শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
স্ট্রিট ফুডে নানান ভ্যারাইটির মধ্যে ফুচকা অতি লোভনীয় একটি স্ট্রিট ফুড।টক টক,ঝাল ঝাল, মুচ মুচে ফুচকা খেতে কেই না ভালোবাসে। কারোর কাছে এটা ফুচকা, কারও কাছে আবার এটা গোলগাপ্পা, কেউ বা বলেন পানিপুরী। আপামর বাঙালীর কাছে ফুচকা নামটিই অধিক জনপ্রিয়।
আসুন আজ তাহলে দেখে নেওয়া যাক বাড়ি বসে চটজলদি ফুচকা বানানোর রেসিপি।
ফুচকা বানানোর পদ্ধতি বেশ সহজ তাই একটু সময় ধৈর্য ও বেসিক কয়েকটি ধাপ মেনে চললেই তৈরি হয়ে যাবে মুচ মুচে, টক টক ঝাল ঝাল ফুচকা।
এখানে আজ ২৫টি ফুচকার মতো আয়োজন করা হল।
উপকরণ:
ফুচকা বানানোর রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ দেখে নেওয়া যাক।
ফুচকা বানানোর উপকরণ:
ফুচকার আলুর পুরের /আলু মাখার উপকরণ:
তেঁতুল জল তৈরি র উপকরণ:
এবার দেখে নেওয়া যাক ফুচকা রেসিপি পদ্ধতি —
মন্ড তৈরির পদ্ধতি:
১) একটি পাত্রে ১ কাপ ময়দা ও ১ কাপ সুজি নিতে হবে। তাতে এক চিমটি নুন ও ১/২ চা-চামচ বেকিং সোডা ও ১ চা-চামচ সাদা তেল দিয়ে মিশ্রণটি ভালো করে মাখতে হবে।
২) ওই মিশ্রণটিতে হালকা ইষৎ উষ্ণ জল একটু একটু করে দিয়ে মাখতে হবে বেশ কিছুক্ষন ধরে। মাখার শেষ হলে ৪মিনিট মতো হাতে সামান্য তেল মাখিয়ে নিয়ে হালকা হাতে দোলতে হবে।
৩) তারপর মন্ডটিকে ১ঘন্টার মতো ভিজে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে পাত্রটি ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
ফুচকা বানানোর পদ্ধতি:
৪) একটি বড় লেচি কেটে একটু মোটা ভাবে বেলে নিতে হবে তবে খুব মোটা বা খুব পাতলা হবেনা। খুব মোটা যদি বেলেন তাহলে ফুচকা গুলি ফুলবেনা আর পাতলা হয়ে গেলে সেটি পাপড়ি হয়ে যাবে।তারপর একটি ছোট সাইজের কৌটোর ঢাকনা দিয়ে বড় আকৃতির রুটি থেকে ফুচকা র আকারে কেটে বের করে নিতে হবে।
৫) সেগুলোকে কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে তাহলে ফুচকা গুলি ভালো ফুলবে।
৬) ওভেনে কড়াই বসিয়ে (লো-এর থেকে বেশি আর মিডিয়ামের থেকে একটু কম ফ্লেমে) তাতে তেল দিয়ে একটু অপেক্ষা করতে হবে কারণ, ভালো করে তেল গরম করার দরকার হয় না ফুচকা তৈরির সময়। একদম হালকা একটু গরম হলেই একে একে বেলা ফুচকা গুলো তেলে ছেড়ে দিতেতে হবে।
৭) হালকা হাতে নাড়াচাড়া করতে করতে দেখবেন ফুচকা গুলি খুব সুন্দর ভাবে ফুলে উঠবে। তেল ততক্ষণে অনেক গরম হলে গ্যাস বন্ধ করে বাকি ফুচকা গুলি ভেজে নিন একই ভাবে।
৮)একটি ঝুড়ির মধ্যে রেখে দিন বারতি তেল ঝড়ে যাবে। তাহলেই রেডি হয়ে যাবে ফুলকো ফুলকো মুচ মুচে ফুচকা।
পুর বানানোর পদ্ধতি:
৯) এরপর আসা যাক পুর বানানোর পদ্ধতিতে। প্রথমে একটি বেশ বড়ো জায়গায় ৩টি আলুসেদ্ধ নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিতে হবে।
১০) মাখা আলুতে একে একে যোগ করতে হবে ১মুঠো ছোলা মটর, ১চা-চামচ লঙ্কাকুচি, ভাজা মশলা ৪চা-চামচ, বিটনুন স্বাদ মতো, চাটমশলা ১চা-চামচ, তেঁতুল জল ২টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি আন্দাজ মতো দিয়ে ভালো করে মাখতে হবে।
তেঁতুল জল তৈরির পদ্ধতি:
১১) একটি পাত্রে ১লিটার জল নিয়ে তাতে তেঁতুলের পাল্ব ৩ চা-চামচ দিয়ে মেশাতে হবে যতক্ষন না তা জলে সম্পূর্ণ গুলে যায়।
১২) ওই মিশ্রণটিতে একে একে ভাজা মশলা ২চা-চামচ, লঙ্কা গুড়ো ১চা-চামচ, বিট নুন ১চা-চামচ,ধনে পাতা কুঁচি প্রয়োজন মতো দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে।
১৩)এবার ওই জলটিতে চাট মশলা ১ চা-চামচ দিয়ে আরেক একটু মিশিয়ে নিতে হবে এবং সবশেষে সুগন্ধের জন্য ৪টি লেবু পাতা দিতে হবে।
কীভাবে ফুচকাকে আরও মুচমুচে এবং স্বাদে অতুলনীয় করে তুলবেন?
ফুচকাকে আরও মুচমুচে এবং সুস্বাদু করতে কয়েকটি ছোট জিনিস করলেই হবে আসুন দেখেনি :-
১) মন্ড তৈরির পদ্ধতিতে:
মন্ড তৈরি হয়ে যাবার পর সেটিকে ভিজে কাপড় জরিয়ে রাখা আবশ্যক অন্তত ১ঘন্টা তো বটেই।
২) পুর তৈরির পদ্ধতিতে:
পুর তৈরির সময় বাইরে দেখবেন তেঁতুল জল দিয়ে মাখা হয় যা মশলাটিকে আলুর সাথে বোঝা যায় নাহলে মশলা ও আলু ভালো মিশে যায় না।
৩) তেঁতুলজল তৈরির পদ্ধতিতে:
এইজল তৈরির সময় নুন না দিলেও চলে কিন্তু তেঁতুল যদি খুব টক হয় তাহলে তেমন দেখে নুন দিতে হবে।
কোন উপকরণ ফুচকা তৈরিতে দিলে তার স্বাদ দ্বিগুণ করে?
মুখরোচোক খাবারের স্বাদ বারে নির্দিষ্ট কিছু উপকরণের দ্বারা।
১) ধনেপাতা কুচি– ধনেপাতা কুচি তেঁতুলের জলে এবং পুরে দিলে এর নির্যাস খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে তোলে। এটি অনেক সময় দিতে আমাদের মনেই থাকে না কিন্তু এটি হল সুস্বাদু করে তোলার অন্যতম উপকরণ।
২) ভাজা মশলা– ধনে, জিরে, শুকনো লঙ্কা একসঙ্গে গুড়িয়ে তা চাট মশলার সাথে দিলে তা আরেক স্বাদ বৃদ্ধির অন্যতম উপকরণের ভূমিকা রাখে।
সূত্রঃ ইন্টারনেট