জনপ্রিয় সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের ‘শুন বরনারী’ উপন্যাসের একটি প্রধান চরিত্রের নাম হিমাদ্রিশেখর দত্ত ওরফে হিমু। “শুন বরনারী” উপন্যাসটি ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়। এটির উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছিল এবং তাতে অভিনয় করেছিলেন স্বায়ং উত্তম কুমার ও সুপ্রিয়া দেবী (ইউটিউবে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন)। পরোপকারী ও নিঃস্বার্থ এই হিমু চরিত্র থেকেই হুমায়ূন আহমেদ তার বিখ্যাত কালজয়ী চরিত্র “হিমু” সৃষ্টি করেন। হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন লেখায় সে কথা উল্লেখ করেছেন (দ্বৈরথ)।
তবে এখানে আলোচ্য বিষয় হলো “চরিত্রটি চুরি করা” নিয়ে। আমি সঠিক জানি না সাহিত্যে চরিত্র চুরি করা বলতে আসলে কি বোঝায় তবে এটুকু বলতে পারি সুবোধ ঘোষের হিমু আর হুমায়ুন আহমেদের হিমুর মধ্যে আকাশ আর পাতাল পার্থক্য। তাই ‘হিমু’ চরিত্রটি চুরি করা— এ কথা আমি বলতে পারি না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ বহু বিখ্যাত সাহিত্যিক ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার বিভিন্ন লেখকদের গল্প থেকে বাংলা সাহিত্যের অনেক জনপ্রিয় উপন্যাসের ধারণা নিয়েছিলেন । হুমায়ুন আহমেদ ‘শুন বরনারী’ থেকে শুধুমাত্র হিমু নাম এবং হিমুর সরলতা ও পরোপকারীতা’র বৈশিষ্ট্যটুকুই গ্রহণ করেছেন। তারপর সম্পূর্ণ নতুনরূপে সুনিপুণ দক্ষতায় অসাধারণরূপে সৃষ্টি করেছেন হিমুকে। বাংলা সাহিত্যে হিমু স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
তাই আমি বলব হিমু চরিত্রটি হুমায়ুন আহমেদ এর চুরি করা,কথাটা কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়।
তানি রহমান
জনপ্রিয় সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের ‘শুন বরনারী’ উপন্যাসের একটি প্রধান চরিত্রের নাম হিমাদ্রিশেখর দত্ত ওরফে হিমু। “শুন বরনারী” উপন্যাসটি ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়। এটির উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছিল এবং তাতে অভিনয় করেছিলেন স্বায়ং উত্তম কুমার ও সুপ্রিয়া দেবী (ইউটিউবে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন)। পরোপকারী ও নিঃস্বার্থ এই হিমু চরিত্র থেকেই হুমায়ূন আহমেদ তার বিখ্যাত কালজয়ী চরিত্র “হিমু” সৃষ্টি করেন। হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন লেখায় সে কথা উল্লেখ করেছেন (দ্বৈরথ)।
তবে এখানে আলোচ্য বিষয় হলো “চরিত্রটি চুরি করা” নিয়ে। আমি সঠিক জানি না সাহিত্যে চরিত্র চুরি করা বলতে আসলে কি বোঝায় তবে এটুকু বলতে পারি সুবোধ ঘোষের হিমু আর হুমায়ুন আহমেদের হিমুর মধ্যে আকাশ আর পাতাল পার্থক্য। তাই ‘হিমু’ চরিত্রটি চুরি করা— এ কথা আমি বলতে পারি না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ বহু বিখ্যাত সাহিত্যিক ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার বিভিন্ন লেখকদের গল্প থেকে বাংলা সাহিত্যের অনেক জনপ্রিয় উপন্যাসের ধারণা নিয়েছিলেন । হুমায়ুন আহমেদ ‘শুন বরনারী’ থেকে শুধুমাত্র হিমু নাম এবং হিমুর সরলতা ও পরোপকারীতা’র বৈশিষ্ট্যটুকুই গ্রহণ করেছেন। তারপর সম্পূর্ণ নতুনরূপে সুনিপুণ দক্ষতায় অসাধারণরূপে সৃষ্টি করেছেন হিমুকে। বাংলা সাহিত্যে হিমু স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
তাই আমি বলব হিমু চরিত্রটি হুমায়ুন আহমেদ এর চুরি করা,কথাটা কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়।