আমাদের সংখ্যা তত্ত্বে শূন্যের গুরুত্ব কতটা আমরা সেটি সবাই জানি, কিন্তু জানেন কি এই শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন কে?
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ashad khandakerপণ্ডিত
আমাদের সংখ্যা তত্ত্বে শূন্যের গুরুত্ব কতটা আমরা সেটি সবাই জানি, কিন্তু জানেন কি এই শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন কে?
শেয়ার করুন
সংখ্যা তত্ত্বে শূন্যের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু গণিতের ক্ষেত্রেই নয়, বিজ্ঞানের নানান শাখায়ও অপরিহার্য। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন কে? শূন্য কে আবিষ্কার করেন শূন্যের ধারণা প্রথম বিকশিত হয়েছিল ভারতবর্ষে। ষষ্ঠ বা সপ্তম শতাব্দীতে মহান ভারতীয় গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ ব্রহ্মগুপ্ত শূনবিস্তারিত পড়ুন
সংখ্যা তত্ত্বে শূন্যের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু গণিতের ক্ষেত্রেই নয়, বিজ্ঞানের নানান শাখায়ও অপরিহার্য। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন কে?
শূন্য কে আবিষ্কার করেন
শূন্যের ধারণা প্রথম বিকশিত হয়েছিল ভারতবর্ষে। ষষ্ঠ বা সপ্তম শতাব্দীতে মহান ভারতীয় গণিতবিদ এবং জ্যোতির্বিদ ব্রহ্মগুপ্ত শূন্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারের ধারণা দেন। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত তে শূন্যকে একটি সংখ্যারূপে ব্যবহার করেন এবং এর উপর ভিত্তি করে গণিতের নিয়মাবলী প্রণয়ন করেন।
এর আগেও বিভিন্ন সভ্যতায় শূন্যের আংশিক ধারণা দেখা গেলেও (যেমন: ব্যাবিলনীয় এবং মায়া সভ্যতায় শূন্য চিহ্নের ব্যবহার), ব্রহ্মগুপ্ত প্রথমবার শূন্যের গণিতগত এবং ব্যবহারিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এই শূন্য ছাড়া বর্তমান আধুনিক গণিত এবং প্রযুক্তি অচল হয়ে পড়ত।
তাহলে, আপনি যখন শূন্য নিয়ে ভাবছেন, মনে রাখবেন, এটি শুধুমাত্র একটি সংখ্যা নয়; এটি ভারতের প্রাচীন বিজ্ঞান ও জ্ঞানচর্চার এক অনন্য উপহার।
সংক্ষেপে দেখুনশূন্যের ধারণাটি এক সময় মানব সভ্যতার জন্য এক অজানা ও রহস্যময় বিষয় ছিল, তবে শূন্যের আবিষ্কার একক কোনো ব্যক্তির কাজ নয়, বরং এটি একটি দীর্ঘপ্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ। তবে শূন্যের ব্যবহারের প্রথম পরিচিত উদাহরণ পাওয়া যায় ভারতীয় গণিতজ্ঞদের কাছ থেকে। **ভারতীয় গণিতজ্ঞ ব্রাহ্মগুপ্ত (Brahmagupta)**, যিনি ৭ম শতকে (৭৮৮বিস্তারিত পড়ুন
শূন্যের ধারণাটি এক সময় মানব সভ্যতার জন্য এক অজানা ও রহস্যময় বিষয় ছিল, তবে শূন্যের আবিষ্কার একক কোনো ব্যক্তির কাজ নয়, বরং এটি একটি দীর্ঘপ্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ। তবে শূন্যের ব্যবহারের প্রথম পরিচিত উদাহরণ পাওয়া যায় ভারতীয় গণিতজ্ঞদের কাছ থেকে।
**ভারতীয় গণিতজ্ঞ ব্রাহ্মগুপ্ত (Brahmagupta)**, যিনি ৭ম শতকে (৭৮৮-৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ) ভারতীয় গণিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন, শূন্যকে একটি পূর্ণসংখ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন এবং এর জন্য বিশেষ গণনা বিধি তৈরি করেছিলেন। তিনি শূন্যকে শুধু একটি ‘সংখ্যা’ হিসেবে না, বরং একটি গাণিতিক অপারেশন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ব্রাহ্মগুপ্তের লেখা “ব্রাহ্মগুপ্ত সূত্র” গ্রন্থে শূন্যের বিভিন্ন গাণিতিক ব্যবহার ও নীতি বর্ণিত আছে, যেমন শূন্যের সাথে যোগ এবং গুণের নিয়ম।
তবে, শূন্যের ধারণার উন্নতি অনেক আগে থেকেই ভারতীয় গণিতজ্ঞদের মধ্যে চলে আসছিল। ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ শূন্যের ধারণা গাণিতিক বিশ্লেষণ ও গণনা পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটায়।
এছাড়া, **অ্যারাবিয়ান গণিতবিদদের (যেমন আল-খাওয়ারিজমি)** মাধ্যমে শূন্যের ধারণা পাশ্চাত্যে পৌঁছায়, এবং পরে এটি আধুনিক গণিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
অতএব, শূন্যের আবিষ্কার এককভাবে কোনো এক ব্যক্তির কাজ নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক এবং গাণিতিক উন্নতির অংশ ছিল, যেখানে ভারতীয় গণিতবিদেরা প্রথম শূন্যের প্রকৃত গাণিতিক ব্যবহার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সংক্ষেপে দেখুন