মরিচ গাছের পাতা কোকড়ানো ও তার প্রতিকার পাতা কোকড়ানো সমস্যার মূল কারণগুলো হলো থ্রিপস পোকা, মাকড়, বা সাদামাছি পোকা। থ্রিপস পোকা কচি পাতার রস শুষে নেয়, যার ফলে পাতা কুঁকড়ে যায় এবং বাদামী দাগ পড়ে। মাকড়ের আক্রমণে পাতার নিচে সাদা জালের মতো চিহ্ন দেখা যায়। প্রতিকার: আক্রান্ত পাতা ছিঁড়ে ফেলে গাছ পরিষ্কার রাবিস্তারিত পড়ুন
মরিচ গাছের পাতা কোকড়ানো ও তার প্রতিকার
পাতা কোকড়ানো সমস্যার মূল কারণগুলো হলো থ্রিপস পোকা, মাকড়, বা সাদামাছি পোকা। থ্রিপস পোকা কচি পাতার রস শুষে নেয়, যার ফলে পাতা কুঁকড়ে যায় এবং বাদামী দাগ পড়ে। মাকড়ের আক্রমণে পাতার নিচে সাদা জালের মতো চিহ্ন দেখা যায়।
প্রতিকার:
- আক্রান্ত পাতা ছিঁড়ে ফেলে গাছ পরিষ্কার রাখা।
- নিম তেল (১-২ টেবিল চামচ) ও ডিশ ওয়াশ মিশিয়ে স্প্রে করা।
- রাসায়নিকভাবে, ফিপ্রোনিল বা ডাইমেথয়েট স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- হলুদ স্টিক ট্র্যাপ ব্যবহার করে পোকা দমন করা যেতে পারে।
মরিচ গাছের পাতা হলুদ হওয়া
পাতার হলুদ হওয়ার কারণ হতে পারে পুষ্টির অভাব, অতিরিক্ত পানি জমে থাকা, বা জাব পোকা। মাটি থেকে নাইট্রোজেন ও পটাশ সরবরাহ বাড়িয়ে এ সমস্যা সমাধান করা যায়। পানি নিস্কাশনের ভালো ব্যবস্থা করাও জরুরি।
মরিচ গাছের ফুল ঝরে যাওয়া
ফুল ঝরে যাওয়ার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত গরম, মাটি শুষ্ক হওয়া, বা মাটির পুষ্টিহীনতা। ফসফরাস ও পটাশ সার ব্যবহার এবং সঠিক পানি সরবরাহ ফুল ঝরা কমাতে সাহায্য করে।
মরিচ গাছের গোড়া পচা
গোড়া পচা রোগ মূলত ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। ভালো পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা রাখা এবং জমি পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি অনুমোদিত ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করা যায়। বীজ রোপণের আগে বীজ শোধন করাও কার্যকর।
মরিচ গাছের পরিচর্যা
- নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে পোকামাকড় দমন।
- সুষম সার ব্যবহার এবং নাইট্রোজেন সার ভাগ ভাগ করে প্রয়োগ।
- আক্রান্ত গাছ বা অংশ অপসারণ।
- বীজতলা মশারি দিয়ে ঢেকে রাখা এবং ভালো মানের বীজ ব্যবহার করা।
এই তথ্যগুলো মরিচ গাছের বিভিন্ন রোগ ও প্রতিকার নিয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সঠিক পরিচর্যা এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনার মরিচ গাছ ভালো ফলন দিতে পারে।
সংক্ষেপে দেখুন
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষঃ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বা "অত্যন্ত মন্দ" মানুষ হিসেবে সাধারণভাবে অ্যাডলফ হিটলারের নামই সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানির একনায়ক ছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ও হলোকাস্টের জন্য সরাসরি দায়ী। অ্যাডলফ হিটলারের অপরাধসমূহ হলবিস্তারিত পড়ুন
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষঃ
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বা “অত্যন্ত মন্দ” মানুষ হিসেবে সাধারণভাবে অ্যাডলফ হিটলারের নামই সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানির একনায়ক ছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ও হলোকাস্টের জন্য সরাসরি দায়ী।
অ্যাডলফ হিটলারের অপরাধসমূহ
হলোকাস্ট: হিটলারের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদি এবং আরও কয়েক লক্ষ রোমা, সমকামী, প্রতিবন্ধী ও রাজনৈতিক বিরোধীকে হত্যা করা হয়। এই গণহত্যা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা: ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমে হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেন, যার ফলে প্রায় ৭ কোটি মানুষ প্রাণ হারায়।
জাতিগত বিদ্বেষ ও বর্ণবাদ: হিটলারের আদর্শে “আর্য জাতি”কে শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীকে “অবাঞ্ছিত” হিসেবে চিহ্নিত করে নিধনযজ্ঞ চালানো হয়।
রাজনৈতিক দমন-পীড়ন: তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মতাদর্শের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন, যার ফলে বহু মানুষ কারাবন্দি বা নিহত হন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খলনায়ক
জোসেফ স্টালিন
সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা, যিনি গণহত্যা, গুলাগ ক্যাম্প, দুর্ভিক্ষ ও রাজনৈতিক শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটান।
মাও সেতুং
চীনের কমিউনিস্ট নেতা, যাঁর “গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড” ও “কালচারাল রেভল্যুশন” নীতির ফলে কয়েক কোটি মানুষ প্রাণ হারান।
পল পট
কম্বোডিয়ার খেমার রুজ নেতা, যাঁর শাসনামলে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ নিহত হন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ।
কিং লিওপোল্ড II
বেলজিয়ামের রাজা, যিনি কঙ্গোতে উপনিবেশিক শাসনের নামে প্রায় ১ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটান।
ইভান দ্য টেরিবল
রাশিয়ার প্রথম জার, যিনি নিষ্ঠুরতা ও গণহত্যার জন্য পরিচিত ছিলেন।
“সবচেয়ে খারাপ মানুষ” নির্ধারণ করা একটি জটিল ও বিতর্কিত বিষয়, তবে অ্যাডলফ হিটলারের অপরাধের মাত্রা, পরিসর ও প্রভাবের কারণে ইতিহাসবিদদের মধ্যে তিনি সাধারণত এই তালিকার শীর্ষে থাকেন। তাঁর শাসনামল মানব ইতিহাসের অন্যতম অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই বিষয়ে আরও জানতে, আপনি উত্তরের সাথে এটাচড ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
সংক্ষেপে দেখুন