শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
শুকনো পাউরুটি বা টোস্টের সঙ্গে আমরা সাধারণত জ্যাম অথবা জেলি খেয়ে থাকি। এটি শুকনো খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং খাওয়ার কষ্টও কমায়। অনেকেরই মনে হতে পারে, জ্যাম আর জেলি হয়তো একই জিনিস।
জ্যাম ও জেলির পার্থক্য
দেখতে প্রায় একই রকম হলেও, আসলে এই দুই খাবারের মধ্যে রয়েছে কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য। জ্যাম ও জেলির নাম পাশাপাশি বলা হলেও, আসলে এগুলো এক ধরনের খাবার নয়। তবে এই দুই খাবার তৈরিতে প্রায় একই ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়। তাহলে জ্যাম ও জেলির নাম আলাদা কেন? আসুন জেনে নিই-
কেন জেলি বলা হয়?
ফল বা সবজির রস দিয়ে তৈরি হয় জেলি। তাই জেলি দেখতে বেশ স্বচ্ছ মনে হয়। এর কারণ হলো, এতে শুধুমাত্র স্বচ্ছ রস ব্যবহার করা হয়, ফল বা সবজির শাঁস ব্যবহৃত হয় না। তবে জেলি রসের মতো তরল হয় না, এটি জমাট বাঁধলেই তাকে জেলি বলা যায়। অর্থাৎ, জমাট বাঁধা জেলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আপনি যে পাত্রে জেলি তৈরি করবেন বা ঢেলে রাখবেন, তা জমাট বাঁধার পর সেই পাত্রের আকার ধারণ করবে। পাউরুটি বা টোস্টের সঙ্গে খাওয়ার সময় আপনাকে পাত্র থেকে কেটে নিতে হবে।
কেন জ্যাম বলা হয়?
জ্যাম কিন্তু জেলির মতো জমাট বাঁধা থাকে না, এটি একটু থকথকে ধরনের হয়। জ্যাম চামচ দিয়ে তুলেই খাওয়া যায়, জেলির মতো কেটে খেতে হয় না। জ্যাম তৈরিতে ফলের রস ব্যবহার করা হয় না, বরং আস্ত ফল ভালোভাবে পিষে তৈরি করা হয়। এই কারণে জ্যাম তৈরির পর তাতে ফলের কুচি থাকে, যা খাওয়ার সময় মুখে পড়ে। তাই স্বাভাবিকভাবেই জ্যাম জেলির মতো মসৃণ ও স্বচ্ছ হয় না, এর ভেতরে দানা দানা থাকে, যা জেলির থেকে জ্যামকে আলাদা করে।
খাদ্যগুণ
খাদ্যগুণের বিচারে জ্যাম ও জেলির উপকারিতা প্রায় সমান। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য এই দুটি খাবারই বিশেষ উপকারী নয়। বরং, বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের জ্যাম ও জেলি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। জ্যাম ও জেলির বৈশিষ্ট্যে মিল বেশি থাকায় অনেকেই এগুলো গুলিয়ে ফেলেন।