেই চেষ্টা করে। তাই নিশ্চিন্তে কোকাকোলা খেতে পারেন।
#collected
লেখকঃ অরণ্য আহসান
See lessশাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়