আমরা প্রায়ই বাসা এবং বাড়ির মধ্যে পার্থক্য নিয়ে কনফিউশনে পড়ে যাই । কোনটাকে বাসা বলবো আর কোনটাকে বাড়ি বলবো তা ঠিক করতে পারিনা । মাঝে মাঝে তো কাউকে যদি প্রশ্ন করি, ভাই বাড়ি কোথায় ? উত্তর আসে - বাসা কুমিল্লা । এমনটা হওয়ার কারণ, আমরা বাসা-বাড়ির মাঝে যে পার্থক্য আছে, তা জানি না। চলুন জেনে নেই বাসার ববিস্তারিত পড়ুন
আমরা প্রায়ই বাসা এবং বাড়ির মধ্যে পার্থক্য নিয়ে কনফিউশনে পড়ে যাই । কোনটাকে বাসা বলবো আর কোনটাকে বাড়ি বলবো তা ঠিক করতে পারিনা । মাঝে মাঝে তো কাউকে যদি প্রশ্ন করি, ভাই বাড়ি কোথায় ? উত্তর আসে – বাসা কুমিল্লা । এমনটা হওয়ার কারণ, আমরা বাসা-বাড়ির মাঝে যে পার্থক্য আছে, তা জানি না।
চলুন জেনে নেই বাসার বাড়ির মধ্যে পার্থক্য।
আসলে বাসা (house) হচ্ছে অস্থায়ী আবাস আর বাড়ি (home) হচ্ছে স্থায়ী আবাস । আপনি যদি শহরে ভাড়া থাকেন তবে এটি আপনার বাসা । কারণ এটি অস্থায়ী । আবার আপনার যদি গ্রামে নিজেদের ঘরবাড়ি থাকে তাহলে ওইটা হচ্ছে আপনাদের বাড়ি ।
তবে বাসা এবং বাড়ি একই জিনিস হতে পারে । মনে করুন, আপনি যেখানে ভাড়া আছেন সেটি আপনার জন্য অস্থায়ী সুতরাং সেটি আপনার জন্য বাসা । আবার ওই বাড়িটির যিনি মালিক তার জন্য সেটি কিন্তু স্থায়ী । তাই আপনার বাসাটিই ওই মালিকের জন্য বাড়ি। কারণ মালিক আপনাকে যেকোন সময় তুলে দিতে পারে এবং নিজেও ওই বাড়িটি ব্যবহার করতে পারে ।
ঠিক একই কারণে আমরা সব সময় পাখিদের ক্ষেত্রে বাসা বলি বাড়ি বলি না। কারণ পাখিদের আবাসস্থল অস্থায়ী। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে তাদের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা তাদেরকে তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাদের স্থায়ী কোনো আবাসস্থল নেই। এজন্যই আমরা পাখিদের ক্ষেত্রে সব সময় বাসা বলি ।
আশা করি বাসা এবং বাড়ির মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারছেন। এখন থেকে নিজ বাড়িতে থেকে আর কাউকে কখনো বলবেন না, ভাই আমি তো বাসায় আছি!
ভালো লাগলে আপভোট দিবেন।
সংক্ষেপে দেখুন
শুকনো পাউরুটি বা টোস্টের সঙ্গে আমরা সাধারণত জ্যাম অথবা জেলি খেয়ে থাকি। এটি শুকনো খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং খাওয়ার কষ্টও কমায়। অনেকেরই মনে হতে পারে, জ্যাম আর জেলি হয়তো একই জিনিস। জ্যাম ও জেলির পার্থক্য দেখতে প্রায় একই রকম হলেও, আসলে এই দুই খাবারের মধ্যে রয়েছে কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য। জ্যাম ও জেলির নবিস্তারিত পড়ুন
শুকনো পাউরুটি বা টোস্টের সঙ্গে আমরা সাধারণত জ্যাম অথবা জেলি খেয়ে থাকি। এটি শুকনো খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং খাওয়ার কষ্টও কমায়। অনেকেরই মনে হতে পারে, জ্যাম আর জেলি হয়তো একই জিনিস।
জ্যাম ও জেলির পার্থক্য
দেখতে প্রায় একই রকম হলেও, আসলে এই দুই খাবারের মধ্যে রয়েছে কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য। জ্যাম ও জেলির নাম পাশাপাশি বলা হলেও, আসলে এগুলো এক ধরনের খাবার নয়। তবে এই দুই খাবার তৈরিতে প্রায় একই ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়। তাহলে জ্যাম ও জেলির নাম আলাদা কেন? আসুন জেনে নিই-
কেন জেলি বলা হয়?
ফল বা সবজির রস দিয়ে তৈরি হয় জেলি। তাই জেলি দেখতে বেশ স্বচ্ছ মনে হয়। এর কারণ হলো, এতে শুধুমাত্র স্বচ্ছ রস ব্যবহার করা হয়, ফল বা সবজির শাঁস ব্যবহৃত হয় না। তবে জেলি রসের মতো তরল হয় না, এটি জমাট বাঁধলেই তাকে জেলি বলা যায়। অর্থাৎ, জমাট বাঁধা জেলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আপনি যে পাত্রে জেলি তৈরি করবেন বা ঢেলে রাখবেন, তা জমাট বাঁধার পর সেই পাত্রের আকার ধারণ করবে। পাউরুটি বা টোস্টের সঙ্গে খাওয়ার সময় আপনাকে পাত্র থেকে কেটে নিতে হবে।
কেন জ্যাম বলা হয়?
জ্যাম কিন্তু জেলির মতো জমাট বাঁধা থাকে না, এটি একটু থকথকে ধরনের হয়। জ্যাম চামচ দিয়ে তুলেই খাওয়া যায়, জেলির মতো কেটে খেতে হয় না। জ্যাম তৈরিতে ফলের রস ব্যবহার করা হয় না, বরং আস্ত ফল ভালোভাবে পিষে তৈরি করা হয়। এই কারণে জ্যাম তৈরির পর তাতে ফলের কুচি থাকে, যা খাওয়ার সময় মুখে পড়ে। তাই স্বাভাবিকভাবেই জ্যাম জেলির মতো মসৃণ ও স্বচ্ছ হয় না, এর ভেতরে দানা দানা থাকে, যা জেলির থেকে জ্যামকে আলাদা করে।
খাদ্যগুণ
খাদ্যগুণের বিচারে জ্যাম ও জেলির উপকারিতা প্রায় সমান। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য এই দুটি খাবারই বিশেষ উপকারী নয়। বরং, বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের জ্যাম ও জেলি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। জ্যাম ও জেলির বৈশিষ্ট্যে মিল বেশি থাকায় অনেকেই এগুলো গুলিয়ে ফেলেন।
সংক্ষেপে দেখুন