চোখ বড় বা ট্যারা কি অশুভলক্ষণ ?
শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
চোখ মানব শরীরের মহামূল্যবান অঙ্গ। চোখের নানা রোগের কারণে জীবনে নেমে আসে নানা দুর্ভোগ।
বড় চোখ মানেই সুন্দর। অভিভাবকরা শিশুর বড় চোখ দেখে খুশি হন। কিন্তু বড় চোখ কি অশুভ লক্ষণ না রোগ?
আমরা শিশুদের বড় চোখ দেখলেই অনেক খুশি হই। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই বড় চোখের পেছনে রোগ থাকতে পারে। চিকিৎসকরা অনেক ক্ষেত্রেই চিন্তা করেন শিশুর কোন জন্মগত গ্লুকোমা রোগ আছে কিনা। গ্লুকোমা হচ্ছে চোখের উপর চাপ বেড়ে গিয়ে অপটিক্যাল নার্ভকে নষ্ট করে দেয়। অপটিক্যাল নার্ভ নষ্ট হলে রেটিনা থেকে কোন আলোকরশ্মি আমাদের ব্রেইনে যায় না। এক্ষেত্রে শিশুটি চোখে দেখতে পায় না। এভাবে গ্লুকোমা থেকে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। তাই চোখের কর্নিয়া বড় হলে বুঝে নিতে হবে শিশুটির জন্মগত গ্লুকোমা থাকলেও থাকতে পারে। চোখের কর্নিয়ার আরেকটি রোগ কেরাটোগ্লোবাস। এক্ষেত্রে চোখের কর্নিয়া বড় হয় এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে বাচ্চাটি বড় হয়ে চোখে ভালো দেখতে পাবে না। এছাড়া যাদের চোখে মাইয়োপিয়া রয়েছে তাদের চোখগুলো কিছুটা বড় হয়s।
মাথাব্যথার সাথে চোখের সম্পৃক্ততা আছে কি?
চোখের সাথে মাথা ব্যাথার অবশ্যই সম্পর্ক রয়েছে। কারো চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হয়ে যায় এবং সে যদি ভুল পাওয়ার দিয়েই পড়ালেখা করে, তখন চোখের উপর চাপ পড়বে। এতে চোখেও ব্যথা করবে এবং মাথাব্যথা হবে। এসব কারণে চোখের জন্য মাথা ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা রোগীর চশমার পাওয়ার চেক করে নতুন পাওয়ারের চশমা দিলে মাথাব্যথা কমে যাবে। কিন্তু চোখ ছাড়াও অন্যান্য কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে নিউরোলজিস্টের কাছে যেতে হবে।
কেউ চোখ কোন অন্ধ মানুষকে দান করতে চায়, এটা কতটুকু যৌক্তিক?
মানুষ মারা গেলে তার চোখের কর্নিয়াটুকু সংগ্রহ করা সম্ভব। মৃত্যুর পরে কর্নিয়া ৬ ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকে। তাই কারো মৃত্যুর ৬ ঘণ্টার মধ্যে এ কর্নিয়াটুকু সংগ্রহ করা যেতে পারে। এরপর কর্নিয়াজনিত কারণে যারা অন্ধ তাদের চোখে এই কর্নিয়া সংযোজন করা যেতে পারে। এর ফলে তারা চোখে দেখতে পাবেন। তবে চোখে কর্নিয়া সংযোজন করার সময় এই শর্ত থাকতে হবে যে, তার চোখের রেটিনা, নার্ভ এবং লেন্স ভালো থাকতে হবে।
চোখ যদি একটু ট্যারা হয়, তখন সেটাকে অনেকে লক্ষ্মী ট্যারা বলে। এটাকে অনেকে শুভ লক্ষণ বলেন। কতটুকু সত্য এই ভাবনা?
লক্ষী ট্যারা বা চোখ ট্যারা হওয়া মোটেই শুভ লক্ষণ নয়। আমরা সবসময় দু’টো চোখ দিয়ে একটি জিনিস দেখি। একটি চোখ ট্যারা হলে দু’টি চোখ দিয়ে দু’রকমের জিনিস দেখা হয়। এক্ষেত্রে ট্যারা চোখের প্রতি চাপ বেশি পড়ে। কিন্তু এই ট্যারা চোখটিকে সোজা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে চশমা পরা যায় কিংবা অপারেশন করেও চোখটি সোজা করা সম্ভব। কিন্তু বাচ্চার আট বছর বয়সের মধ্যেই চোখটিকে অপারেশন করে সোজা করতে হবে। এর ফলে বাচ্চার দৃষ্টি ভালো থাকে। কিন্তু ২০ বছরের পরে অপারেশন করা হলে বাচ্চা চোখে ভালো দেখতে পায় না।
আরওপি নবজাতকের চোখের একটি সমস্যা। যাতে অন্ধত্বের ঝুঁকি রয়েছে অনেকখানি। এর চিকিৎসা কি?
আমাদের দেশে প্রচুর অপরিপক্ক বাচ্চার জন্ম হচ্ছে। অপরিপক্ক বাচ্চা বলতে যার জন্ম ৩৫ সপ্তাহের আগেই এবং জন্মের সময় যে বাচ্চাটির ওজন দুই কেজির কম। দেশের নিওনেটাল কেয়ার দিন দিন উন্নত হচ্ছে।
আমাদের দেশে নিউনেটোলজি অনেক উন্নতি হয়েছে। এসব অপরিপক্ক বাচ্চাদের রেটিনার রোগ হতে পারে। এক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ রোগ আল্লাহর রহমতে ভালো হয়। বাকি ৩০ শতাংশের ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে। এসব বাচ্চার জন্মের ৩০ দিনের মধ্যে একজন রেটিনা বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে চোখ পরীক্ষা করাতে। বাচ্চাটির রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিম্যাচুরিটি আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
আর বাচ্চাটি ২৮ সপ্তাহের আগেই জন্মগ্রহণ করলে এবং তার ওজন ১৫শ’ গ্রামের কম হলে, বাচ্চাটিকে ২০ দিন বয়সে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। তখন এই বাচ্চাগুলোর রেটিনা গুলোকে এক্সামাইন করা হয়। তার ভিতরে নানারকম সমস্যা থাকতে পারে, যেমন রক্তনালীর সমস্যা। তখন চোখে কিছুদিনের জন্য একটি ইনজেকশন দেয়া হয়। এরপর কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রেখে বাচ্চা গুলোকে লেজার করা হয়। ফলে যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, লেজার করে সে জায়গাগুলোকে বার্ন করা হয় বা পুড়িয়ে ফেলা হয়। এর ফলে যতটুকু স্বাভাবিক থকে চোখ তা দিয়েই বাচ্চাটি সারা জীবন ভালো থাকতে পারে।