ইসলাম-পূর্ব আরবে আল্লাহ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহার হতো?
শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
মূলত ইসলাম পূর্ব আরবে পৌত্তলিক, ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা বসবাস করত। আমরা জানি যে হিব্রু, আরামিক, আরবী এগুলো সেমেটিক ভাষা। তো হিব্রু ভাষাতেও ‘এলাহ’ বা ‘এলোহিম’ শব্দ দ্বারা আল্লাহকে ডাকা হত। আবার আরামিক ‘আলাহা’ শব্দ দিয়েও আল্লাহকে ডাকা হত, মানে এই শব্দগুলো দিয়ে ইংরেজি ”God’ শব্দের অর্থ বোঝায় সাধারণত। তবে ব্যবহারিকভাবে একক সত্ত্বা প্রভু বলতেই এসব শব্দ ব্যবহৃত হয়। ইসলাম পূর্ব আরবে ‘আল্লাহ’ শব্দ ব্যবহৃত হত সকল ‘দেবতাদের দেবতা’ হিসেবে; আবার সকল ‘দেবতাদের পিতা’ বা ‘দেবতাদের স্রষ্টা’ হিসেবে। এক কথায় আল্লাহ পৌত্তলিকদের কাছে এমন সত্ত্বা হিসেবে বিবেচিত হত যিনি ছিলেন অদৃশ্য, সকল কিছুর স্রষ্টা ও পরিচালক এবং যিনি দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে উচুু পর্যায়ে। এক কথায় বলতে গেলে আল্লাহ শব্দটি তৎকালীন আরবীয় ইহুদী-খ্রিস্টান-পৌত্তলিকরা তাদের স্রষ্টা ও পরিচালক হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু পৌত্তলিকরা আল্লাহকে সর্ব্বোচ হিসেবে মানলেও সাথে সাথে অন্য দেবতা/দেবীদের পূজা করত, যেটা ইসলামিক/ইহুদী/খ্রিষ্টান একেশ্বরবাদী ধারণার পরিপন্থী।