শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
পানি দূষণ
পানি দূষণ বা জলদূষণ বলতে পানিতে বা জলে কোন বিষাক্ত দ্রব্য অথবা দূষিত বর্জ্য পদার্থ মিশ্রণের ফলে মানব ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।
জল দূষণ একটি প্রধান বৈশ্বিক সমস্যার কারণ যা চলমান মূল্যায়ন এবং পানি সম্পদের নীতিমালার সমস্ত স্তরের (আন্তর্জাতিক জলাধার এবং আন্তর্জাতিক কুয়োগুলি থেকে নিচে) পর্যায়ক্রমিকতার প্রয়োজন। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে পানি দূষণ বিশ্বজুড়ে মৃত্যু এবং রোগের প্রধান কারণ। শুধুমাএ পানি দূষণের কারণেই প্রতিদিনই বিশ্বে প্রায় ১৪০০ এরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়।বাংলাদেশে আনুমানিক ৮০ জন মানুষ পানি দূষণ সম্পর্কিত অসুস্থতা প্রতিদিনই মারা যায়।
পানি দূষণের কারণ
পানি ময়লাযুক্ত, অপরিষ্কার ও রঙিন হলেই কেবল দূষিত হয় না। পরিষ্কার পানিও অনেক সময় আমাদের পান করার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। নিচে পানি দূষণের প্রধান কারণগুলো দেওয়া হলো:
পুকুর বা নদীর পানিতে বাসন-কোসন মাজা, গোসল করা, ময়লা কাপড় কাচা, গরু-মহিষ গোসল করানো, পাট পচানো, পায়খানা-প্রস্রাব করা, প্রাণীর মৃতদেহ ফেলা প্রভৃতি উপায়ে নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুরের পানি দূষিত হয়।
ষকলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর মলমূত্র, বিছানাপত্র, জামাকাপড় পুকুর, খাল-বিল বা নদীর পানিতে ধুলে রোগের জীবাণু মিশে পানি দূষিত করে।
ষকলকারখানার বর্জ্য পদার্থ পানিতে ফেললে পানি দূষিত হয়। কারণ এই বর্জ্য পদার্থে ক্ষতিকর পদার্থ মিশে থাকে।
ষকৃষিকাজে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করলে তা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে খাল-বিল ও নদীর পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে।
ষবন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের সময় গ্রাম ও শহর অঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। এতে মানুষ ও গৃহপালিত পশু-পাখির মলমূত্র পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। এই দূষিত পানি পুকুর, কুয়া ও নলকূপের পানিতে মিশে পানযোগ্য পানিকে দূষিত করে তোলে।
এ ছাড়া প্রাকৃতিক কারণে পানি আর্সেনিক দূষণ হয়ে থাকে। মাটির নিচে আর্সেনিকের খনিজ থাকে। আর্সেনিক ভূ-গর্ভের পানির স্তরের সংস্পর্শে এলে তা পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে।
পানি দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব
পানি দূষণের ফলে জলজ খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট হচ্ছে। ফলে জলজ প্রাণী খাদ্যাভাবে মারা যাচ্ছে। পানি দূষণের ফলে মানুষ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ যেমন কলেরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
পানি দূষণ রোধের উপায়
পানি দূষণ রোধ করার উপায়গুলো নিম্নরূপ:
পুকুর বা নদীর পানিতে বাসন-কোসন মাজা, গোসল করা, ময়লা কাপড় কাচা, গরু-মহিষ গোসল করানো, পাট পচানো, পায়খানা প্রস্রাব করা, প্রাণীর মৃতদেহ ফেলা ইত্যাদি থেকে বিরত থেকে নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখা।
কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর মলমূত্র, বিছানাপত্র, জামাকাপড় পুকুর, খাল-বিল বা নদীর পানিতে না ধোয়া।
কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ পানিতে না ফেলা।
কৃষিকাজে কীটনাশকের ব্যবহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা। প্রয়োজনে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা।
বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের সময় মানুষ ও গৃহপালিত পশু-পাখির মলমূত্র যাতে পানিতে না মিশতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকা।
সূত্রঃ ইন্টারনেট