biplobনতুন
বিচারক মৃত্যুদণ্ডের রায় লেখার পর কীভাবে কলমের নিব ভাঙ্গে এবং কেন ভেঙে ফেলেন? কিভাবে ভাংগেন?
শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরে বিচারকরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন কেনো? কারণটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই এই রেওয়াজ চলে আসছে। কলমের নিব ভাঙার একাধিক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, এটি একটি প্রতীকী বিষয়। ব্যাখ্যা হলো, যে কলম একজনের জীবন নিয়ে নিয়েছে, তা যেন আর কারো জীবন নিতে না পারে।
দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি এর সঙ্গেই সম্পৃক্ত। বলা হয়ে থাকে, বিচারক বা বিচারপতি ওই মৃত্যুদণ্ড এবং তা থেকে প্রসূত অপরাধবোধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। সে কারণেই নিবটি ভেঙে ফেলা হয়। একজন বিচারক বা বিচারপতি তার দেয়া মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নিতে পারেন না।
তৃতীয় ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, বিচারক যাতে কোনোভাবেই মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নেয়ার কথা ভাবতে না পারেন।
শেষ ব্যাখ্যা, সব মৃত্যুই দুঃখের। কিন্তু কখনো কখনো মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই কলমের নিব ভেঙে ফেলা হয় এটা বোঝাতে যে, মানুষের মৃত্যু সর্ব অবস্থাতেই একটি দুঃখজনক ব্যাপার।
ধন্যবাদ!
ভরা কোর্ট রুমে অপরাধীকে ফাঁসির সাজা ঘোষণার পর বিচারক তাঁর পেনের নিবটা ভেঙে দিচ্ছেন- এই দৃশ্যটা আপনি নিশ্চই দেখেছেন সিনেমা বা সিরিয়ালে। বাস্তব জীবনে তো অনেকেরই এমন দৃশ্য দেখা হয়ে ওঠে না, তবে বাস্তবেও কিন্তু ঠিক ওই একই কাজ করেন যে কোন বিচারপতি। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে ফাঁসির সাজা ঘোষণার পর বিচারকরা পেনের নিব ভেঙে ফেলেন কেন? এর পিছনে কারণটা কী?
এই নিব ভেঙে ফেলার পিছনে নানা রকম দার্শনিক ব্যাখ্যা হয়। কিন্তু, মূলত তিনটি কারণ রয়েছে এর পিছনে। বা বলা ভাল, তিন রকম ভাবনা থেকেই বিচারকরা এই কাজ করে থাকেন। এবার তাহলে সেই কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক-
১) কোনও একটি পেন দিয়ে একবার মৃত্যুদণ্ডের সাজা লিখে ফেলার পর বিচারকরা ওই পেন দিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনও বিচারের কাজ করতে চান না কারণ ওই পেনটিকে (মূলত নিবটি যা দিয়ে লেখা হয়) ‘অশুচি’ বলে মনে করা হয়। আসলে কারও জীবন কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে অশুভ ভাবা হয়।
২) আরেকটা ভাবনা হল, একবার ফাঁসির সাজা ঘোষিত হলে সেই রায়কে আর চ্যালেঞ্জ করা যায় না। তার প্রতীক হিসাবে ওই রায় লেখা হয়েছে য পেন (পেনের নিব) দিয়ে তাকে ভেঙে ফেলে ওই রায়কেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একমাত্র উচ্চতর আদালত (নিম্নতর আদালত যদি রায় দিয়ে থাকে) কেবল সেই রায়কে পুনর্বিচার করতে পারে।
৩) আবার এরকমও মনে করা হয় যে, বিচারক ‘অপরাধ বোধ’ থেকে পেনের নিব ভেঙে ফেলেন। কারণ, প্রান নেওয়ার ক্ষমতা শুধু ঈশ্বরেরই আছে বলে মনে করা হয়। তাই বিচারক পেনের নিব ভাঙার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে তিনি শুধু তাঁর পেশাদারি দায়বদ্ধতাটুকুই সারলেন।
ভাল লাগলে আমায় YOUTUBE CHANNEL টা ঘুরে আসবেন
https://youtube.com/allaboutsubha
মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পরে বিচারকরা কলমের নিব ভেঙে ফেলেন কেনো? কারণটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই এই রেওয়াজ চলে আসছে। কলমের নিব ভাঙার একাধিক কারণ রয়েছে।
প্রথমত, এটি একটি প্রতীকী বিষয়। ব্যাখ্যা হলো, যে কলম একজনের জীবন নিয়ে নিয়েছে, তা যেন আর কারো জীবন নিতে না পারে।
দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি এর সঙ্গেই সম্পৃক্ত। বলা হয়ে থাকে, বিচারক বা বিচারপতি ওই মৃত্যুদণ্ড এবং তা থেকে প্রসূত অপরাধবোধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। সে কারণেই নিবটি ভেঙে ফেলা হয়। একজন বিচারক বা বিচারপতি তার দেয়া মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নিতে পারেন না।
তৃতীয় ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, বিচারক যাতে কোনোভাবেই মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে নেয়ার কথা ভাবতে না পারেন।
শেষ ব্যাখ্যা, সব মৃত্যুই দুঃখের। কিন্তু কখনো কখনো মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম শাস্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই কলমের নিব ভেঙে ফেলা হয় এটা বোঝাতে যে, মানুষের মৃত্যু সর্ব অবস্থাতেই একটি দুঃখজনক ব্যাপার।