স্মার্ট ফোন নিয়ে ভুল ধারণাগুলো কি কি?
শেয়ার করুন
সাইন আপ করুন
লগিন করুন
পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির লিংক পেয়ে যাবেন।
আপনি কেন মনে করছেন এই প্রশ্নটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই উত্তরটি রিপোর্ট করা উচিৎ?
আপনি কেন মনে করছেন এই ব্যক্তিকে রিপোর্ট করা উচিৎ?
স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অচ্ছেদ্য অঙ্গেই যেন পরিণত হয়েছে। হরদম ব্যবহারের কারণে স্মার্টফোনের নানা টেকনিক, কৌশল, তত্ত্ব-তথ্য অনেক কিছুই আমরা জানি। তবে দেখা গেছে এই জানার তালিকায় স্মার্টফোন সম্পর্কে বেশ কিছু ভুল ধারণাও রয়ে গেছে। বিশেষ করে এই দরকারি গ্যাজেটটির ক্যামেরা, ব্যাটারি, মেমরি ও নানা অ্যাপ বিষয়ে এমন কিছু ধারণা প্রায় মিথের মতো প্রচলিত- বাস্তবের সঙ্গে যার সম্পর্ক নেই। আসুন, ভ্রান্ত এই ধারণাগুলে দূর করে নেওয়া যাক- এখনি
১. ধারণা: প্রসেসর ডাবল করলে ফোনের পারফর্মেন্সও ডাবল হয়ে যায়!
বাস্তবতা: ভুল। ফোনের চিপ সিঙ্গেল কোর থেকে বদলে ডাবল বা কোয়ার্ড কোর- যাই করুন না কেন, এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে ফোনের অন্যান্য রিসোর্স পার্টগুলো না বদলানোর জন্য পারফর্মেন্স যেই কে সেই থেকে যায়। মনে রাখবেন, সবগুলো কোরকেই ওই একই সিঙ্গেল ব্যাটারি আর মেমরি দিয়ে কাজ চালাতে হয়।
২. ধারণা: ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি ছবির গুণগত মানও তত বেশি হয়!
বাস্তবতা: এটাও ভুল ধারণা। সঠিক ঘটনাটি হচ্ছে ইমেজ কোয়ালিটি ক্যামেরার শাটার স্পিড আর অ্যাপারচারের ওপর নির্ভর করে- মেগাপিক্সেলের ওপর নয়। তবে মেগাপিক্সেল বেশি হলে ছবি প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে বা দেখার ক্ষেত্রে বেশি বড় করে দেখা যায়- অল্পতেই ফেটে যায় না।
৩. ধারণা: স্মার্টফোনে ভাইরাস ও মেলঅ্যার!
বাস্তবতা: যদি আপনি থার্ড পার্টি বা আনঅথরাইজড সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন- তবে তাতে সওয়ার হয়ে মেলঅয়্যার আসতে পারে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করল তা আসার সম্ভাবনা নাই। অর্থাৎ, আপনি যদি শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন- তবে আপনার মোবাইলে অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।
৪. ধারণা: লোকাল চার্জারে ব্যাটারি বার্স্ট করতে পারে!
বাস্তবতা: স্মার্টফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে লোকাল চার্জারে ফোন চার্জ হতে সময় হয়তো একটু বেশি নেয় কিন্তু এতে করে আপনার মোবাইলের ব্যাটারি বার্স্ট করতে পারে- এটা সম্পূর্ন মিথ্যে বয়ান। স্মার্টফোনের স্মার্ট দোকানদাররা অনেক সময় গ্রাহককে অহেতুক ভয় ধরিয়ে দেয়- কাস্টমারের সামর্থ্য বা ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও দামি চার্জার গছিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়ে থাকে। চার্জার যে কোনো কোম্পানির হোক- সমস্যা নাই। মোবাইলের সঙ্গে দেওয়া অরিজিন্যাল চার্জারেও অনেক সময় সমস্যা থাকে। সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন এর ব্যাটারিও খারাপ হতে পারে।
৫. ধারণা: অ্যাপ বন্ধ করলে ফোনের পারফর্মেন্স বাড়ে!
বাস্তবতা: আপনার জানা উচিৎ, রিসেন্টলি ব্যবহার করা অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে নয়, ফোনের র্যা ম-এ স্টোর হয় যাতে আপনি পরে সেগুলো আবার ব্যবহার করতে পারেন। আর তাই সম্প্রতি ব্যবহার করা অ্যাপ তড়িঘড়ি বন্ধ করার জন্য পেরেশান হওয়ার দরকার নেই। কারণ, এটা আপনার ফোনের পারফর্মেন্সে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।
৬. ধারণা: ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই অন থাকলে ব্যাটারির চার্জ খরচা হয়!
বাস্তবতা: ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই যতক্ষণ ব্যবহার না করা হয় ততক্ষণ এ খাতে ব্যাটারির চার্জ ব্যয় ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। এগুলো শুধু অন করার সঙ্গে ব্যাটারির সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
৭. ধারণা: চুম্বকের কাছে রাখলে মেমরি রিমুভ হয়ে যায়!
বাস্তবতা: ফোনের ডেটা এর মেমরি কার্ডে মজুদ থাকে। জেনে রাখুন, ম্যাগনেটের আশপাশে রাখলে ফোনের স্টোরেজে এর কোনো আসর পড়ে না।
৮. ধারণা: সারারাত চার্জ করলে ব্যাটিারি ড্যামেজ হয়!
বাস্তবতা: যদি সারারাত আপনার ফোনটি চার্জে থাকে তবে এটা দৃশ্যত ব্যাটারির ক্ষমতায় কোনো প্রভাব ফেলে না। সাধারণত, ব্যাটারির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একে ৮০% পর্যন্ত চার্জ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সহজ কথাটা জেনে রাখুন যে আপনার স্মার্টফোন আদপে এতটা অন্তত স্মার্ট যে চার্জ ফুল হওয়ার পর এটা আপনা থেকেই কারেন্ট রিসিভ করা বন্ধ করে দেয়।
৯. ধারণা: পকেটে রাখবেন না স্মার্টফোন!
বাস্তবতা: প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির স্মার্টফোনকে এসএআর (স্পেসিফিক অ্যাবজর্বশন রেটিং) পরীক্ষা পেরোতে হয়। এতে পরখ করা হয় যে ফোনসেটটির তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণ নির্দিষ্ট মাত্রা ছাড়াচ্ছে কি না। এই বৈতরণী পার হওয়ার পরই প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির স্মার্টফোন বাজারে ছাড়া হয়। তাই, আপনি যদি ব্রান্ডেড স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন- তবে রেডিয়েশন নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই