জল এবং চায়ের পর পৃথিবীতে তৃতীয় জনপ্রিয় পানীয় কোনটি?
শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
এই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা বিতর্কিত। অনেকেই মনেকরেন জল এবং চায়ের পরে তৃতীয়-সর্বাধিক জনপ্রিয় পানীয় হলো বিয়ার (উইকিপিডিয়া)। আবার বিভিন্ন সোর্স থেকে তৃতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে কফি কে মনে করা হয়। চলুন দুটো ধারণাকে ব্যবচ্ছেদ করা যাক!
বিয়ার
বিয়ার হল বিশ্বের সর্বাধিক ব্যয়িত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং জল এবং চায়ের পরে এটি তৃতীয়-সর্বাধিক জনপ্রিয় পানীয়।
বিয়ার হলো একটি জনপ্রিয় অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়, যা মূলত গম, যব, ভুট্টা বা চালের মতো শস্য থেকে তৈরি হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন পানীয়, যার উৎপত্তি প্রায় ৫,০০০ বছর আগে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে। বিয়ারের মূল উপাদান হলো শস্য, পানি, ইস্ট এবং হপস। এটি স্বাদে হালকা তিক্ত এবং কার্বনেটেড ফোমের জন্য পরিচিত। বিয়ার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন লেগার, এলে, স্টাউট ইত্যাদি। সামাজিক মিলনমেলায় বা বিনোদনের মুহূর্তে বিয়ার আজকাল খুবই জনপ্রিয়। তবে এটি পরিমিত পরিমাণে পান করাই স্বাস্থ্য এবং সামাজিক দিক থেকে উপযোগী।
বিয়ার কি মদ বা বিয়ার কি হারাম
বিয়ার হারাম কি না এটি মূলত ধর্মীয় বিশ্বাস ও পানীয়টির উপাদানের উপর নির্ভর করে। ইসলাম ধর্মে যে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য বা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এগুলো মানুষের বিচারক্ষমতা ও নৈতিকতা দুর্বল করে।
বিয়ারের বেশিরভাগ প্রকারে অ্যালকোহল থাকে, যা মাদকদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। তাই, অ্যালকোহলযুক্ত বিয়ার ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী হারাম। তবে বর্তমানে বাজারে নন-অ্যালকোহলিক বিয়ার ও পাওয়া যায়, যেগুলোতে অ্যালকোহলের উপস্থিতি নেই বা নগণ্য (০.৫% এর নিচে)। এ ধরনের বিয়ারের ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ এটিকে বৈধ মনে করেন, তবে ইসলামি পণ্ডিতদের মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে।
সুতরাং, যদি এটি সম্পূর্ণ অ্যালকোহলমুক্ত না হয়, তবে অধিকাংশ ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হারাম বলে বিবেচিত হবে। আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস ও পণ্ডিতদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উত্তম।
কফি
জল এবং চায়ের পর পৃথিবীতে তৃতীয় জনপ্রিয় পানীয় হলো কফি।
কফি তার স্বাদ, গন্ধ এবং ক্যাফেইনের উদ্দীপক গুণাবলীর জন্য বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষের প্রিয়। প্রতি দিন প্রায় ২ বিলিয়ন কাপ কফি পান করা হয়! এর উৎপত্তি ইথিওপিয়ায়, তবে এটি এখন পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি কোণে জনপ্রিয়।
বিশেষত সকালে ক্লান্তি দূর করতে বা কাজের মাঝে উদ্যম বাড়াতে কফি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ক্যাপুচিনো, এসপ্রেসো, লাট্টে, কিংবা আমেরিকানোর মতো নানা বৈচিত্র্য কফিকে আরও জনপ্রিয় করেছে। এটি শুধু একটি পানীয় নয়, বরং অনেকের কাছে এটি একটি জীবনযাত্রার অংশ।
জল এবং চায়ের পর পৃথিবীতে তৃতীয় সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হল **কফি**।
কফি বিশ্বের অনেক দেশের সংস্কৃতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি নানা প্রকারে প্রস্তুত করা হয়, যেমন কালো কফি, ল্যাটে, ক্যাপুচিনো ইত্যাদি। কফি বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে জনপ্রিয় এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পণ্যও, বিশেষ করে ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, কলম্বিয়া এবং ইথিওপিয়া সহ অনেক দেশ কফি উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফিস, ক্যাফে থেকে বাড়ি—কফি প্রায় সবখানেই পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়।