হরতালের যেমন কুফল আছে তেমনি আছে নানান সুফলও। জেনে নিন এমন কিছু সুফল। ১# হরতাল আপনাকে সুযোগ করে দেবে ফাঁকা রাস্তায় গিয়ে আরাম-আয়েশে কবিতা ও গান লেখার। তবে টিয়ার গ্যাস আর পিকেটারদের থেকে সাবধান। ২# হরতালের সময় ফাঁকা রাস্তায় টিকটিক করে হয়ে যেতে পারেন টিকটিক স্টার। ৩# বাংলাদেশের ঐতিহ্য রাস্তার ক্রিকেবিস্তারিত পড়ুন
হরতালের যেমন কুফল আছে তেমনি আছে নানান সুফলও। জেনে নিন এমন কিছু সুফল।
১# হরতাল আপনাকে সুযোগ করে দেবে ফাঁকা রাস্তায় গিয়ে আরাম-আয়েশে কবিতা ও গান লেখার। তবে টিয়ার গ্যাস আর পিকেটারদের থেকে সাবধান।
২# হরতালের সময় ফাঁকা রাস্তায় টিকটিক করে হয়ে যেতে পারেন টিকটিক স্টার।
৩# বাংলাদেশের ঐতিহ্য রাস্তার ক্রিকেট খেলে আপনিও করতে পারেন সেঞ্চুরি। নিজেকে প্রস্তুত করে সুযোগ নিতে পারেন জাতীয় দলে।
৪# ভিআইপি মুভমেন্টের জ্বলায় বিরক্ত হয়ে থাকলে হরতালের দিন আপনি নিজেই নিতে পারেন ভিআইপি ফিল।
৫# অন্যান্য দিন গুগল ম্যাপে ট্রাফিক দেখে আপনি ভয় পেলেও হরতালের দিনে এমন ভয় নেই। এইদিন গুগল ম্যাপ জুড়ে থাকে সবুজ, শ্যাওলা দেশ। দেখে নিন প্রাণ ভরে।
সংক্ষেপে দেখুন
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় হ্যালোইন ডে। ‘অল হ্যালোস’ইভ বা হ্যালোইন উৎসব খ্রিষ্টানদের অন্যতম প্রধান উৎসব। প্রতিবছর এদিন বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা উৎসবটি পালন করলেও বিগত কয়েক বছরে উৎসবটির জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ অন্যান্য উন্নত দেবিস্তারিত পড়ুন
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় হ্যালোইন ডে। ‘অল হ্যালোস’ইভ বা হ্যালোইন উৎসব খ্রিষ্টানদের অন্যতম প্রধান উৎসব। প্রতিবছর এদিন বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা উৎসবটি পালন করলেও বিগত কয়েক বছরে উৎসবটির জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে।
ইউরোপ, আমেরিকাসহ অন্যান্য উন্নত দেশে অক্টোবর মাস শুরু হলেই বিভিন্ন দোকানে হ্যালোইন উৎসবের জন্য একটা সাজসাজ ভাব শুরু হয়ে যায়। মিষ্টিকুমড়া থেকে শুরু করে কালো রঙের পোশাক, মাকড়সার জাল, ভূত সাজার মুখোশ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক আরও হরেক রকমের জিনিসপত্র বিক্রির ধুম পড়ে যায়। মাকড়সার জাল, কালো রঙের কৃত্রিম মাকড়সা, ভুতুড়ে মোমবাতি, মৃত মানুষের কৃত্রিম মাথার খুলি এবং আরও নানান রকমের ভীতিকর জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো হয় বাসাবাড়ি, দোকান কিংবা রেস্তোরাঁ।
বিকেল থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কালো ভূতের পোশাক বা হ্যালোইন ড্রেস পরে, ভুতুড়ে সাজে মুখ রাঙিয়ে বা ভুতুড়ে মুখোশ পরে বন্ধুদের সঙ্গে অথবা একজন অভিভাবকের সঙ্গে পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এসব চকলেট সংগ্রহ করে এবং চমৎকার উৎসবের আমেজ পায় পুরো বিষয়টি। এ ছাড়া এ দিন বয়োজ্যেষ্ঠরাও প্রার্থনা, বিশেষ খাবারের আয়োজনসহ আনুষঙ্গিক আরও কিছু আচার–অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকেন।
হ্যালোইনের ইতিহাস
‘হ্যালোইন’ শব্দটি এসেছে স্কটিশ শব্দ ‘অল হ্যালোজ’ ইভ থেকে। হ্যালোইন শব্দের অর্থ ‘পবিত্র সন্ধ্যা’। কেন দিনটিকে পবিত্র সন্ধ্যা বলা হয়, তার পিছনে রয়েছে বিরাট এক কাহিনি।
প্রায় দু’হাজার বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বাস করতেন সেলটিক জাতির মানুষ। হ্যালোইন উৎসব পালন শুরু করেছিলেন তাঁরাই। সেটাও প্রায় মধ্যযুগে। তাঁদের সামহাইন উৎসব থেকেই মূলত হ্যালোইনের শুরু বলে মনে করা হয়।
নভেম্বরের প্রথম দিনটি তাঁদের নববর্ষ হিসাবে পালিত হত। স্থানীয় ভাষায় এটিকে বলা হত ‘সাহ-উইন’। এই দিনটিকে তাঁরা গ্রীষ্মের শেষ এবং শীতের শুরু বলে মনে করতেন। শুধু শীতের না, একই সঙ্গে অন্ধকারেরও শুরু হত এই দিনে। আর অক্টোবরের শেষ দিনটিকে অশুভ বলে মনে করা হত।
মনে করা হত, এই রাতে প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মারা আবার তাদের পুরনো জীবনে ফিরে আসতে চায়। তাদের সঙ্গে যদি কারও দেখা হয়, তবে তাঁর ক্ষতি হতে পারে। এই বিশ্বাস থেকে মানুষ এই সন্ধ্যায় একা কাটাতেন না। রাতে আগুন জ্বেলে তার পাশে বৃত্তাকারে একসঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে মন্ত্র বলতেন, নাচতেন এবং সময় কাটাতেন। নিজের বাড়িতে সদস্য সংখ্যা কম হলে অন্যের বাড়িতে একসঙ্গে থাকতেন। কখনও একা থাকতেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেল্টিক জাতির এই ‘সাহ-উইন’ উৎসবই এখনকার দিনের ‘হ্যালোইন’ উৎসব।
কেন লাগে কুমড়ো?
হ্যালোইনের একটি অন্যতম বিশেষ উপাদান হল কুমড়ো। অনেকেই কুমড়ো দিয়ে সাজিয়ে তোলেন নিজেদের বাড়ি। কিন্তু কেন হঠাৎ কুমড়োই হয়ে উঠল উদযাপনের উপকরণ?
শোনা যায়, এক সময়ে উত্তর আমেরিকার পরিযায়ীরা শালগমের বদলে কুমড়োর ব্যবহার শুরু করেন। আমেরিকায় তখন ফসল কাটার সময়। তাই ক্ষেত থেকে অপদেবতাদের দূরে রাখতে কুমড়োর ভিতরে আলো জ্বালিয়ে রাখার প্রথা চালু হয়। কালেদিনে সেই ভাবনাই জায়গা করে নিয়েছে হ্যালোইনে। এখন আসল কুমড়োর বদলে নকল নানা জিনিস দিয়ে এই বাতি তৈরি করা হয়।
‘ট্রিক অর ট্রিট’
হ্যালোইনের মজার একটি খেলা হল ‘ট্রিক আর ট্রিট’। এই খেলা হ্যালোইনের মজাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। ‘ট্রিক অর ট্রিট’ হল শিশুদের একটি খেলা। শিশুরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে আর দরজা নক করে বলে, ‘ট্রিক অর ট্রিট’। তখন বাড়ির মানুষের দায়িত্ব, তাদের ঝুলিতে কিছু ক্যান্ডি বা খাবার দেওয়া।
এখনও অনেকে বিশ্বাস করেন, অক্টোবরের ৩১ তারিখ মৃতের দেবতা সব আত্মাদের পৃথিবীতে আহ্বান জানান। ফলে তারা এসে ভিড় করেন পৃথিবীতে। আর সেই কারণেই এই দিনটি খুব ভয়ের বলে মনে করেন অনেকেই।
যদিও এখন এর সঙ্গে ভয়ের চেয়ে মজাই বেশি জড়িয়ে। এটি এমন একটি দিন, যেদিন মানুষ পরিবার-বন্ধু-আত্মীয়-প্রতিবেশীদের সঙ্গে মজা করে সন্ধ্যাটি কাটান। এবং ছুটি উপভোগ করেন।
সংক্ষেপে দেখুন