অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে ভাইরাসকে মেরে ফেলে?
শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাস মারতে পারেনা
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সম্পূর্ণ ভিন্ন নিজস্ব প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে কাজ করে। তাদের উভয়েরই প্রধান লক্ষ্য হলো মানুষের দেহে ঢুকে টিকে থাকা ও বংশ বিস্তার করা। এ জন্য ব্যাকটেরিয়া নিজস্ব রাইবোসোম (ribosome) ব্যবহার করে তাদের বংশবিস্তার ও টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়াল প্রোটিন তৈরি করে। তাই একে চিহ্নিত করা সহজ। কিন্তু ভাইরাস প্রথমেই দেহকোষ আক্রমণ করে কোষের কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং আমাদের দেহকোষ ব্যবহার করে ভাইরাল প্রোটিন তৈরি করতে থাকে। এভাবে দ্রুত ভাইরাস আমাদের দেহে নিজের বংশ বিস্তার করে।
এই অবস্থায় গতানুগতিক পদ্ধতিতে ভাইরাস দমন করতে গেলে আমাদের দেহকোষ ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাহলে তো আমাদের জীবনই বিপন্ন হবে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক নয়, বরং ভাইরাস দমনের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা (ভ্যাকসিন) তৈরি করতে হয়, যেন ভাইরাস আমাদের দেহকোষ দখলের আগেই দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা তাদের চিনতে পারে এবং দ্রুত নির্মূল করে। যেহেতু ভ্যাকসিন আবিষ্কার সময়সাপেক্ষ, তাই ভাইরাসের চিকিৎসা ব্যাকটেরিয়ার তুলনায় কঠিন।
আমরা জানি, ঠান্ডায় গলাব্যথা, কাশি, জ্বরের জন্য সাধারণত তিন দিন দেখতে হয় জ্বর কমে কি না। এরপর ডাক্তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেন। নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ খেতে হয়। অসুখ ভালো হয়ে যায়। কিন্তু যদি কোনো ভাইরাসের কারণে অসুস্থতা হয়, তাহলে ডাক্তার নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এখন যেমন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ হয় না। অন্য পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়। তবে ভাইরাসের কারণে সেকেন্ডারি ইনফেকশন রোধের জন্য হয়তো প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হতে পারে। এতে অবশ্য মূল ভাইরাসের চিকিৎসা হয় না।