শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
দুরুদ শরীফ: বাংলা উচ্চারণ, ফজিলত এবং গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ
দুরুদ শরীফ হলো মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি সালাম ও দোয়া। এটি ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং নামাজের মাঝে ও বাইরে নিয়মিত পাঠ করা হয়। মহান আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীজির উপর সালাম পাঠ করেন এবং মুসলমানদেরও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে এসেছে:
“নিশ্চয় আল্লাহ এবং তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করো।”
(সূরা আহযাব, আয়াত ৫৬)।
দুরুদ শরীফ আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
একটি জনপ্রিয় দুরুদ শরীফ হলো:
আরবি:
“اللهم صل على محمد وعلى آل محمد كما صليت على إبراهيم وعلى آل إبراهيم إنك حميد مجيد”
বাংলা উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ“।
এই দুরুদ শরীফ মহানবী (সাঃ)-এর প্রতি আল্লাহর রহমত এবং বরকত কামনা করে, যেমন ইবরাহিম (আঃ) এবং তার পরিবারের প্রতি আল্লাহ বরকত নাজিল করেছিলেন।
ছোট দুরুদ শরীফ সমূহ
নামাজের বাইরে ছোট দুরুদ শরীফ পাঠ করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ:
ছোট দুরুদ শরীফ:
“اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آل محمد”
বাংলা উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিন“।
এই ধরনের ছোট দুরুদ শরীফ দৈনন্দিন জীবনে সহজেই বারবার পাঠ করা যায় এবং এর মাধ্যমে মহানবী (সাঃ)-এর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
নবীজির দুরুদ শরীফের ফজিলত
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নিজেই দুরুদ শরীফের ফজিলত সম্পর্কে বলেছিলেন:
“যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে, আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাজিল করবেন, দশটি পাপ মাফ করবেন, এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন”
(মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস নং ২০৫৬)।
এছাড়াও, তিনি বলেছেন যে কিয়ামতের দিন তার কাছে সবচেয়ে নিকটে থাকবে সেই ব্যক্তি, যিনি জীবদ্দশায় সবচেয়ে বেশি দুরুদ শরীফ পাঠ করেছিলেন।
দুরুদ শরীফ পাঠের নিয়ম
দুরুদ শরীফ পাঠের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যেমন:
1. একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সাথে পড়া।
2. নামাজে দুরুদ শরীফ পাঠ করা ফরজ।
3. উচ্চ আওয়াজে না পড়ে শান্তভাবে পাঠ করা উচিত।
উপসংহার
দুরুদ শরীফ পাঠ করা একজন মুসলমানের জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি শুধু আধ্যাত্মিক উন্নতি আনে না, বরং কিয়ামতের দিন নবীজির সঙ্গ প্রাপ্তির মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে। অতএব, নিয়মিত দুরুদ শরীফ পাঠ করা এবং এর সঠিক উচ্চারণ শেখা উচিত।